10/05/2024
উপমহাদেশে ইসলামের দাওয়াত নিয়ে যারা এসেছিলেন আমরা তাঁদেরকে শ্রদ্ধা করি। তাঁদের মতের মূল্যায়ন করি এবং তাদের প্রচেস্টার ফলে আমরা ইসলামের আরো বেশি চর্চা করতে পারতেছি। তাদের সকল মত যে মানতেই হবে এমনটা কোন ভাবেই আবশ্যক নয়। আবশ্যকতা হচ্ছে কোরআন ও হাদিসের উপর অটল থাকা। ব্যাক্তি মতবাদ যদি আবশ্যকতা হতো বিদায় হজ্জের ভাষণ মহানবী ﷺ দুটি বস্থুর কথা আলাদা না করে বলতেন তাদের কথাও যারা আজীবন দ্বীনের তাক্বলিদ করে গেছেন। দ্বীনের ব্যাপারে কারো তাক্বলিদ কখনোই গ্রহনযোগ্য নয়। ইত্তেবা করতে পারেন। তবে ইত্তেবায়ে নবী আলাইহিসসালাম ও আসহাবে রাসুল আলাইহিসসালাম অবশ্যই হতে হবে। একটি কথা মনে রাখতে হবে, উপমহাদেশের ভৌগলিক কারনে দ্বীনের অনেক বিষয় আসহাবে রাসুল থেকে ভিন্ন যদিও আমরা এটিই বেশী মেনে থাকি। বুজুর্গ যদি একটি বিষয নিয়ে তার মত পেশ করেন সেটি তার মত। এবং তা যদি কোরআন ও হাদীস সাংঘর্ষিক না হয় সেটিও ব্যাক্তির নিজস্ব ব্যাপার সে মানবে কি মানবে না। কিন্তু কোরআন হাদিসের সাথে সাংঘর্ষিক হলে তা প্রতিহত করবে, প্রয়োজনে যোদ্ধ ও করতে হবে। নয়তো দ্বীনের মধ্যে বিদআত এসে ঈমানকেও ক্ষতিগ্রস্থ করে ফেলবে।
আমাদের উপমহাদেশের আলেমগনের একটা বড় ধরনের একগোয়েমী হচ্ছে উনারা মনে করেন উনাদের মত দ্বীনকে মেনে চলাই একমাত্র ইসলামী। অর্থাৎ উপমহাদেশেই শুধু সঠিক ইসলাম। পৃথিবীর আর যেখানেই যত ধরনের মতানৈক্যতা রয়েছে দ্বীনের ব্যাপারে তারা সবাই ভ্রান্ত। কেউ কোন নত প্রকাশ করলেই একটা ট্যাগ লাগিয়ে দেয়া হবে আহলে হাদিস!
আহলে হাদীস, ওহাবী, মাজারী, বেদআতি, সুন্নি, হানাফি, শাফেয়ী এরকম ট্যাগের অভাব নেই। এগুলো প্রকৃতপক্ষে ইসলামের কোন উপকারের নয় বরং এগুলোর কারনে দ্বীনের মধ্যে পৃথক পৃথক ফিরক্বা ছাড়া আর কিছুই নয়। প্রকৃত ইসলাম কোরআন ও হাদীসের সমন্যয়েই রয়েছে। এ দুয়ের বাইরে যত কিছুই আছে সব মিথ্যা ও ভ্রান্ত কোন সন্দেহ নেই।