Pink Info

Pink Info Pink Info is an information-based YouTube channel operated by Pink Media. Pink Info has been established with the aim of giving different types of information.

 #শুভ  #জন্মদিন… #আবদুল  #হক  #চৌধুরী চট্টলবিদ নামে পরিচিত ইতিহাসবিদ। তিনি আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদের অনুসারি ছিলেন।তিন...
08/24/2021

#শুভ #জন্মদিন…

#আবদুল #হক #চৌধুরী চট্টলবিদ নামে পরিচিত ইতিহাসবিদ। তিনি আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদের অনুসারি ছিলেন।

তিনি ১৯২২ সালের ২৪ আগস্ট চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার নোয়াজিষপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রাউজান হাইস্কুলে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত অধ্যয়ন করেন। পরবর্তীতে তার পিতার মৃত্যুর পর বিষয় সম্পত্তির ঝামেলায় জড়িয়ে পরায় আনুষ্ঠানিক লেখাপড়ার ইতি ঘটে তার। ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি নোয়াজিষপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন।প্রথীতযশা এই গবেষক "চন্দ্রাবতী" কাব্যের রচয়িতা কবি কোরেশী মাগণ-এর সপ্তম অধস্তন পুরুষ। তার পিতা আলহাজ্জ্ব সরফুদ্দিন ইঞ্জিনিয়ার রেঙ্গুন পোর্ট কমিশন-এ ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

তিনি চট্টগ্রাম অঞ্চলের ইতিহাস চর্চায় অভূতপুর্ব অবদান রাখেন। আমৃত্যু তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘরের ট্রাস্টিবোর্ডের সদস্য ছিলেন।

১৯৭১ সালে মহান জাতীয় মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় প্রদান, খাদ্য ও অর্থ সহায়তা প্রদান ও প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার দায়ে এই মহান মানুষটি ১৯৭১ সালের আগস্ট মাসের ১১ তারিখ পাক বাহিনীর হাতে তার তৃতীয় পুত্রসহ গ্রেফতার এবং নির্মমভাবে নির্যাতিত হন। পরবর্তীতে তিনি জামিনে মুক্তিলাভ করেন।

তিনি চট্টগ্রাম,সিলেট এবং আরাকানের ইতিহাস সম্পর্কে গবেষণা করে খ্যাতি অর্জন করেন। ইতিহাসবিদ হিসেবে তার কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে একুশে পদক দেয়া হয়। আবদুল হক চৌধুরীর স্মৃতি রক্ষার্থে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্র্ণালয় কর্তৃক নোয়াজিষপুরে স্মৃতিকেন্দ্র ও সংগ্রহশালা নির্মানাধীণ।

১৯৯৪ সালের ২৬ অক্টোবর, চট্টগ্রামে তার মৃত্যু হয়।

 #শুভ  #জন্মদিন… #বীণা  #দাস ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিকন্যা।...
08/24/2021

#শুভ #জন্মদিন…

#বীণা #দাস ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিকন্যা।

বীণা দাস ১৯১১ সালের ২৪ আগস্ট নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরে জন্মগ্রহণ করেন। কিন্তু তাদের আদি বাড়ি ছিল চট্টগ্রাম। তার পিতা ছিলেন ব্রাহ্মসমাজী পণ্ডিত ও দেশপ্রেমিক বেণী মাধব দাস ও মাতার নাম সরলা দাস। তার দিদি ছিলেন বিপ্লবী কল্যাণী দাস। পিতার আদর্শে প্রভাবিত হয়ে রাজনীতিতে যোগ দেন। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা সংগ্রামী যতীশ ভৌমিকের সাথে তার বিবাহ হয়।

কলকাতায় তিনি বেথুন কলেজে পড়াশুনা করেছেন। পরবর্তিতে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন।

বীণা দাসের পরিবার রাজনৈতিক পরিবার। অসহযোগ ও জাতীয় আন্দোলনের যোগ দেওয়ার কারণে তার দাদা কারাবরণ করেন। ছাত্রাবস্থায় তিনি রাজনৈতিক মনস্ক হয়ে ওঠেন। সে সময় যুগান্তর দল এর কতিপয় সদস্যের সাথে তার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়। ১৯২৮ সালে সাইমন কমিশন বয়কট করার জন্য বেথুন কলেজের ছাত্রীদের নিয়ে উঠে-পড়ে লেগেছিলেন। ১৯৩০ সালে ডালহৌসির অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের জন্য ছোট ছোট দলের নেতৃত্ব দেন এবং গ্রেপ্তার হন। বীণা দাস ব্রিটিশ বিরোধী সশস্ত্র বিপ্লবের নেত্রী ছিলেন এবং ১৯৩২ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এর সমাবর্তনে বাংলার ব্রিটিশ গভর্নর স্ট্যানলি জ্যাকসনের উপর পিস্তল দিয়ে গুলি চালান। এইসময় জ্যাকসনকে রক্ষা ও বীণা দাসকে ধরে ফেলার কৃতিত্ব অর্জন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্যার হাসান সোহরাওয়ার্দী। এই হত্যা প্রচেষ্টা চালানোর কারণে ৯ বছর কারাবরণ করেন বীণা দাস। ১৯৪১ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ কলকাতার কংগ্রেসের সম্পাদিকা ছিলেন তিনি। ১৯৪৬ থেকে ১৯৫১ সাল পর্যন্ত তিনি পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য ছিলেন। নোয়াখালির দাঙ্গার পরে সেখানে তিনি রিলিফের কাজ করতেন। স্বাধীনতার পরেও সামাজিক ও রাজনৈতিক কাজে নিজেকে ব্যপ্ত রাখেন। মরিচঝাঁপি গণহত্যার সময় তিনি প্রতিবাদী হন।

বীণা দাসের শেষ জীবন বেদনাদায়ক ও মর্মান্তিক। স্বামীর মৃত্যুর পরে তিনি হরিদ্বার চলে যান। ১৯৮৬ সালের ২৬ ডিসেম্বর ঋষিকেশে সহায় সম্বলহীন হয়ে পথপ্রান্তে মৃত্যুবরণ করেন।

আজ  #জাহাঙ্গীরনগর  #বিশ্ববিদ্যালয়  #প্রতিষ্ঠা  #বার্ষিকীজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়  আবাসিক সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। রাজধ...
08/20/2021

আজ #জাহাঙ্গীরনগর #বিশ্ববিদ্যালয় #প্রতিষ্ঠা #বার্ষিকী

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। রাজধানী ঢাকা থেকে ৩২ কিমি দূরে সাভারে এশিয়ান হাইওয়ের (ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক) পশ্চিম পার্শ্বে ৬৯৭.৫৬ একর ভূমির উপর এটি প্রতিষ্ঠিত।

১৯৬০ এর দশকে পাকিস্তান সরকার পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তানে একই ধরনের দু’টি আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৬৪ সালের জুন মাসে পূর্ব পাকিস্তান শিক্ষা বিভাগ ঢাকার কাছে একটি আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রকল্প গ্রহণ করে।

এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মূল লক্ষ্য ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর ক্রমবর্ধমান চাপ কমানো। ১৯৬৫ সালের জুনে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ এ প্রকল্পটি অনুমোদন করে। এই প্রকল্পের উপর ভিত্তি করে গাজীপুর জেলার সালনা এলাকায় প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ১৯৬৭ সালে সাভারে সরকারি দুগ্ধ খামারের কাছ থেকে ৭৫০ একর জমি বরাদ্দ নেওয়া হয়। বিশ শতকের আশির দশকের প্রথামার্ধে ক্যাম্পাসের দক্ষিণ পাশ থেকে ৫০ একর জায়গা বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রকে দিয়ে দেওয়া হয়।

১৯৭০ সালের এপ্রিল মাসে ‘জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ ১৯৭০’-এর আওতায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম শুরু হয় এবং অধ্যাপক সুরত আলী খানকে প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়। ১৯৭০ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর পাকিস্তান কেন্দ্রীয় কর্ম কমিশনের সদস্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক মফিজউদ্দীন আহমেদকে উপাচার্য নিযুক্ত করা হয়। একটি বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ৫টি অনুষদ যথা কলা ও মানবিক, সামাজিক বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, মৌলিক বিজ্ঞান ও ফলিত বিজ্ঞান নিয়ে এর কার্যক্রম শুরু করার সিদ্ধান্ত থাকলেও পরে শুধু সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধীন ৪টি বিভাগ নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। বিভাগগুলি হলো অর্থনীতি, ভূগোল, পরিসংখ্যান এবং গণিত। বাংলা ও ইংরেজি অগুরুত্বপূর্ণ থেকে যায়। শুরুতে ৪টি বিভাগে ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ছিল ১৫০ এবং শিক্ষকশিক্ষিকার সংখ্যা ছিল ২১। অধ্যাপক মালিক খসরু চৌধুরী ছিলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের প্রথম ডিন। রসায়ন এবং পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ২ জন অধ্যাপককে দায়িত্ব দেওয়া হয় নতুন বিভাগ খোলার জন্য। ৪টি বিভাগে ১৫০ জন ছাত্রছাত্রী নিয়ে স্নাতক শ্রেণীতে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৭১ সালের ৪ জানুয়ারি প্রথম ক্লাস শুরু হলেও ১৯৭১ সালের ১২ জানুয়ারি এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর রিয়ার অ্যাডমিরাল এস.এম আহসান। ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়টি একটি প্রকল্প আকারে পরিচালিত হয়। সে বছর জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ ১৯৭০ সংশোধন করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাশ হয়। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টি ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট, ১৯৭৩’ দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।

বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫টি অনুষদ রয়েছে: ম্যাথমেটিক্যাল অ্যান্ড ফিজিক্যাল সাইন্স, কলা ও মানবিক, সামাজিক বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, ব্যাবসায় শিক্ষা। এই ৫টি অনুষদের অধীনে ৩০টি বিভাগ রয়েছে। এসব বিভাগে শিক্ষার্থীরা স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করতে পারে। ইনস্টিটিউট অব রিমোট সেনসিং (আইআরএস), ইনস্টিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি (আইআইটি) এবং ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) নামে ৩টি ইনস্টিটিউট রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সব বিভাগেই গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের গবেষণালব্ধ থিসিস জমা দিতে হয়। স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভের পর শিক্ষার্থীরা এম.ফিল ও পিএইচ.ডি গবেষণা করতে পারে। অনুষদগুলি আলাদা আলাদা জার্নাল প্রকাশ করে। বিজ্ঞান অনুষদ থেকে জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভারসিটি জার্নাল অব সাইন্স, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ থেকে সোস্যাল সাইন্স রিভিউ, বায়োলজিক্যাল সাইন্স থেকে বাংলাদেশ জার্নাল অব লাইফ সাইন্স এবং কলা অনুষদ থেকে জাহাঙ্গীরনগর রিভিউ পার্ট-৩। বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয়ভাবে জাহাঙ্গীরনগর রিভিউ নামে একটি জার্নাল বের করে।

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রয়েছে কয়েকটি স্বচ্ছ পানির লেক। শীতের মৌসুমে প্রচুর অতিথি পাখি এখানে আসে। অতিথি পাখি দেখতে অনেক পর্যটক এখানে আসেন। ক্যাম্পাসের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। বিশ্ববিদ্যালয়টি সম্পূর্ণ আবাসিক; প্রত্যেক ছাত্রকে কোন না কোন হলে আবাসিকের ব্যবস্থা করা হয়।
সিন্ডিকেট সদস্য দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিচালিত। সিনেট হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক সংস্থা। কোন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত সিনেট গ্রহণ করে। অর্থকমিটি বার্ষিক বাজেট তৈরি করার পর সিনেট যাচাই-বাছাই করে তা অনুমোদন করে। ভাইস-চ্যান্সেলর নিয়োগের জন্য সিনেট তিন সদস্যের একটি প্যানেল তৈরি করে। এই প্যানেল থেকে চ্যান্সেলর চার বছরের জন্য একজন ভাইস-চ্যান্সেলর নিয়োগ দেন। প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর এবং রেজিস্টারও নিয়োগ দেন চ্যান্সেলর। নিয়মতান্ত্রিকভাবে চ্যান্সেলর হন রাষ্ট্রপতি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক এবং একাডেমিক প্রধান হলেন ভাইস-চ্যান্সেলর। ট্রেজারার বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক আর্থিক তহবিল দেখভাল করেন। একাডেমিক কাউন্সিল, অ্যাডভ্যান্স স্টাডিজ বোর্ড, অনুষদ এবং কোর্স সংক্রান্ত কমিটি একাডেমিক ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। বিভিন্ন অনুষদের ডিন এক বা দুই বছরের জন্য নির্বাচিত হন। তবে ডিন হওয়ার জন্য কমপক্ষে সহযোগী অধ্যাপক হতে হয়। বিভাগের সিনিয়র শিক্ষকদের মধ্য থেকে চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। বিভাগীয় চেয়ারম্যানদের কার্যকালের মেয়াদ তিন বছর। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক প্রধান হলেন রেজিস্ট্রার।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার খুবই সমৃদ্ধ। গ্রন্থাগারটিতে প্রায় ১ লাখ বই আছে। গ্রন্থাগারে রয়েছে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা। বিশ্ববিদ্যালয়ে ১টি কেন্দ্রীয় মসজিদ, ১টি জিমনাসিয়াম, ১টি সুইমিংপুল এবং ১টি ক্যাফেটেরিয়া এবং ছাত্রছাত্রীদের চিকিৎসার জন্য ১টি মেডিকেল সেন্টার রয়েছে। ক্যাম্পাসের বাইরের ছাত্রছাত্রীদের যাতায়াতের জন্য রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরিবহণ ব্যবস্থা। নতুন কলা ভবনের সম্মুখে নির্মিত ৭১ ফুট উচ্চতাসম্পন্ন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু শহীদ মিনার। বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে একটি উন্মুক্ত মঞ্চ যেখানে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড পরিচালিত হয়। ছাত্র-শিক্ষকদের মিলনায়তন হিসেবে রয়েছে একটি ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র। ৩০টিরও বেশি সাংস্কৃতিক সংগঠন তাদের কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দানের জন্য রয়েছে স্টুডেন্টস সেন্টার। বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে ২টি নামকরা ভাস্কর্য। কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে রয়েছে ‘সংসপ্তক’ এবং সামাজিক বিজ্ঞান ভবনের সামনে রয়েছে ‘অমর একুশে’। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের জন্য রয়েছে ১২টি আবাসিক হল। এর মধ্যে ৭টি ছাত্রদের এবং ৫টি ছাত্রীদের। বর্তমানে (২০১০) বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ১২,৩৪০, শিক্ষকশিক্ষিকার সংখ্যা ৫৭০ এবং কর্মকর্তাকর্মচারীর সংখ্যা ১৫৫৫।

 #শুভ  #জন্মদিন… #লাবণ্য  #প্রভা  #ঘোষ ভারতের একজন গান্ধীবাদী স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং মানভূম জেলায় অনুষ্ঠিত বাংলা ভাষা আ...
08/13/2021

#শুভ #জন্মদিন…

#লাবণ্য #প্রভা #ঘোষ ভারতের একজন গান্ধীবাদী স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং মানভূম জেলায় অনুষ্ঠিত বাংলা ভাষা আন্দোলনের একজন নেত্রী ছিলেন। জীবনের শেষভাগে তিনি দারিদ্র্যপীড়িত অবস্থায় একটি আশ্রমে বসবাস করেন। তার একমাত্র আয় ছিল স্বাধীনতা যোদ্ধাদের দেয়া ভাতা। ভারতের স্বাধীনতার আগে ও পরে সারা জীবন তিনি সাধারণ মানুষের অধিকারের জন্য লড়ে গেছেন।

লাবণ্য প্রভা ১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ই আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন। ১৯০৮ খ্রিষ্টাব্দে এগারো বছর বয়সে স্বাধীনতা সংগ্রামী অতুলচন্দ্র ঘোষের সাথে তার বিবাহ হয়। তিনি কখনও বিদ্যালয়ে যান নি, তবে তার বাবা তাকে শিখিয়েছিলেন। তাঁর পিতা ঋষি নবারুন চন্দ্রও একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। পিতা ঋষি নিবারণ চন্দ্র দাশগুপ্ত, লাবণ্য প্রভা ও তার স্বামী একত্রে পুরুলিয়ায় “শিল্পাশ্রম” স্থাপন করেন। এই স্থানে সুভাষ চন্দ্র বসু, চিত্তরঞ্জন দাশ ও অনেক স্বাধীনতা সংগ্রামী জড়ো হতেন। তিনি ছিলেন পুরুলিয়ার প্রথম মহিলা এমএলএ, যিনি লোক সেবক সংঘের হয়ে নির্বাচিত হন। তিনি মানভুম অঞ্চলে স্বাধীনতা সংগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র "শিল্পশ্রমে" সক্রিয় সদস্য ছিলেন। তিনি পুরুলিয়ার ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় নেতৃত্ব দেন। তার পুত্র অরুণ চন্দ্র ঘোষ এবং ঊর্মিলা মজুমদার ও স্বাধীনতা আন্দোলনে ছিলেন এবং তারাও মায়ের সঙ্গে শিল্পাশ্রমে থাকতেন।

লাবণ্য প্রভা শিল্পাশ্রমের সক্রিয় সদস্য হিসেবে মানভূম অঞ্চল থেকে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগ দেন। তিনি তার স্বামী কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত সাপ্তাহিক সাময়িকী “মুক্তি”-তে লেখালেখি করতে এবং ১৯৬১ সালে তাঁর স্বামীর মৃত্যুর পরে তিনি সাময়িকীর সম্পাদকের দায়িত্ব নিয়েছিলেন।

তিনি ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত লবণ সত্যাগ্রহ, ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দের ভারত ছাড়ো আন্দোলন ও ১৯৪৫ খ্রিষ্টাব্দের পতাকা সত্যাগ্রহ আন্দোলনে যোগদান করে বহুবার কারাবরণ করেন। ১৯৪১ সালে তিনি পৃথক সত্যগ্রহ পালন করেছিলেন এবং ব্রিটিশরা তাকে গ্রেপ্তার করেছিল। ১৯৪২ সালে মহাত্মা গান্ধীর আহ্বানে ভারতছাড় আন্দোলনের অংশ হিসাবে লাবণ্য প্রভা ঘোষ এবং তাঁর কন্যা কমলা ঘোষ একত্রে মিলে পুরুলিয়ার শিল্পআশ্রমে প্রতিবাদের আয়োজন করেছিলেন এবং উভয়কে ব্রিটিশরা গ্রেপ্তার করেছিল। তিনি ব্রিটিশ রাজত্বকালে পুরুলিয়ায় হওয়া বেশ কয়েকটি বিক্ষোভের শীর্ষনেত্রী ছিলেন।

ভারতের স্বাধীনতা লাভের পর লাবণ্য প্রভা বিহারের মানভূম জেলায় বাংলা ভাষা আন্দোলনে যোগদান করেন। এই আন্দোলনে তিনি তিনবার গ্রেপ্তার হন। ১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দের ২০শে এপ্রিল তিনি পাকবিড়া গ্রাম থেকে কলকাতা শহরের দিকে শান্তিপূর্ণ পদযাত্রার নেতৃত্ব দেন ও ৭ই মে কলকাতা পৌছলে কারাবরণ করেন।

ভাষা আন্দোলনে অবদানের জন্য ভাষাশহীদ স্মারক সমিতির পক্ষ থেকে ২০০৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় তাকে সমাদৃত করেছিলেন।

২০০৩ খ্রিষ্টাব্দের ১১ই এপ্রিল ১০৬ বছর বয়সে অত্যন্ত দরিদ্র অবস্থায় তার মৃত্যু ঘটে।

 #ইতিহাসের_এই_দিনে ্ট   আজ ১১ আগস্ট ২০২১, বুধবার। ২৭ শ্রাবণ, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ। গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জী অনুসারে বছরের ২২৩ তম (অধ...
08/11/2021

#ইতিহাসের_এই_দিনে
্ট


আজ ১১ আগস্ট ২০২১, বুধবার। ২৭ শ্রাবণ, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ। গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জী অনুসারে বছরের ২২৩ তম (অধিবর্ষে ২২৪ আজ ১১ আগস্ট ২০২১, বুধবার। ২৭ শ্রাবণ, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ। গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জী অনুসারে বছরের ২২৩ তম (অধিবর্ষে ২২৪তম) দিন।

এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনাবলি

৬৮৩ - মুসলমানরা সমরখন্দ বিজয় লাভ করে।

১৭৮০ - বার্বাডোজে হারিকেন শুরু হয়।

১৮১০ - আজোরে ভয়াবহ ভূমিকম্পে সাও মিগুয়েল গ্রাম তলিয়ে যায়।

১৮৮৪ - টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করেন অস্ট্রেলিয়ার ম্যাকডোনেল।

১৮৮৮ - ক্যালিফোর্নিয়া থিয়েটার বন্ধ হয়ে যায়।

১৯০৮ - দেশপ্রেমিক ও বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর ফাঁসি কার্যকর হয়।

১৯০৯ - রেডিওর বিপদবার্তা বা এস ও এসের ব্যবহার শুরু হয়।

১৯১৪ - জন রে অ্যানিমেশন পেটেন্ট করেন।

১৯২২ - বাংলাদেশের জাতীয় কবি ও বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ধুমকেতু পত্রিকা প্রকাশিত হয়।

১৯২৯ - ইরাক ও পারস্য শান্তিচুক্তি করে।

১৯২৯ - রাশিয়া ও চীনের সীমান্তে যুদ্ধ শুরু হয়।

১৯৫২ - মানসিক অসুস্থতার জন্য জর্দানের বাদশাহ তালাল সিংহাসনচ্যুত হন।

১৯৮৬ - এশিয়ার জনসংখ্যা ৩শ কোটি পূর্ণ হয়।

২০০৪ - পাকিস্তান পরমাণু বিস্তার রোধ না করলে দেশটির ওপর মার্কিন কংগ্রেসের নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাব গ্রহণের আহবান করা হয়।

২০০৮ - গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে নারীদের ৪০০ মিটার ফ্রিস্টাইল শেষ হয়। একই দিনে নারীদের ২০০ মিটার ফ্রিস্টাইল সাঁতার প্রতিযোগিতা শুরু হয়।

জন্ম

১৭৩৭ - ইংরেজ ভাস্কর জোসেফ নোলেকেনস।

১৮৫৮ - নোবেলজয়ী [১৯২৯] ওলন্দাজ চিকিৎসক ক্রিস্টিয়ান আইকমান।

১৯০৮ - রবীন্দ্র বিশারদ পুলিন বিহারী সেন।

১৯১১ - সাংবাদিক প্রেম ভাটিয়া।

১৯২৯ - খ্যাতনামা সঙ্গীতশিল্পী ও সুরকার মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়।

১৯৭০ - জিয়ানলুকা পেসোত্তো, ইতালীয় ফুটবলার।

১৯৩৭ - সালমা সোবহান, বাংলাদেশের প্রখ্যাত ব্যরিস্টার, শিক্ষক, মানবাধিকারকমী।

মৃত্যু

১৯৯৫ - আলোন্‌জো চার্চ, মার্কিন গণিতবিদ এবং যুক্তিবিদ।

১৯৫৫ - অমলেন্দু দাশগুপ্ত, বাঙালি সাহিত্যিক।

১৯৯৫ - মার্কিন গণিতবিদ এবং যুক্তিবিদ আলোন্জো চার্চ।

১৯৭২ - নোবেজয়ী [১৯৫১] আফ্রিকান-মার্কিন অণুজীব বিজ্ঞানী ম্যাক্স থিলাব।

২০০৪ - হুমায়ুন আজাদ, বাংলাদেশী লেখক ও ভাষাবিদ।

২০১২ - শাফাত জামিল বীর বিক্রম, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।

 #ইতিহাসের_এই_দিনে  ্ট  আজ ১০ আগস্ট ২০২১, মঙ্গলবার। ২৬ শ্রাবণ, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ। গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জী অনুসারে বছরের ২২২ তম...
08/10/2021

#ইতিহাসের_এই_দিনে
্ট


আজ ১০ আগস্ট ২০২১, মঙ্গলবার। ২৬ শ্রাবণ, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ। গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জী অনুসারে বছরের ২২২ তম (অধিবর্ষে ২২৩ তম) দিন।
এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনাবলি:

১৬৭৫ - রয়াল গ্রিনউইচ অবজারভেটরি স্থাপিত হয়।

১৯১১ - ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্যরা সর্বপ্রথম বেতন গ্রহণের পক্ষে ভোট দেন।

১৯১৩ - বলকান যুদ্ধ অবসানে বুখারেস্ট চুক্তি সম্পন্ন হয়।

১৯১৪ - অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে ফ্রান্স যুদ্ধ ঘোষণা করে।

১৯২০ - প্রথম বিশ্বযুদ্ধে পরাজিত ওসমানিয় সাম্রাজ্যের সাথে মিত্র পক্ষের একটি ঐতিহাসিক সেভ্র্‌ চুক্তি (Traité de Sèvres) স্বাক্ষরিত হয়।

১৯৩৭ - চীনের গুরুত্বপূর্ণ থংজং হ্রদ ও কানতুং প্রদেশের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য জাপান হামলা চালায় এবং দুই বছর ঐ দেশ দু’টির মধ্যে যুদ্ধ চলে ।

১৯৪৫ - দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের অন্তিম লগ্নে জাপান নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়।

২০০৭ - বাংলাদেশের আকাশ থেকে বিশাল আকৃতির একটি বরফ খণ্ড পড়ে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বিড়ালদহ মাজারের পাশের একটি বাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হয়।

জন্ম:
১৭৪০ - ইংরেজ সঙ্গীত স্রষ্টা স্যামুয়েল আর্নল্ড।

১৮৬০ - ভারতের প্রখ্যাত সংগীতজ্ঞ বিষ্ণু নারায়ণ।

১৮৭৪ - আমেরিকার ৩১তম প্রেসিডেন্ট হারবার্ট হুবা।

১৯০২ - নোবেল জয়ী (১৯৪৮) সুইডিশ রসায়নবিদ আর্নে তিসেলিউস।

১৯১৩ - পদার্থবিদ্যায় নোবেলজয়ী [১৯৮৯] জার্মান বিজ্ঞানী ভোলফ্গাঙ্গ পল।

১৯১৭ - ব্রাজিলীয় কথাসাহিত্যিক হোর্হে অ্যামাদোর।

১৯২৩ - এস এম সুলতান, বাংলাদেশের একজন বিখ্যাত চিত্রশিল্পী।

মৃত্যু:

০৮৪৭ - আল আবু জাফর হারুন ইবনে মুহাম্মদ আল মুতাসিম, তিনি ছিলেন আব্বাসীয় খলিফা।

১৭২৩ - গুইলাউমে ডুবইস, তিনি ছিলেন ফরাসি অঙ্কবাচক ও রাজনীতিবিদ।

১৭৫৯ - ষষ্ঠ ফেরডিনান্ড, তিনি ছিলেন স্পেনের রাজা।

১৯৬৬ - আলবার্ট উক্সিপ, তিনি ছিলেন এস্তোনিয়ান অভিনেতা, উদ্ভিদবিজ্ঞানী ও অনুবাদক।

১৯৭৫ - বার্ট ওল্ডফিল্ড, তিনি ছিলেন অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার।

১৯৮০ - ইয়াহিয়া খান, তিনি ছিলেন পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি ও সামরিক শাসক ছিলেন।

২০০২ - ক্রিস্টেন নিগার্ড, তিনি ছিলেন নরওয়েজিয়ান কম্পিউটার বিজ্ঞানী ও রাজনীতিবিদ।

২০০৮ - আইজাক হায়েজ, তিনি ছিলেন আমেরিকান গায়ক, গীতিকার, পিয়ানোবাদক, প্রযোজক ও অভিনেতা।

 #আন্তর্জাতিক  #আদিবাসী  #দিবসআন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস প্রতিবছর ৯ আগস্ট পালন করা একটি আন্তর্জাতিক দিবস। জাতিসংঘ ১৯৯৪ সাল...
08/09/2021

#আন্তর্জাতিক #আদিবাসী #দিবস

আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস প্রতিবছর ৯ আগস্ট পালন করা একটি আন্তর্জাতিক দিবস। জাতিসংঘ ১৯৯৪ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী পালন করে আসছে এই দিবসটি। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে আদিবাসী শব্দ নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে। বাংলাদশে সরকার সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে দেশের আদিবাসীদের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, সম্প্রদায় বা উপজাতি হিসেবে আখ্যায়িত করলেও বাংলাদেশের আদিবাসীরা নিজেদের আদিবাসী হিসেবে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। জাতিসংঘও তাদের দাপ্তরিক কাজে ইন্ডিজিনাস অর্থাৎ আদিবাসী শব্দটি ব্যবহার করে।

৫টি মহাদেশের ৪০টির বেশি দেশে বসবাসরত ৫ সহস্রাধিক আদিবাসী জনজাতি মানুষের সংখ্যা ৩০-৩৫কোটি। এদেরকে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন নামে পরিচয় প্রথম জাতি, উপজাতি, আদিবাসী, ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠি, ক্ষুদ্র-জাতিসত্ত্বা পরিচয় পাওয়া যায়। তবে আদিবাসী শব্দের সুর্নিদিষ্ট সংজ্ঞা ও তাদের অধিকার নিয়ে রয়েছে জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক তর্ক-বিতর্ক। জাতিসংঘে দীর্ঘ সময়ে বিভিন্ন আলোচনা-পর্যালোচনায় আদিবাসী সংজ্ঞা নিয়ে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেননি। তবে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার আদিবাসী জাতিসত্ত্বার আত্ম-পরিচয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিকভাবে অধিকার সংরক্ষণের জন্য আদিবাসী ও ট্রাইবেল জনগোষ্ঠি কনভেনশন-১৯৫৭(১০৭) ও পুনসংস্করণ আদিবাসী ও ট্রাইবেল জনগোষ্ঠি কনভেনশন-১৯৮৯(১৬৯) দুটি ধারা গৃহীত হয়।

২৩ ডিসেম্বর, ১৯৯৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বিশ্ব আদিবাসী দিবসটি পালনে ৪৯/২১৪ বিধিমালায় স্বীকৃতি পায়। আর্ন্তজাতিক দিবসটি বিশ্বের ৯০টি দেশে ৩৭০ বিলিয়ন আদিবাসীরা প্রতিবছর ৯ আগস্ট উদ্যাপন করে থাকেন। উল্লেখ্য, জাতিসংঘ কর্তৃক ১৯৯৩ সালকে আদিবাসীবর্ষ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। বিশ্বব্যাপী আদিবাসী জনগণ তাদের নিজস্ব সাংস্কৃতিক পরিচয়, ভূমির অধিকার, অঞ্চল বা টেরিটরির অধিকার, প্রাকৃতিক সম্পদের অধিকার ও নাগরিক মর্যাদার স্বীকৃতি দাবীতে দিবসটি পালিত হয়। কানাডার অস্ট্রেলিয়ায় ৫২টি আদিবাসী জাতিগোষ্ঠি(আমাটা, বামাগা, কয়েন প্রভৃতি) বা আদিবাসী বসবাস করছে। আমেরিকায় ক্রো জাতি, আর্জেন্টিনায় কাসি জাতি।

প্রতি বছর ৯ আগস্ট আর্ন্তজাতিক দিবসটি বিশ্বব্যাপী পালিত হলেও বাংলাদেশে ২০০৪ থেকে পালিত হয়ে আসছে। মূলত, ২০০১ সালে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম গঠিত হবার পরে বেসরকারীভাবে বৃহৎকারে আর্ন্তজাতিক দিবসটি পালিত হচ্ছে। বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, জয়পুরহাট, রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও,গাইবান্ধা, বগুড়া ইত্যাদি জেলাগুলিতে সাঁওতাল, শিং (গঞ্জু), ওঁরাও, মুন্ডারি, বেদিয়া মাহাতো, রাজোয়ার, কর্মকার, তেলী,তুরী, ভুইমালী, কোল, কড়া, রাজবংশী, মাল পাহাড়িয়া, মাহালী ইত্যাদি জাতিগোষ্ঠি বসবাস করছে। অন্যদিকে পার্বত্য চট্টগ্রামে (রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান) চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা, মুরং বা ম্রো, খিয়াং, লুসাই, পাংখোয়া,বম, খুমী ও চাক জনগোষ্ঠি বসবাস করছে। বিশ্বের তাবৎ আদিবাসী জনগোষ্ঠির পাশাপাশি বাংলাদেশের ৩০ লক্ষাধিক আদিবাসীরা তাদের নিজস্ব সাংস্কৃতিক পরিচয়, ভূমির অধিকার ও নাগরিক মর্যাদার স্বীকৃতি দাবীতে দিবসটি উদ্যাপন করে থাকেন।

বিভিন্ন দেশের সংখ্যায় ক্ষুদ্র জাতিসত্ত্বা ও আদিবাসীদের স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক পরিচয় তুলে ধরার গুরুত্ব নিয়েই পালন করা হয় এই আন্তর্জাতিক দিবসটি।

 #ইতিহাসের_এই_দিনে  ্ট   আজ ৯ আগস্ট, ২০২১, সোমবার। ২৫ শ্রাবণ, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ। গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জী অনুসারে বছরের ২২০ তম (অ...
08/09/2021

#ইতিহাসের_এই_দিনে
্ট


আজ ৯ আগস্ট, ২০২১, সোমবার। ২৫ শ্রাবণ, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ। গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জী অনুসারে বছরের ২২০ তম (অধিবর্ষে ২২২ তম) দিন। একনজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনাবলি:

১১৭৩ - পিসার টাওয়ার নির্মাণ শুরু হয়।

১৬৫৫ - লর্ড কর্নওয়েল ইংল্যান্ডকে ১১ জেলায় বিভক্ত করেন।

১৮১০ - নেপোলিয়ান ওয়েস্টফালিয়াকে ফরাসি সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করেন।

১৮৩১ - প্রথম বাষ্পীয় রেল ইঞ্জিন চলাচল শুরু হয়।

১৮৪২ - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মধ্যে সীমান্ত নির্ধারিত হয়।

১৯০২ - সপ্তম এডওয়ার্ড ইংল্যান্ডের রাজা হিসেবে অভিষিক্ত হন।

১৯১০ - আলভা ফিসার বৈদ্যুতিক ওয়াশিং মেশিনের প্যাটেন্ট লাভ করেন।

১৯১২ - ইস্তাম্বুলে ভূমিকম্পে ৬ হাজার নিহত হয় ও ৪০ হাজার গৃহহীন হয়।

১৯১৯ - ইরান ও বৃটিশ সরকারের মধ্যে একটি লজ্জাজনক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

১৯৪২ - দেশব্যাপী ‘ভারত ছাড়’ বা বিয়াল্লিশের আগস্ট আন্দোলন শুরু হয়।

১৯৪৫ - যুক্তরাষ্ট্র জাপানের নাগাসাকি শহরে দ্বিতীয় আণবিক বোমা বিক্ষেপ করে শহরটিকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছিল।

১৯৫৮ - আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশ দিয়ে প্রথম কেবল স্থাপন করা হয় ।

১৯৬৫ - সিঙ্গাপুর মালয়েশিয়া থেকে পৃথক হয়ে স্বাধীনতা লাভ করে ।

১৯৭৪ - মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিকসন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন।

২০০৮ - গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে পুরুষদের ৪০০ মিটার ফ্রিস্টাইল সাঁতার প্রতিযোগিতা শুরু হয়।

জন্ম:

১৬৩১ - জন ড্রাইডেন, তিনি ছিলেন ইংরেজ কবি ও অনুবাদক।

১৭৭৬ - আমাদিও আভোগাদ্রো, তিনি ছিলেন ইতালিয়ান পদার্থবিদ ও রসায়নবিদ।

১৮৯৬ - জঁ উইলিয়াম ফিস পিয়াজেঁ, তিনি ছিলেন সুইস মনোবিজ্ঞানী ও দার্শনিক।

১৮৯৯ - পি. এল. ট্রাভেরস, তিনি ছিলেন অস্ট্রেলীয় বংশোদ্ভূত ইংরেজ লেখক ও অভিনেত্রী।

১৯১১ - উইলিয়াম আলফ্রেড ফোলার, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী।

১৯১৪ - টভে জ্যানসন, তিনি ছিলেন ফিনিশ লেখক।

১৯২৭ - মার্ভিন লী মিন্সকি, তিনি ছিলেন আমেরিকান কম্পিউটার বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ।

১৯৩১ - মারিও জাগালো, তিনি প্রখ্যাত ব্রাজিলীয় ফুটবল খেলোয়াড় ও কোচ।

১৯৩৯ - রোমানো প্রোদি, তিনি ইতালীয় রাজনীতিবিদ।

১৯৪৭ - রায় হোডগসন, তিনি ইংরেজ সাবেক ফুটবল খেলোয়াড় ও ম্যানেজার।

১৯৫৩ - জ্যাঁ মারসেল তিরোল, তিনি নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি অর্থনীতিবিদ ও অধ্যাপক।

১৯৫৭ - মেলানি গ্রিফিথ, তিনি আমেরিকান অভিনেত্রী ও প্রযোজক।

১৯৬১ - জন কি, তিনি নিউজিল্যান্ডের ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ ও ৩৮তম প্রধানমন্ত্রী।

১৯৬৩ - হুইটনি হিউস্টন, তিনি আমেরিকান গায়ক, গীতিকার, প্রযোজক ও অভিনেত্রী।

১৯৬৮ - এরিক বানা, তিনি অস্ট্রেলিয়ান অভিনেতা, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার।

১৯৭৩ - ফিলিপ্পো ইনজাঘি, তিনি ইতালিয়ান সাবেক ফুটবলার ও ম্যানেজার।

১৯৭৬ - আউড্রেয় টাউটোউ, তিনি ফরাসি মডেল ও অভিনেত্রী।

১৯৭৭ - মিকায়েল সিলভেস্ত্রে, তিনি একজন ফরাসি ফুটবলার।

১৯৮৫ - অ্যানা কেন্ড্রিক, তিনি আমেরিকান অভিনেত্রী ও গায়িকা।

মৃত্যু:

০১১৭ - টরাজান, তিনি ছিলেন রোমান সম্রাট।

০৩৭৮ - ভালেন্স, তিনি ছিলেন রোমান সম্রাট।

০৮৩৩ - আবু জাফর আবদুল্লাহ আল মামুন ইবনে হারুন, তিনি ছিলেন আব্বাসীয় খলিফা।

১৫৩৪ - টমাস কাজেটান, তিনি ছিলেন ইতালিয়ান অঙ্কবাচক ও দার্শনিক।

১৮৮৬ - স্যামুয়েল ফার্গুসন, তিনি ছিলেন আইরিশ কবি।

১৯১৯ - রুগেরো লেওনকাভালো, তিনি ছিলেন ইতালীয় সুরকার ও শিক্ষাবিদ।

১৯৩২ - জন চার্লস ফিল্ডস, তিনি ছিলেন কানাডিয়ান গণিতবিদ, ফিল্ডস পদকের প্রতিষ্ঠাতা।

১৯৪৩ - চাইম সউটিনে, তিনি ছিলেন বেলারুশিয় বংশোদ্ভূত ফরাসি চিত্রকর ও শিক্ষাবিদ।

১৯৪৬ - আলবার্ট এডওয়ার্ড আর্নেস্ট বার্ট ভগলার, তিনি ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার।

১৯৬২ - হেরমান হেস, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জার্মান বংশোদ্ভূত সুইস লেখক ও কবি।

১৯৬৯ - সেসিল ফ্র্যাংক পাওয়েল, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইংরেজ পদার্থবিদ।

১৯৬৯ - শ্যারন টেট, তিনি ছিলেন আমেরিকান মডেল ও অভিনেত্রী।

১৯৭০ - ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী, তিনি ছিলেন ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের বাঙালি বিপ্লবী।

১৯৭৫ - দিমিত্রি শোস্টাকোভিচ, তিনি ছিলেন রাশিয়ান পিয়ানোবাদক ও সুরকার।

২০০০ - জন হারসানয়ি, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী হাঙ্গেরিয়ান বংশোদ্ভূত আমেরিকান অর্থনীতিবিদ।

২০০৬ - ফিলিপ ই. হাই, তিনি ছিলেন ইংরেজ লেখক।

২০০৮ - বার্নি ম্যাক, তিনি ছিলেন আমেরিকান কৌতুকাভিনেতা, অভিনেতা, চিত্রনাট্যকার ও প্রযোজক।

২০০৮ - মাহমুদ দারউইশ, তিনি ছিলেন ফিলিস্তিনি লেখক ও কবি।

২০১২ - মেল স্টুয়ার্ট, তিনি ছিলেন আমেরিকান পরিচালক ও প্রযোজক।

 #শুভ  #জন্মদিন… #শেখ  #ফজিলাতুন্নেছা  #মুজিব ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম ফার্স্ট লেডি এবং প্রথম রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজ...
08/08/2021

#শুভ #জন্মদিন…

#শেখ #ফজিলাতুন্নেছা #মুজিব ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম ফার্স্ট লেডি এবং প্রথম রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর স্ত্রী।

তিনি ৮ আগস্ট ১৯৩০ সালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাকনাম ছিল রেনু। তার পিতার নাম শেখ জহুরুল হক ও মাতার নাম হোসনে আরা বেগম। পাঁচ বছর বয়সে তার পিতা-মাতা মারা যান। তিনি তার স্বামী শেখ মুজিবুর রহমানের চাচাতো বোন ছিলেন। শেখ মুজিবের বয়স যখন ১৩ ও বেগম ফজিলাতুন্নেসার বয়স যখন মাত্র তিন, তখন পরিবারের বড়রা তাদের বিয়ে ঠিক করেন। ১৯৩৮ সালে বিয়ে হবার সময় রেনুর বয়স ছিল ৮ বছর ও শেখ মুজিবের ১৮ বছর। পরে এই দম্পতির দুই কন্যা ও তিন ছেলে হয়। তারা হলেন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা এবং শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বেগম ফজিলাতুন্নেসা পরিবারের অন্য সদস্যদের (শেখ হাসিনা, শেখ জামাল, শেখ রেহানা, শেখ রাসেল, এম এ ওয়াজেদ মিয়া এবং অন্যান্য) সাথে মগবাজার অথবা কাছাকাছি কোনো এলাকার এক ফ্ল্যাট থেকে পাকিস্তান সেনাবাহিনী কর্তৃক গ্রেফতার হয়েছিলেনে ১২ মে ১৯৭১ এবং ধানমন্ডির বাড়ি ২৬, সড়ক ৯এ (পুরনো ১৮) তে বন্দি অবস্থায় ছিলেন ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট, এক দল নিম্নপদস্থ সেনা কর্মকর্তারা রাষ্ট্রপতির বাসভবন আক্রমণ করে শেখ মুজিবকে, তাকে, তার পরিবারের সদস্যদেরকে এবং তাঁদের ব্যক্তিগত কর্মচারীদেরকে হত্যা করে। এই হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত আছেন ফজিলাতুন্নেছার দশ বছরের ছেলে শেখ রাসেল, তার বাকি দুই ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল, পুত্রবধু সুলতানা কামাল এবং রসি জামাল, ভাই আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, দেবর শেখ নাসের, ভাতিজা শেখ ফজলুল হক মণি এবং তার স্ত্রী আরজু মণি। সেসময় পশ্চিম জার্মানি সফরে থাকার কারণে শুধুমাত্র তার কন্যাদ্বয় শেখ হাসিনা ওয়াজেদ এবং শেখ রেহানা প্রাণরক্ষা পান। পরে তাদেরকে বাংলাদেশ আসতে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। এই অভ্যুত্থান পরিকল্পনা করে অসন্তুষ্ট আওয়ামী লীগের সহকর্মী এবং সেনা কর্মকর্তারা, যার মধ্যে ছিল মুজিবের সহকর্মী এবং প্রাক্তন বিশ্বাসপাত্র খন্দকার মোশতাক আহমেদ তিনি তৎক্ষণাৎ রাষ্ট্রপতির উত্তরসূরি হন। ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের ‘ঢাকা ইউজিন বোস্টার’ বক্তব্যের উপর ভিত্তি করে লরেন্স লিফশুলজ সিআইএকে এই অভ্যুত্থান এবং হত্যার জন্য অভিযুক্ত করেন।

তার স্মরণে বঙ্গবন্ধু মেমরিয়াল ট্রাস্ট মালয়েশীয় হাসপাতাল কেপিজে এর সাথে একত্রিত হয়ে ‘শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমরিয়াল কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতাল এবং নার্সিং কলেজ’ প্রতিষ্ঠা করে। হাসপাতালটি প্রবর্তিত করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং মালেশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজ্জাক।

তাঁর নামে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়টি, জামালপুর ও সরকারি শেখ ফজিলাতুন নেসা মুজিব মহিলা মহাবিদ্যালয় এর নামকরণ এবং শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রাবাস, ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকা; বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল (ছাত্রী হল), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়; বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল (ছাত্রী হল), ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ ও শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল,(ছাত্রী হল), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরণ করা হয়।

 #ইতিহাসের_এই_দিনে  ্ট   আজ ৮ আগস্ট, ২০২১, রবিবার। ২৪ শ্রাবণ ১৪২৮ বঙ্গাব্দ। গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জী অনুসারে বছরের ২২০তম (অধি...
08/08/2021

#ইতিহাসের_এই_দিনে
্ট


আজ ৮ আগস্ট, ২০২১, রবিবার। ২৪ শ্রাবণ ১৪২৮ বঙ্গাব্দ। গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জী অনুসারে বছরের ২২০তম (অধিবর্ষে ২২১তম) দিন।

এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনাবলী:

১২২০ - সুইডেন লিহুলার যুদ্ধে এস্টানিয়ান উপজাতির কাছে পরাজিত হয়।

১৫৪৯ - ফ্রান্স ব্রিটেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।

১৭৯৬ - ৪৪ সদস্য নিয়ে বোস্টন আফ্রিকান সোসাইটি গঠিত হয়।

১৮১০ - ঊর্দু কবি মির্জা গালিব নবাব ইলাহী বকসের কন্যা মারুফকে বিয়ে করেন।

১৮১৫ - নেপোলিয়ন বোনাপার্ট সেন্ট হেলেনের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন।

১৮৬৪ - জেনেভায় রেডক্রস গঠিত হয়।

১৮৬৪ - আন্তর্জাতিক রেডক্রস যুদ্ধকালে আক্রান্ত না হওয়ার অধিকার পায়।

১৯০৬ - বিপিনচন্দ্র পালের সম্পাদনায় ইংরেজি দৈনিক ‘বন্দেমাতরম’ প্রথম প্রকাশিত হয়।

১৯৪৯ - ইকুয়েডরে প্রবল ভূ-কম্পনে দশ হাজার লোক মৃত্যুবরণ করে।

১৯৫৫ - জেনিভায় পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ৭২টি দেশের ১২০০ বিজ্ঞানীর এক আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হয়।

১৯৬৭ - দক্ষিণ এশীয় জাতিসমূহের সংস্থা আশিয়ান প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯৮৮ - দক্ষিণ আফ্রিকা, কিউবা ও অ্যাঙ্গোলায় যুদ্ধবিরতি ঘোষিত হয়।

জন্ম:

১৭৩২ - ইয়োহান ক্রিস্টফ আডেলুং, জার্মান ভাষাবিজ্ঞানী।

১৮৮৯ - জ্যাক রাইডার, অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার।

১৯০১ -সাইক্লোট্রন উদ্ভাবনের জন্য সুপরিচিত আর্নেস্ট লরেন্স নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী।

১৯১০ - সিলভিয়া সিডনি, মার্কিন অভিনেত্রী।

১৯২৮ - বিলায়েত খাঁ ভারতের বিখ্যাত বাঙালি সেতার বাদক।

১৯৩০ - বেগম ফজিলাতুন্নেসা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্ত্রী ও বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাতা।

১৯৩১ - রজার পেনরোজ, ইংরেজ গাণিতিক-পদার্থবিজ্ঞানী।

১৯৩৭ - ডাস্টিন হফম্যান, মার্কিন অভিনেতা ও পরিচালক।

১৯৫১ - মুহাম্মাদ মুরসি, মিশরীয় প্রকৌশলী, শিক্ষায়তনিক ও রাজনীতিক, এবং মিশরের ৫ম রাষ্ট্রপতি।

১৯৮১ - রজার ফেদেরার, সুইস টেনিস খেলোয়াড়।

১৯৯০ - কেন উইলিয়ামসন, নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটার ও বর্তমান অধিনায়ক।

মৃত্যুঃ

১৮২৪ - ফ্রিড্‌রিশ আউগুস্ট ভোল্‌ফ, জার্মান ভাষাতাত্ত্বিক ও সমালোচক।

১৯৭৫ - প্রবাদপ্রতিম গীতিকার ও কবি প্রণব রায়।

১৯৭৭ - আচার্য ভীষ্মদেব চট্টোপাধ্যায়, খ্যাতনামা বাঙালি কণ্ঠশিল্পী, সুরকার ও সঙ্গীতপরিচালক।

২০০৯ - শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায় বিশিষ্ট বাঙালি গীতিকার।

 #শুভ  #জন্মদিন… #জিমি ডোনাল "জিম্বো"  #ওয়েলস একজন আমেরিকান ইন্টারনেট উদ্যোক্তা, যিনি অনলাইন অলাভজনক বিশ্বকোষ উইকিপিডিয...
08/07/2021

#শুভ #জন্মদিন…

#জিমি ডোনাল "জিম্বো" #ওয়েলস একজন আমেরিকান ইন্টারনেট উদ্যোক্তা, যিনি অনলাইন অলাভজনক বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়ার সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং অলাভজনক উইকিয়া ওয়েব হোস্টিং কোম্পানীর প্রবর্তক হিসাবে পরিচিত।

জিমি ওয়েলসের জন্ম ৭ আগস্ট, ১৯৬৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আলবামার হান্টসভিলে। তার বাবা, জিমি পেশায় ছিলেন মুদি দোকানের পরিচালক, মা ডরিস অ্যান এবং তার নানী এর্মা একটি এক কক্ষ-বিশিষ্ট ঐতিহ্যবাহী ছোট প্রাইভেট স্কুল পরিচালনা করতেন যেখানে জিমি এবং তার তিন ভাইবোন তাদের প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেছিলেন। শিশু হিসেবে জিমি ছিলেন বুদ্ধিমান, কৌতূহলী এবং অধ্যবসায়ী।

তিনি র্যা নডলফ স্কুল নামে একটি প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলে পড়াশোনা করেন। পরে তিনি স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন "ফিনান্স" শাখায়। স্নাতক স্কুলে থাকাকালীন তিনি দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িয়েওছিলেন। পরে তিনি ফিনান্স ক্ষেত্রে চাকরি গ্রহণ করেন এবং বেশ কয়েক বছর একটি শিকাগো ফিউচারস ও অপশনস ফার্মে রিসার্চ ডিরেক্টরের পদ অলংকৃত করেন। ১৯৯৬ সালে তিনি দু-জন সহকারীর সহায়তায় বোমিস নামে একটি পুরুষদের বিনোদন ও প্রাপ্তবয়স্ক বিষয়ভিত্তিক ওয়েবপোর্টাল প্রতিষ্ঠা করেন। এই ওয়েবসাইটটি থেকেই পরবর্তীকালে উদ্ভূত বিশ্বকোষ নুপিডিয়া (২০০০-২০০৩) এবং তার উত্তরসূরি উইকিপিডিয়ার প্রাথমিক অর্থসংস্থান হয়েছিল।

২০০১ সালে ল্যারি স্যাঙ্গার ও অন্যান্যদের সঙ্গে একযোগে তিনি উইকিপিডিয়া মুক্ত বিশ্বকোষ প্রতিষ্ঠা করেন। এই বিশ্বকোষের ব্যাপ্তি ও জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেলে ওয়েলস হয়ে ওঠেন প্রকল্পটির পৃষ্ঠপোষক ও মুখপাত্র। তাকে ঐতিহাসিকভাবে উইকিপিডিয়ার সহ-প্রতিষ্ঠাতা বলা হলেও, তিনি নিজেকে উইকিপিডিয়ার একমাত্র প্রতিষ্ঠাতা ঘোষণা করে "সহ-" পদমর্যাদাটি অস্বীকার করেন। ওয়েলস উইকিপিডিয়া-পরিচালনাকারী উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশন নামে একটি অ-বাণিজ্যমুখী দাতব্য সংস্থার অছিপরিষদের সদস্য। তিনি পরিষদ-নিয়োজিত "সম্প্রদায়-প্রতিষ্ঠাতা" বা "কমিউনিটি ফাউন্ডার"-এর পদটিতে বৃত রয়েছেন। ২০০৪ সালে, তিনি ও অপর উইকিমিডিয়া অছি অ্যাঞ্জেলা বিজলে মিলে উইকিয়া নামে একটি বেসরকারি ওয়েব-হোস্টিং সার্ভিস প্রতিষ্ঠা করেন।

ওয়েলস নিজেকে অবজেক্টিভিস্ট এবং কিছু পরিমাণে উদারনীতিবাদী মনে করেন। তার সৃষ্ট উইকিপিডিয়া বিশ্বের বৃহত্তম বিশ্বকোষে পরিণত হলে টাইম পত্রিকা তাদের ২০০৬ সালের বিশ্বের সর্বাপেক্ষা প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গের নামের তালিকায় তার নাম অন্তর্ভুক্ত করে।

২০১৫ সালের ২৬শে ফেব্রুয়ারি উইকিমিডিয়া বাংলাদেশ ও গ্রামীণফোনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রিত হয়ে ১২ ঘণ্টার ঝটিকা সফরে বাংলাদেশ ভ্রমণ করেন জিমি ওয়েলস। রাজধানী ঢাকাস্থ হোটেল রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে তিনি উইকিপিডিপিয়ার গুরুত্ব তুলে ধরে বক্তৃতা করেন, উইকিপিডিয়া গ্রামীণফোন আয়োজিত সম্পাদনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী দশজন উইকিপিডিয়ানের হাতে পুরস্কার তুলে দেন এবং সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে আয়োজিত বিষয়ভিত্তিক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

Address

New York, NY
11427

Telephone

+17183627089

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Pink Info posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Pink Info:

Share