
05/27/2025
জিলহজের প্রথম দশকে ইবাদাতের ফজিলত
জিলহজ মাসের প্রথম দশকে ইবাদত বন্দেগী করা আল্লাহ তাআলার কাছে অনেক প্রিয়। যার কারণে এ দিনসমূহের ইবাদতের উপর অনেক বেশী সওয়াব দেওয়া হয়। যেমন হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে-
عن ابن عباس رضى الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم مَا مِنْ أَيَّامٍ أَعْظَمُ عِنْدَ اللهِ وَلَا أَحَبُّ إِلى اللهِ أَلْعَمَلُ فِيهِنَّ مِنْ أَيَّامِ الْعَشْرِ فَأَكْثِرُوا فِيهِنَّ مِنَ التَّسْبِيحِ وَالتَّحْمِيدِ وَالتَّكْبِيرِ وَالتَّهْلِيلِ অর্থ: রসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, আল্লাহ তাআলার কাছে জিলহজের প্রথম দশকের নেক আমল যতটুকু প্রিয় এবং মর্যাদাপূর্ণ, অন্য কোনো দিনের আমল ততটুকু প্রিয় এবং মর্যাদাপূর্ণ নয়। সুতরাং তোমরা এ দিনগুলোতে বেশি বেশি সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এবং আল্লাহু আকবার পড়। (তারতিবুল আমালি: ১৭৪৫)
অপর এক হাদিসে এসেছে,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم " مَا مِنْ أَيَّامٍ أَحَبُّ إِلَى اللَّهِ أَنْ يُتَعَبَّدَ لَهُ فِيهَا مِنْ عَشْرِ ذِي الْحِجَّةِ يَعْدِلُ صِيَامُ كُلِّ يَوْمٍ مِنْهَا بِصِيَامِ سَنَةٍ وَقِيَامُ كُلِّ لَيْلَةٍ مِنْهَا بِقِيَامِ لَيْلَةِ الْقَدْرِ " রসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, জিলহজের প্রথম দশকে ইবাদত বন্দেগী করা আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়। এর প্রতিটি রোযা এক বৎসর রোযা রাখার সমান সওয়াব রাখে। আর প্রতি রাতের ইবাদত শবে কদরের ইবাদতের সমান সওয়াব রাখে। (তিরমিজি- ৭৫৮)
আরাফা তথা জিলহজের নয় তারিখের রোজা। এই দিনে রোজা রাখার সর্বাধিক ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। যেমন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেন- আরাফার দিনের রোজার ব্যাপারে আমি আল্লাহ পাকের কাছে আশাবাদী যে, তিনি এর দ্বারা এক বছর আগের এবং এক বছর পরের অর্থাৎ দুই বৎসরের গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন।(তিরমিজি: ৭৪৯)
রসুলুল্লাহ (সা.) বলতেন আরাফার দিনের রোজা একহাজার দিন রোজা রাখার সমান সওয়াব রাখে। (শুআবুল ঈমান - ৩৪৮৬)
ফজিলতপূর্ণ এই দশ দিনের আরো কিছু আমল
কোরবানি সবার উপর ওয়াজিব হয় না। যাদের উপর যাকাত ওয়াজিব হয়, তাদের উপর কোরবানিও ওয়াজিব হয়। সুতরাং যারা কোরবানি দেওয়ার উপযুক্ত নয়। সামর্থ্যবান না থাকার কারণে, তারা আল্লাহ তাআলার নৈকট্য কিংবা সওয়াব অর্জন থেকে বঞ্চিত হওয়া স্বাভাবিক। তাই সামর্থ্যহীন যেন এত বড় সওয়ার থেকে বঞ্চিত না হয়, এইজন্য জিলহজের প্রথম দশকে আল্লাহ তাআলা এমন কিছু আমল নির্ধারণ করে দিয়েছেন যা সঠিকভাবে আদায় করলে পূর্ণ কোরবানির সওয়াব পাওয়া যায়।
আমলগুলো হলো জিলহজের চাঁদ উদিত হওয়ার পর থেকে নিয়ে কোরবানির পশু জবেহ করা পর্যন্ত নিজের চুল, নখ, নাভির নিচের লোম কাটা এবং গোঁফ ছোট করা থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকা। এ আমল করলে আল্লাহ তাআলা বান্দাকে একটি পূর্ণ কোরবানির সওয়াব দান করবেন। সুতরাং সামর্থবানরা কোরবানি করার পাশাপাশি এই আমলটি করলে সে দুই কোরবানির সওয়াব পাবে। সুতরাং, সামর্থ্যহীনরাও এই আমলের মাধ্যমে কোরবানির সওয়াব অর্জন করতে পারবে, ইনশাআল্লাহ।