08/17/2025
ইতিহাসের বিভিন্ন মুক্তিযোদ্ধার বই পড়ে বুঝলাম, শেখ মুজিবের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি কোন আবেগ কাজ করত না যেহেতু তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন নি বা উপস্থিত ছিলেন না। তিনি যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগেই পাকিস্তান কারাগারে বন্ধি হন। বের হন যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর। তিনি পাকিস্তান ভাঙ্গতে চাননি। তিনি যখন দেশ গঠনের দ্বায়িত্ব নেন তখন পাকিস্তান আমলের পরাজিত প্রশাসকদের নিয়ে দেশ গঠন করেন এবং অনেক ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সনদ দেন মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে আলাপ না করেই। ইন্ডিয়াতে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা ছিল কিন্তু তিনি সেটা আনেননি। দুর্নীতি, লুটতরাজ ছিল কমন ব্যাপার। রক্ষীবাহিনীর মাধ্যমে অনেক মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করা হয় যারা বাম দল করত। ১৯৭৪ সালের ১৭ মার্চ শেখ মুজিব রক্ষীবাহিনীর মাধ্যমে একটি গনহত্যা চালায় সেখানে ৫০ জন জনতা নিহত হয়। তারা সরকারের অপশাসন এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছিল। দুর্নীতি এবং চোরাকারবারি এমন মাত্রায় পৌঁছায় যে তা কন্ট্রোলের বাহিরে চলে যায়। সাথে আছে আমেরিকার সাথে শেখ মুজিবের গাদ্ধারি ফলে আমেরিকার খাদ্য সহায়তা বন্ধ করে দেয়। আমেরিকা কিউবাতে পাট রপ্তানি করতে নিষেধ করেছিল। এত কিছুর ফলে ১৯৭৪ সালে দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়৷ সরকারি হিসেবে ২৭ হাজার আর বেসরকারি হিসেবে ৩ লক্ষ এর কাছাকাছি। তাজউদ্দিন আহমেদ দুর্ভিক্ষের ব্যর্থতার কথা স্বীকার করাতে শেখ মুজিব জোড় পূর্বক পদত্যাগ করাতে বাধ্য করেন। এই দুর্ভিক্ষের মাঝেই নিজের জন্মদিনের ৫৫ পাইন্ড কেক কাটেন এবং স্বর্ণমুকুট পড়িয়ে ছেলেদের বিবাহ করান। প্রচুর মানুষকে দাওয়াত করে খাওয়ান। বলে রাখা ভাল বাম দলের ৩০ হাজার কর্মীকে হত্যা করেন তিনি৷
শেখ মুজিবের একনায়কতন্ত্র, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, প্রশাসনিক অদুরর্শীতার কারনে সবাই বিরক্ত ছিল। এই জন্য সবাই বিকল্প খুঁজতেছিল। সেনাবাহিনীর একদল মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের অনুগত সেনাদের নিয়ে সামরিক ক্যু ঘটায়। শেখ মুজিবের অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটায়। একজন স্বৈরশাসক এর পতন হয়। তাদের ভাষ্য অনুসারে যদি জনগণের দ্বারা অভ্যুত্থান ঘটাত তাহলে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যুবরণ করতে হত। শেখ হাসিনার জন্য ৫০০ এর উপর মানুষকে মরতে হয়। কিন্তু শেখ হাসিনা যদি আগেই পদত্যাগ করত তাহলে মৃতের সংখ্যা কমে আসত। এইজন্য শেখ মুজিবের মৃত্যুর পর দেশবাসী কোন প্রতিক্রিয়া দেখায় নি। সব কিছু স্বাভাবিক ছিল।