Bangladeshi community in South America-বাংলাদেশি কমিউনিটি

Bangladeshi community in South America-বাংলাদেশি কমিউনিটি প্রবাসের সুখ দুঃখের অনুভূতি “প্রতিদিন কিছু ইচ্ছেকে পুড়িয়ে মারি
প্রতিদিন কিছু ইচ্ছেকে পাঠাই নির্বাসনে
ভালবাসা কি ভীষণ প্রতারক হৃদয় ভেঙেছে যার সেই জানে”
(29)

বৈধ পথে ব্রাজিলে কাজের সুযোগ: বাংলাদেশিদের জন্য ওয়ার্ক পারমিট প্রক্রিয়া সহজ করল ব্রাজিল সরকারস্টাফ রিপোর্টার | আন্তর্জাত...
10/09/2025

বৈধ পথে ব্রাজিলে কাজের সুযোগ: বাংলাদেশিদের জন্য ওয়ার্ক পারমিট প্রক্রিয়া সহজ করল ব্রাজিল সরকার

স্টাফ রিপোর্টার | আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বাংলাদেশি পেশাজীবীদের জন্য লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে বৈধভাবে চাকরি ও বসবাসের সুযোগ উন্মুক্ত হয়েছে। দেশটির নতুন অভিবাসন আইন Lei de Migração (আইন নং ১৩.৪৪৫/২০১৭) অনুযায়ী বাংলাদেশসহ বিদেশি নাগরিকরা এখন ওয়ার্ক পারমিট (Work Residence Authorization) এবং অস্থায়ী কর্ম ভিসা (VITEM V) এর মাধ্যমে ব্রাজিলে বৈধভাবে কাজের সুযোগ পাচ্ছেন। পুরো প্রক্রিয়াটি ব্রাজিলে নিবন্ধিত লাইসেন্সপ্রাপ্ত আইনজীবীর (OAB – Ordem dos Advogados do Brasil) মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে।

ব্রাজিল সরকারের শ্রম অভিবাসন কর্তৃপক্ষ CGIL (Coordenação-Geral de Imigração Laboral) বিদেশি কর্মী নিয়োগের অনুমোদন প্রদান করে। অনুমোদনের পর আবেদনকারী নিজ দেশের ব্রাজিল দূতাবাস থেকে কর্ম ভিসা সংগ্রহ করে দেশে প্রবেশের সুযোগ পান।

আইনি ভিত্তি

ব্রাজিলে বিদেশি কর্মী নিয়োগ সম্পন্ন হয় নিম্নোক্ত আইনের আওতায়ঃ

Lei de Migração – আইন নং 13.445/2017

Decreto নং 9.199/2017

CNIg – ন্যাশনাল ইমিগ্রেশন কাউন্সিলের রেগুলেশনসমূহ

CLT – ব্রাজিলিয়ান শ্রম আইন (Consolidação das Leis do Trabalho)

এই আইন অনুযায়ী বিদেশি নাগরিকদের ব্রাজিলে কাজের সুযোগ পেতে হলে আগে ওয়ার্ক রেসিডেন্স অথরাইজেশন অনুমোদন নিতে হবে, এরপর দূতাবাস থেকে কর্ম ভিসা সংগ্রহ করে প্রবেশ করতে হবে।

আবেদন প্রক্রিয়া (ধাপে ধাপে)

১. ব্রাজিলের কোনো নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে চাকরির অফার নিশ্চিত করা
২. ব্রাজিলে অনুমোদিত অভিবাসন আইনজীবীর মাধ্যমে আবেদন দাখিল
৩. শ্রম অভিবাসন দপ্তরে (CGIL) Work Authorization আবেদন
৪. অনুমোদনের পর বাংলাদেশে ব্রাজিল দূতাবাসে VITEM V ভিসার আবেদন
৫. ব্রাজিলে প্রবেশের পর ৯০ দিনের মধ্যে ফেডারেল পুলিশে রেজিস্ট্রেশন
৬. জাতীয় পরিচয় কার্ড CRNM সংগ্রহ করে বৈধ কর্ম জীবনে যুক্ত হওয়া

প্রয়োজনীয় নথিপত্র

আবেদনকারীর পক্ষ থেকে:

বৈধ পাসপোর্ট

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ

শিক্ষাগত সনদ (অ্যাপোস্টিল/লিগ্যালাইজড)

অভিজ্ঞতা সনদ

জন্মসনদ (পর্তুগিজে অনুবাদকৃত)

জীবনবৃত্তান্ত (CV)

বিবাহ সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)

কোম্পানির পক্ষ থেকে:

কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন (CNPJ)

চাকরির অফার/কন্ট্রাক্ট লেটার

কর সংক্রান্ত নথি

নিয়োগের কারণ ব্যাখ্যা (Justification Letter)

সময় ও প্রক্রিয়া ফি
ধাপ সময়সীমা
Work Authorization অনুমোদন ৩০–৬০ দিন
দূতাবাস ভিসা প্রক্রিয়া ১৫–৩০ দিন
মোট সময় আনুমানিক ২–৩ মাস

ফি নির্ভর করে আইনজীবী ও কোম্পানির সেবার ওপর। সরকারি ফি আলাদা প্রযোজ্য।

সতর্কতা

ব্রাজিল সরকার সতর্ক করে বলেছে, পর্যটন ভিসায় গিয়ে কাজ করা সম্পূর্ণ অবৈধ। ভুয়া ডকুমেন্ট বা অবৈধ এজেন্টের মাধ্যমে আবেদন করলে ১৩.৪৪৫/২০১৭ নং অভিবাসন আইন অনুযায়ী জেল, জরিমানা ও দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা আরোপ হতে পারে। তাই বৈধ প্রক্রিয়ায় আবেদন করতে হবে এবং ব্রাজিলের আইনজীবী ছাড়া এই প্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব নয়।

ব্রাজিল দূতাবাস, ঢাকা – তথ্য

Embassy of Brazil in Bangladesh
ঠিকানা: Bay’s Edgewater (Ground & 1st Floor), NE(N) 12, North Avenue, Gulshan-2, ঢাকা-১২১২
ফোন: +880 2 55052127–29
ইমেইল: [email protected]

ওয়েবসাইট: www.gov.br

🇧🇷 ব্রাজিল ভিজিট ভিসা — বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য সর্বশেষ গাইড ✈️🌎ব্রাজিল ভ্রমণের স্বপ্ন দেখছেন? 🌴 তাহলে জেনে নিন ব্রাজিল...
10/09/2025

🇧🇷 ব্রাজিল ভিজিট ভিসা — বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য সর্বশেষ গাইড ✈️🌎

ব্রাজিল ভ্রমণের স্বপ্ন দেখছেন? 🌴 তাহলে জেনে নিন ব্রাজিল এম্বাসির অফিসিয়াল নিয়ম অনুযায়ী ভিজিট (Tourist) ভিসা আবেদন করার সম্পূর্ণ নির্দেশনা! 👇

📝 আবেদন প্রক্রিয়া

অনলাইনে আবেদন ফর্ম পূরণ করুন এই ওয়েবসাইটে:
🔗 https://formulario-mre.serpro.gov.br

➡️ ক্লিক করুন “FOREIGN CITIZEN”

📸 পাসপোর্ট ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র স্ক্যান করে অনলাইনে আপলোড করতে হবে।

📄 ভিসার জন্য যেসব কাগজ লাগবে

1️⃣ পূরণ ও স্বাক্ষরিত অনলাইন আবেদন ফর্ম
2️⃣ মূল পাসপোর্ট + ফটোকপি (কমপক্ষে ৬ মাসের মেয়াদ)
3️⃣ জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মসনদ (ইংরেজিতে অনুবাদ ও নোটারাইজ করা)
4️⃣ ২ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি (সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডে, সর্বোচ্চ ৬ মাসের পুরোনো)
5️⃣ শেষ ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও ব্যালান্স সার্টিফিকেট
6️⃣ ইনকাম ট্যাক্স সার্টিফিকেট ও রিসিট (অনুবাদ ও নোটারাইজকৃত)
7️⃣ সাম্প্রতিক ইউটিলিটি বিল (মূল ও ফটোকপি)
8️⃣ পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট (মূল ও কপি)
9️⃣ ব্রাজিলে হোটেল বুকিং বা থাকার ঠিকানা
🔟 দুই দিকের এয়ার টিকিট রিজার্ভেশন
1️⃣1️⃣ নিজের পরিচয় ও সফরের উদ্দেশ্য লিখে একটি ছোট চিঠি
1️⃣2️⃣ চাকরির প্রমাণপত্র বা ব্যবসার কাগজপত্র (যদি প্রযোজ্য হয়)

💼 ব্যবসায়িক সফরের ক্ষেত্রে বাড়তি কাগজ

➡️ ব্রাজিলীয় কোম্পানি বা ব্যক্তির নোটারাইজ করা আমন্ত্রণপত্র
➡️ বাংলাদেশি কোম্পানির ট্রেড লাইসেন্স, মেমোরেন্ডাম, ৩ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট
➡️ ইমপোর্ট (IRC) ও এক্সপোর্ট (ERC) রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট
➡️ TIN ও BIN সার্টিফিকেট

💰 ফি ও সময়সীমা

💵 ভিসা ফি: ৳১১,২০০
(ঢাকার ব্যাংক থেকে Pay Order করতে হবে “BRAZILIAN EMBASSY IN DHAKA” নামে)

🕒 প্রসেসিং সময়: সর্বোচ্চ ২০ কর্মদিবস

⚠️ গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা:
🚫 নকল কাগজ দিলে ১০ বছরের জন্য ভিসা নিষিদ্ধ হতে পারেন
💸 ভিসা ফি ফেরতযোগ্য নয়
📑 অসম্পূর্ণ আবেদন গ্রহণ করা হয় না
📂 দূতাবাস প্রয়োজনে অতিরিক্ত কাগজ চাইতে পারে

🏛️ ব্রাজিল এম্বাসি, ঢাকা

📍 ঠিকানা:
Bay’s Edgewater (Ground & 1st Floor)
NE(N) 12, North Avenue, Gulshan-2, Dhaka – 1212

📞 ফোন: +88 02 55052127-29
📧 ইমেইল: [email protected]

📩 কনস্যুলার সেকশন: [email protected]

💼 বাণিজ্য বিভাগ: [email protected]

🏢 প্রশাসন: [email protected]

📆 ফাইল জমা দেওয়ার আগে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে
📞 অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য কল করুন:
+88 02 55052127 বা +88 02 55052128
🕓 সময়: রবিবার থেকে মঙ্গলবার, সকাল ৯:৩০ – ১০:০০ পর্যন্ত

🌐 ওয়েবসাইট: https://www.gov.br/mre

✈️ কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস

✅ আবেদন করার আগে সব কাগজ ঠিকঠাক আছে কি না দেখে নিন
✅ অনুবাদ ও নোটারাইজ কপি প্রস্তুত রাখুন
✅ কমপক্ষে এক মাস আগে আবেদন করুন
✅ ব্যাংক ব্যালান্সে পর্যাপ্ত অর্থ রাখুন

🌺 ব্রাজিল মানেই ফুটবল, উৎসব আর রঙের দেশ!
সঠিক প্রস্তুতি নিন, আর উপভোগ করুন জীবনের সেরা ভ্রমণ 🇧🇷✨

📝 ব্রাজিলে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে আসার পর করণীয়1️⃣ এয়ারপোর্টে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়াবৈধ ওয়ার্ক ভিসা (VITEM-V) দেখাতে...
09/17/2025

📝 ব্রাজিলে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে আসার পর করণীয়
1️⃣ এয়ারপোর্টে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া

বৈধ ওয়ার্ক ভিসা (VITEM-V) দেখাতে হবে।

পাসপোর্টে প্রবেশ সীল (Entry Stamp) নিতে হবে।

প্রয়োজনে চাকরির কন্ট্রাক্ট দেখাতে বলা হতে পারে।

2️⃣ ফেডারেল পুলিশে রেজিস্ট্রেশন (RNE/CRNM)

ব্রাজিলে প্রবেশের ৯০ দিনের মধ্যে ফেডারেল পুলিশে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।

এখানে আপনি পাবেন CRNM (Carteira de Registro Nacional Migratório) – যা আপনার জাতীয় আইডি কার্ড হিসেবে কাজ করবে।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

পাসপোর্ট ও ভিসা কপি

জন্মসনদ (পর্তুগিজে অনুবাদ ও নোটারাইজড)

চাকরির কন্ট্রাক্ট

ছবি ও ফি

3️⃣ CPF (Cadastro de Pessoa Física) সংগ্রহ

CPF হল ট্যাক্স আইডি নাম্বার, যেটা ছাড়া ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, বাড়ি ভাড়া, মোবাইল সিম, সবকিছু প্রায় অসম্ভব।

Receita Federal (কর দপ্তর) বা Banco do Brasil/Correios অফিস থেকে এটি করা যায়।

4️⃣ কর্মস্থলে যোগদান

ব্রাজিলে নিয়োগকর্তা আপনার CPF, CRNM এবং ওয়ার্ক ভিসার তথ্য দিয়ে Carteira de Trabalho Digital (ডিজিটাল ওয়ার্ক কার্ড)-এ নিবন্ধন করবেন।

এর মাধ্যমে আপনি আইনত সুরক্ষিত হবেন এবং মাসিক বেতন, ছুটি, স্বাস্থ্যবীমা, পেনশন সবকিছু পাবেন।

5️⃣ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা

ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে সাধারণত লাগে:

পাসপোর্ট

CPF

ঠিকানার প্রমাণ (ভাড়া চুক্তি/বিল)

CRNM (কিছু ব্যাংক প্রাথমিকভাবে পাসপোর্ট ও CPF-এও করে দেয়)

6️⃣ বাসস্থান নিশ্চিত করা

প্রথমে অস্থায়ী ভাড়া বা হোস্টেলে থাকতে পারেন।

পরে CPF দিয়ে আনুষ্ঠানিক চুক্তি (Contrato de Locação) করে ভাড়া বাড়ি নেওয়া সহজ হয়।

7️⃣ স্বাস্থ্যসেবা (SUS নিবন্ধন)

ব্রাজিলে পাবলিক হেলথ সিস্টেম (SUS) বিদেশিদের জন্যও উন্মুক্ত।

CPF ও ঠিকানার প্রমাণ দিয়ে নিকটবর্তী posto de saúde থেকে নিবন্ধন করা যায়।

8️⃣ ভাষা ও সামাজিক জীবন

পর্তুগিজ শেখা চাকরি ও দৈনন্দিন জীবনের জন্য অপরিহার্য।

অনেক শহরে ফ্রি বা কম খরচে পর্তুগিজ কোর্স থাকে (বিশেষত অভিবাসীদের জন্য)।

9️⃣ পরিবার নিয়ে এলে

স্ত্রী/স্বামী ও সন্তানদের জন্য নির্ভরশীল ভিসা (VITEM XI) পাওয়া যায়।

তারা পড়াশোনা ও চিকিৎসার সুবিধা ভোগ করতে পারে।

🔟 ভিসা নবায়ন ও স্থায়ী বসবাস

আপনার কাজের কন্ট্রাক্ট অনুযায়ী ভিসার মেয়াদ নবায়ন করতে হবে।

সাধারণত নির্দিষ্ট সময় ব্রাজিলে কাজ করলে স্থায়ী বসবাস (Residência Permanente) এর জন্য আবেদন করা যায়।

বাংলাদেশীদের মনে যখন ব্রাজিলবাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে ব্রাজিল যেন এক বিশেষ আবেগের নাম। দূরত্বে হাজার হাজার মাইল দূরে হলেও...
09/14/2025

বাংলাদেশীদের মনে যখন ব্রাজিল

বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে ব্রাজিল যেন এক বিশেষ আবেগের নাম। দূরত্বে হাজার হাজার মাইল দূরে হলেও, এই দেশটি কখনোই অচেনা নয়। ফুটবল, সংস্কৃতি আর জীবনের রঙিন বৈচিত্র্যে ভরপুর ব্রাজিল, বাংলাদেশীদের মনে জায়গা করে নিয়েছে ভিন্ন এক অনুভূতির মাধ্যমে।

ফুটবলের টানে অদ্ভুত এক ভালোবাসা

বাংলাদেশে ব্রাজিল মানেই প্রথমেই মনে আসে ফুটবল। বিশ্বকাপ এলেই গ্রাম থেকে শহর, প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে নগরের অলিগলি—সবখানে দেখা যায় ব্রাজিলের হলুদ-সবুজ পতাকা।

পেলé, রোনালদো, রোনালদিনহো থেকে নেইমার—এই নামগুলো কেবল খেলোয়াড় নয়, তারা হয়ে উঠেছে স্বপ্নের প্রতীক।

বাংলাদেশের কিশোর-কিশোরীরা ব্রাজিলের খেলার জাদু দেখে ফুটবলের মাঠে দৌড়ায়।

একেকটি ম্যাচ যেন বাংলাদেশীদের জন্য উৎসব, যেখানে আনন্দ, কান্না, উত্তেজনা মিলেমিশে যায়।

স্বপ্নের দেশ হিসেবে ব্রাজিল

ফুটবলের বাইরে ব্রাজিল বাংলাদেশীদের কাছে আরেকটি বড় আকর্ষণ হলো জীবন ও কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা।

অনেকেই ব্রাজিলকে দেখেন নতুন জীবনের স্বপ্নের দেশ হিসেবে।

ইউরোপ-আমেরিকার মতো ব্যয়বহুল না হলেও, ব্রাজিলের অর্থনীতি, কৃষি, শিল্প আর ব্যবসায়িক সুযোগ বাংলাদেশীদের আগ্রহী করে তোলে।

কর্মসংস্থান, পড়াশোনা কিংবা ব্যবসার খোঁজে অনেকেই ব্রাজিলে পাড়ি জমান।

সাংস্কৃতিক টানাপোড়েন ও মেলবন্ধন

বাংলাদেশের মানুষের চোখে ব্রাজিল শুধু ফুটবল বা কর্মসংস্থানের দেশ নয়, বরং এক বর্ণিল সংস্কৃতির প্রতিচ্ছবি।

সাম্বা নৃত্য, রিও ডি জেনিরোর কার্নিভাল, আমাজনের প্রকৃতি—এসবই বাংলাদেশীদের কল্পনায় এক বিশেষ মায়া জাগায়।

দুই দেশের সংস্কৃতি ভিন্ন হলেও, অতিথিপরায়ণতা আর আন্তরিকতায় মিল রয়েছে।

যেমন বাংলাদেশীরা আবেগপ্রবণ, তেমনি ব্রাজিলিয়ানরাও জীবনকে উৎসবমুখর করে তুলতে জানে।

আবেগের রঙে আঁকা ব্রাজিল

বাংলাদেশীদের মনে ব্রাজিল তাই শুধু একটি দেশ নয়—
এটি এক আবেগ, এক রঙিন স্বপ্ন, এক মিলনের ঠিকানা।

যখন বিশ্বকাপ চলে, তখন ব্রাজিল হয়ে ওঠে বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।

আবার যারা সেখানে গেছেন, তাদের কাছে ব্রাজিল এক বাস্তবতা—নতুন জীবনের গল্প।

দূর দেশে থেকেও বাংলাদেশীদের মনে ব্রাজিলের জন্য রয়েছে ভালোবাসা, কৃতজ্ঞতা আর অনন্ত আকর্ষণ।

উপসংহার

বাংলাদেশীদের কাছে ব্রাজিল হলো খেলার উন্মাদনা, জীবনের সুযোগ আর রঙিন কল্পনার মিশ্রণ। একদিকে বিশ্বকাপ ফুটবলে অশ্রু আর হাসির আবেগ, অন্যদিকে নতুন জীবনের স্বপ্ন—সব মিলিয়ে ব্রাজিল হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে চিরচেনা এক নাম।

চীনে ব্রাজিলীয়দের জন্য নতুন ভিসা-মুক্ত সুযোগচীন সম্প্রতি এক গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দিয়েছে, যেখানে ব্রাজিলসহ ল্যাটিন আমেরিকা...
09/07/2025

চীনে ব্রাজিলীয়দের জন্য নতুন ভিসা-মুক্ত সুযোগ

চীন সম্প্রতি এক গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দিয়েছে, যেখানে ব্রাজিলসহ ল্যাটিন আমেরিকার মোট পাঁচটি দেশের নাগরিকদের জন্য ভিসা-মুক্ত প্রবেশাধিকার চালু করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্রাজিলীয়রা এখন থেকে ৩০ দিন পর্যন্ত চীনে অবস্থান করতে পারবেন, কোনো ভিসা ছাড়াই।

এটি মূলত চীনের বৈশ্বিক কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়ন ও পর্যটন খাতকে আরও প্রাণবন্ত করার একটি উদ্যোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে এই ভিসা-মুক্ত সুবিধা এক বছরের জন্য কার্যকর করা হয়েছে। এই সময়কালে চীন পর্যটন প্রবাহ, অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রভাব মূল্যায়ন করবে।

চীনের এই পদক্ষেপে ব্রাজিলীয় নাগরিকদের জন্য ভ্রমণ আরও সহজ হলো, পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

“বিশ্বের দরজা উন্মুক্ত: ব্রাজিলীয় পাসপোর্টে ভ্রমণ এখন ১৭০ দেশে!”বর্তমান বিশ্বে আন্তর্জাতিক ভ্রমণ ক্রমশ সহজ হয়ে উঠছে। উন...
09/07/2025

“বিশ্বের দরজা উন্মুক্ত: ব্রাজিলীয় পাসপোর্টে ভ্রমণ এখন ১৭০ দেশে!”
বর্তমান বিশ্বে আন্তর্জাতিক ভ্রমণ ক্রমশ সহজ হয়ে উঠছে। উন্নত কূটনৈতিক সম্পর্ক ও ভিসা নীতির ফলে ব্রাজিলীয় নাগরিকরা বিশ্বের অন্যতম সুবিধাজনক পাসপোর্ট ব্যবহার করতে পারেন। এই প্রতিবেদনে ব্রাজিলীয় নাগরিকদের ভিসা-মুক্ত ও ভিসা-অন-অ্যারাইভ গন্তব্যসমূহের সংখ্যা এবং সাম্প্রতিক পরিবর্তন তুলে ধরা হলো।

পাসপোর্টের বৈশ্বিক অবস্থান

Henley Passport Index (জুলাই ২০২৫ অনুযায়ী):
ব্রাজিলের পাসপোর্ট বিশ্বের ১৬তম স্থানে। এ পাসপোর্টধারীরা মোট ১৬৬টি গন্তব্যে ভিসা-মুক্ত, ভিসা-অন-অ্যারাইভ অথবা ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথরাইজেশন (eTA) সুবিধা পান।

VisaIndex.com তথ্য:
ব্রাজিলীয় নাগরিকরা ১৭২টি গন্তব্যে ভিসা ছাড়াই বা সহজে ভ্রমণ করতে পারেন। এর মধ্যে প্রায় ১৩২টি দেশে সম্পূর্ণ ভিসা-মুক্ত প্রবেশাধিকার রয়েছে।

সাম্প্রতিক পরিবর্তন

চীন ভ্রমণ সুবিধা (১ জুন ২০২৫ থেকে):
চীন ঘোষণা করেছে যে ব্রাজিলসহ ল্যাটিন আমেরিকার পাঁচটি দেশের নাগরিকরা ৩০ দিনের জন্য ভিসা-মুক্ত প্রবেশ উপভোগ করবেন। প্রাথমিকভাবে এই সুবিধা এক বছরের জন্য কার্যকর।

ব্রাজিলের পাসপোর্ট আন্তর্জাতিক ভ্রমণে একটি শক্তিশালী পরিচয়পত্র হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

বর্তমানে ব্রাজিলীয় নাগরিকরা প্রায় ১৬৬–১৭২টি দেশের ভ্রমণ সুবিধা পাচ্ছেন।

এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশে রয়েছে সম্পূর্ণ ভিসা-মুক্ত প্রবেশাধিকার, আবার কিছু দেশে ভিসা-অন-অ্যারাইভ বা eTA প্রযোজ্য।

নতুন নীতি অনুযায়ী চীনে ভিসা ছাড়াই ভ্রমণের সুযোগ ব্রাজিলীয়দের বৈশ্বিক ভ্রমণ সুবিধাকে আরও সম্প্রসারিত করেছে।

🇧🇩💸 “আমাদের রেমিটেন্স, এক একজন বীর সৈনিকের প্রচেষ্টা”প্রবাসী বাংলাদেশিরা শুধু নিজেদের পরিবার নয়, পুরো দেশের অর্থনীতিকেও...
08/20/2025

🇧🇩💸 “আমাদের রেমিটেন্স, এক একজন বীর সৈনিকের প্রচেষ্টা”

প্রবাসী বাংলাদেশিরা শুধু নিজেদের পরিবার নয়, পুরো দেশের অর্থনীতিকেও শক্তিশালী করছেন। প্রতিটি রেমিটেন্স একটি বীর সৈনিকের পরিশ্রম, অধ্যবসায় এবং ত্যাগের প্রতীক। 💪🌏

আপনারা জানেন কি? প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো রেমিটেন্স শুধু পরিবারকে সমৃদ্ধ করছে না, দেশের অবকাঠামো, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতকেও নতুন প্রাণ দিচ্ছে।
➡️ প্রতিটি টাকা এক নতুন আশা, এক নতুন সম্ভাবনার সোপান।

আজ আমরা ধন্যবাদ জানাই সেই সমস্ত প্রবাসী বীর সৈনিককে, যারা নিজের পরিবার এবং দেশের জন্য প্রতিদিন লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। ❤️

বাংলাদেশিদের ব্রাজিলে নাগরিকত্ব প্রাপ্তি: নিয়ম, প্রক্রিয়া ও বর্তমান চিত্র🔹 ব্রাজিলীয় নাগরিকত্বের নিয়মবিদেশিরা ব্রাজিলে ন...
08/17/2025

বাংলাদেশিদের ব্রাজিলে নাগরিকত্ব প্রাপ্তি: নিয়ম, প্রক্রিয়া ও বর্তমান চিত্র
🔹 ব্রাজিলীয় নাগরিকত্বের নিয়ম

বিদেশিরা ব্রাজিলে নাগরিকত্ব পেতে পারেন নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণের মাধ্যমে:

কমপক্ষে ৪ বছর স্থায়ীভাবে বসবাস করতে হবে।

পর্তুগিজ ভাষায় যোগাযোগের দক্ষতা থাকতে হবে।

অপরাধমুক্ত জীবন থাকা আবশ্যক।

👉 তবে কিছু ক্ষেত্রে এই সময়সীমা কমে যায়:

১ বছর বসবাস যথেষ্ট, যদি আবেদনকারী ব্রাজিলীয় নাগরিকের স্ত্রী/স্বামী বা সন্তান হন, অথবা পর্তুগিজ ভাষাভাষী দেশের নাগরিক হন।

২ বছর বসবাস যথেষ্ট, যদি কেউ বিজ্ঞান, শিল্প, সংস্কৃতি বা বিশেষ দক্ষতায় ব্রাজিলে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।

🔹 আবেদন প্রক্রিয়া

অনলাইনে “Naturalizar-se” পোর্টালে আবেদন করতে হয়।

ফেডারাল পুলিশ বায়োমেট্রিক ও ডকুমেন্ট যাচাই করে।

এরপর মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত দেয় এবং চূড়ান্ত নাগরিকত্ব Official Gazette-এ প্রকাশিত হয়।

🔹 দ্বৈত নাগরিকত্ব (Dual Citizenship)

২০১৬ সাল থেকে ব্রাজিল দ্বৈত নাগরিকত্ব স্বীকৃতি দিয়েছে। অর্থাৎ বাংলাদেশিরা ব্রাজিলের নাগরিকত্ব নিলেও বাংলাদেশি পরিচয় হারায় না।
২০২৩ সালের সাংবিধানিক সংশোধনের ফলে নাগরিকত্ব আরও নিরাপদ হয়েছে—সরকারি অনুমতি ছাড়া আর তা বাতিল করা যাবে না।

🔹 বাংলাদেশিদের প্রেক্ষাপট

বর্তমানে আনুমানিক ৬ হাজার বাংলাদেশি ব্রাজিলে বসবাস করছেন—বেশিরভাগ সাও পাওলো, কুরিতিবা ও ব্রাসিলিয়ায়। তারা মূলত গার্মেন্টস, টেক্সটাইল, সার্ভিস, মুদি দোকান, রেস্তোরাঁ ও পোল্ট্রি ফার্মে কাজ করেন।
তবে বাংলাদেশিদের নাগরিকত্ব গ্রহণ সম্পর্কিত নির্দিষ্ট সংখ্যা বা সরকারি তথ্য এখনও প্রকাশ হয়নি। বেশিরভাগই অভিবাসী বা শরণার্থী মর্যাদায় আছেন।

🔹 বাস্তব অভিজ্ঞতা

কয়েকজন অভিবাসীর অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, সব শর্ত পূরণ করলে প্রায় ২–৪ বছরের মধ্যেই নাগরিকত্ব পাওয়া সম্ভব।

ব্রাজিলীয় স্বামী/স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহিত বাংলাদেশিরা অনেক দ্রুত নাগরিকত্বের সুযোগ পান—কখনও মাত্র ১ বছর বসবাসের পরই আবেদন করা সম্ভব।

🔹 উপসংহার

ব্রাজিল বর্তমানে বিদেশিদের জন্য নাগরিকত্ব পাওয়ার অন্যতম উন্মুক্ত দেশ। যদিও বাংলাদেশিদের নাগরিকত্ব প্রাপ্তির সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই, তবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, ব্যবসা-বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক বিনিময় বৃদ্ধির ফলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশি অভিবাসীদের নাগরিকত্ব গ্রহণের প্রবণতা আরও বাড়তে পারে।

✅ #হ্যাশট্যাগ

ব্রাজিলিয়ান পাসপোর্ট: ভিসা-স্বাধীনতায় দক্ষিণ আমেরিকার নেতাপাসপোর্টের শক্তি ও র‌্যাংকিংব্রাজিলের পাসপোর্ট বর্তমানে Henley...
08/16/2025

ব্রাজিলিয়ান পাসপোর্ট: ভিসা-স্বাধীনতায় দক্ষিণ আমেরিকার নেতা
পাসপোর্টের শক্তি ও র‌্যাংকিং

ব্রাজিলের পাসপোর্ট বর্তমানে Henley Passport Index 2025 অনুসারে বিশ্বের ১৬তম শক্তিশালী পাসপোর্ট। দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম শীর্ষস্থানীয় পাসপোর্ট হিসেবে স্বীকৃত।

কতগুলো দেশে ভিসা-মুক্ত ভ্রমণ সম্ভব?

ব্রাজিলিয়ান নাগরিকরা প্রায় ১৭০টি দেশ ও অঞ্চল ভিসা ছাড়া, ভিসা অন অ্যারাইভাল বা ই-ভিসার মাধ্যমে ভ্রমণ করতে পারেন। এর মধ্যে রয়েছে ইউরোপের শেংজেন দেশগুলো, যুক্তরাজ্য, জাপান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, নিউজিল্যান্ডসহ বহু গন্তব্য।

অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা

মেরকোস্যর অঞ্চল (দক্ষিণ আমেরিকা): শুধুমাত্র জাতীয় পরিচয়পত্র (ID) ব্যবহার করেই ভ্রমণ, বসবাস, কাজ ও শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ।

দ্বৈত নাগরিকত্ব: ব্রাজিল সরকার দ্বৈত নাগরিকত্বের অনুমতি দেয়।

স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা: ব্রাজিলের সার্বজনীন স্বাস্থ্যব্যবস্থা (SUS) নাগরিকদের নিরাপদ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করে।

আন্তর্জাতিক মর্যাদা: সহজ ভ্রমণ, বাণিজ্য, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানে আন্তর্জাতিক দরজা উন্মুক্ত করে।

সামগ্রিক বিশ্লেষণ

ব্রাজিলের পাসপোর্ট কেবল একটি ভ্রমণ ডকুমেন্ট নয়, বরং এটি দেশের আন্তর্জাতিক প্রভাব ও কূটনৈতিক শক্তির প্রতিফলন। বিশ্বের ১৭০টিরও বেশি দেশে ভিসা-মুক্ত ভ্রমণ সুবিধা, মেরকোস্যর অঞ্চলে বিশেষ অধিকার, এবং আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতার কারণে এই পাসপোর্টকে দক্ষিণ আমেরিকার সবচেয়ে সম্মানিত পাসপোর্টগুলোর একটি বলা যায়।

✍️ প্রতিবেদন প্রস্তুতকরণে সহায়ক তথ্যসূত্র: Henley Passport Index, Wikipedia, Brazil Visa Solutions, Global Citizen Solutions ইত্যাদি।

আর্জেন্টিনা: লাতিন আমেরিকার এক উজ্জ্বল অধ্যায়লাতিন আমেরিকার দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত আর্জেন্টিনা বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম দ...
08/15/2025

আর্জেন্টিনা: লাতিন আমেরিকার এক উজ্জ্বল অধ্যায়

লাতিন আমেরিকার দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত আর্জেন্টিনা বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম দেশ এবং আয়তনের দিক থেকে দক্ষিণ আমেরিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, কৃষি ও শিল্পভিত্তিক অর্থনীতি, সমৃদ্ধ সংস্কৃতি এবং ফুটবলের জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত এই দেশটি আজও পর্যটক ও বিনিয়োগকারীদের কাছে সমান আকর্ষণীয়।

অর্থনীতি

আর্জেন্টিনার অর্থনীতি মূলত কৃষি, পশুপালন, শিল্প এবং পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল। সয়াবিন, ভুট্টা, গম ও গরুর মাংস রপ্তানিতে দেশটি শীর্ষে রয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অর্থনৈতিক মন্দা ও মুদ্রাস্ফীতি দেশের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ালেও পর্যটন খাত GDP-এর প্রায় ৮.৮ শতাংশ অবদান রেখে স্থিতিশীলতা আনার চেষ্টা করছে।

রাজনীতি

১৯৮৩ সালে সামরিক শাসনের অবসান ঘটিয়ে আর্জেন্টিনা পূর্ণ গণতন্ত্রে ফিরে আসে। বর্তমানে দেশটি একটি ফেডারেল প্রজাতন্ত্র, যা ২৩টি প্রদেশ ও একটি স্বশাসিত রাজধানী (বুয়েনোস আইরেস) নিয়ে গঠিত। রাজনৈতিকভাবে দেশটি স্থিতিশীল হলেও অর্থনৈতিক ওঠানামা রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রে থাকে।

পর্যটন

আর্জেন্টিনা প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের জন্য বিখ্যাত। উত্তরের ইগুয়াজু জলপ্রপাত, দক্ষিণের প্যাটাগোনিয়া, তুষারাবৃত আন্দেস পর্বতমালা, উশুয়াইয়ার অ্যান্টার্কটিক সীমান্ত ও বুয়েনোস আইরেসের ট্যাঙ্গো নৃত্য—সব মিলিয়ে দেশটি এক স্বপ্নপুরী পর্যটকদের জন্য। প্রতিবছর লক্ষাধিক বিদেশি পর্যটক এখানে ভ্রমণ করেন।

শহরের সংখ্যা ও প্রধান নগর

দেশটিতে মোট ৯৬৩টি শহর রয়েছে। রাজধানী বুয়েনোস আইরেস মহানগরীতে প্রায় ১ কোটি ৬৭ লাখ মানুষ বাস করে। অন্যান্য প্রধান শহরের মধ্যে কর্ডোবা, রোসারিও, মেন্ডোজা, তুকুমান ও লা প্লাতা উল্লেখযোগ্য।

বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা নিয়ম

বাংলাদেশি নাগরিকদের আর্জেন্টিনা ভ্রমণের জন্য অগ্রিম ভিসা গ্রহণ বাধ্যতামূলক। সাধারণত ট্যুরিস্ট ভিসা ৯০ দিনের জন্য বৈধ থাকে। এর জন্য প্রয়োজন পাসপোর্ট (কমপক্ষে ৬ মাসের মেয়াদসহ), ছবি, ফ্লাইট ও হোটেল বুকিং, ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং কভার লেটার। ভিসা ফি প্রায় ১৫০ মার্কিন ডলার এবং প্রসেসিং সময় ৭ থেকে ১৫ কর্মদিবস। বর্তমানে ঢাকায় আর্জেন্টিনা দূতাবাস সক্রিয় রয়েছে।

বাংলাদেশি প্রবাসী

সরকারি পরিসংখ্যানে আর্জেন্টিনায় বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকের নির্দিষ্ট সংখ্যা নেই। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্যবসা ও কূটনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশিদের উপস্থিতি ধীরে ধীরে বাড়ছে।

বিশ্ব ফুটবলের আবেগময় এই দেশটি অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হলেও পর্যটন, সংস্কৃতি ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাধ্যমে এখনও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শক্ত অবস্থান ধরে রেখেছে।

#পর্যটন #ভিসা #অর্থনীতি #রাজনীতি #বাংলাদেশ_প্রবাসী

🇲🇽 মেক্সিকো পাসপোর্ট র‍্যাঙ্কিং ২০২৫ 📜📊 Henley Passport Index (সবচেয়ে স্বীকৃত) • র‍্যাঙ্ক: ২২তম (বিশ্বব্যাপী) • ভিসা-ফ্র...
08/13/2025

🇲🇽 মেক্সিকো পাসপোর্ট র‍্যাঙ্কিং ২০২৫ 📜

📊 Henley Passport Index (সবচেয়ে স্বীকৃত)
• র‍্যাঙ্ক: ২২তম (বিশ্বব্যাপী)
• ভিসা-ফ্রি/ভিসা অন অ্যারাইভাল: ১৫৮টি দেশ



অন্যান্য সূচক:
• VisaIndex.com: ২৬তম, ১৫৯টি দেশ (১২২ ভিসা-ফ্রি, ৩৪ ভিসা অন অ্যারাইভাল, ৩ eTA)
• VisaFalcon: ২১তম, ১৫৮টি দেশ
• GetGoldenVisa.com: ২৩তম, ১৫৯টি দেশ
• VisaGuide Passport Index: ৫৪তম, ≈৩৫ ভিসা-ফ্রি + VOA + e-Visa ≈৩৫



✅ সংক্ষেপে: মেক্সিকোর পাসপোর্ট বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী পাসপোর্ট, ১৫৮+ দেশে সহজে ভ্রমণ সুবিধা দেয়।

🎭 ব্রাজিলের পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কার্নিভালের অর্থনৈতিক শক্তিব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরোর বিখ্যাত কার্নিভাল শুধু রঙিন পোশাক, সঙ...
08/10/2025

🎭 ব্রাজিলের পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কার্নিভালের অর্থনৈতিক শক্তি

ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরোর বিখ্যাত কার্নিভাল শুধু রঙিন পোশাক, সঙ্গীত আর নাচের উৎসব নয়—এটি দেশটির অর্থনীতির জন্য এক বিশাল শক্তি। প্রতিবছর এই উৎসব থেকে ব্রাজিলের অর্থনীতিতে যোগ হয় প্রায় ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

প্রায় ৫০ লাখ মানুষ সরাসরি এই কার্নিভালে অংশ নেন, যার মধ্যে প্রায় অর্ধেকই বিদেশি পর্যটক। পর্যটন খাত, হোটেল ব্যবসা, পরিবহন, খাদ্যপানীয় ও বিনোদন শিল্প—সবখানেই কার্নিভালের সময় আয় বহুগুণে বৃদ্ধি পায়।

উৎসব চলাকালীন প্রতিদিন গড়ে ৮ লাখ লিটার বিয়ার খাওয়া হয়, যা স্থানীয় ব্যবসায়ীদের জন্য বিরাট বাজার তৈরি করে। শুধু তাই নয়, সঙ্গীত, পোশাক ও নাচের প্রস্তুতির জন্য হাজার হাজার মানুষ সারা বছর কাজ করে এই উৎসবকে সফল করে তোলে।

রিও কার্নিভাল শুধু সংস্কৃতির নয়, অর্থনীতিরও হৃদস্পন্দন—যা প্রমাণ করে, উৎসব কেবল আনন্দ নয়, বরং একটি জাতির উন্নতির পথও হতে পারে।

📌 হ্যাশট্যাগ:
#ব্রাজিল #রিওকার্নিভাল #কার্নিভাল

Address

New York, NY
10024

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Bangladeshi community in South America-বাংলাদেশি কমিউনিটি posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Bangladeshi community in South America-বাংলাদেশি কমিউনিটি:

Share