Engr Mohammad Enamul Huq

Engr Mohammad Enamul Huq -BSC Engg./BUET/1966. Retd. Member BTTB in 2000. Writer of CHANDROMASH. Now a public Figure in Bd

11/13/2025
জীবনের দাম কী? মহাবিশ্বের মহাজ্ঞানিরা এটা নিয়ে বহু চিন্তা ভাবনা করেও কোন কূল কিনারা করতে পারেন নি। পৃথিবীতে কেন এলাম আর ...
10/17/2025

জীবনের দাম কী? মহাবিশ্বের মহাজ্ঞানিরা এটা নিয়ে বহু চিন্তা ভাবনা করেও কোন কূল কিনারা করতে পারেন নি। পৃথিবীতে কেন এলাম আর কেনই বা চলে যেতে হবে, এনিয়ে মতান্তরের কোন অভাব নেই। যুগে যুগে দার্শনিকগন অনেক চিন্তা গবেষণা করেও এর কোন সূরাহা করতে পারেন নি এবং কেউ পারবেন বলেও মনে হচ্ছে না। অবশ্য এই ব্যপারে ইসলাম দেড় হাজার বৎসর পূর্বেই এর সমাধান দিয়ে দিয়েছে। অথচ আমরা তা মানতে রাজী নই।

ইসলামের চিন্তা ভাবনা এবং আকিদা মতে মানুষেরা নিজেরা আসেনি, তাদেরকে পাঠানো হয়েছে। কে পাঠিয়েছেন, কেন পাঠিয়েছেন, তা কেবলমাত্র স্রষ্টাই বলে দিতে পারেন! আমরা এই স্রষ্টার নাম দিয়েছি আল্লাহ্ তা'আলা। সূরা আল ইখলাসে বলা হয়েছে-
قُلۡ هُوَ ٱللَّهُ أَحَدٌ. ٱللَّهُ ٱلصَّمَدُ. لَمۡ يَلِدۡ وَلَمۡ يُولَدۡ. وَلَمۡ يَكُن لَّهُۥ كُفُوًا أَحَدٌ 'বলুন তিনি আল্লাহ এক। আল্লাহ অমুখাপেক্ষী। তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাঁকে জন্ম দেয় নি। এবং তাঁর সমতুল্য কেউ নেই' (১১২:১-৪)। কে স্রষ্টা আর কে স্রষ্টা নন, তা পরীক্ষা করার জন্য 'কষ্টি পাথর' এর কাজ করে এই সূরা। গড, লর্ড, ইশ্বর, ভগবান বা প্রভু যত নামেই ডাকি না কেন উপরোক্ত কষ্টি পাথরে যাচাই করলে যদি না টিকে তবে বুঝতে হবে যে সে প্রকৃতপক্ষে স্রষ্টাই নয়। অধিকাংশ মানুষ এই বিভ্রান্তিতে পড়ে আছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।

সূরা আন নাছে বলা হয়েছে-
إِلَٰهِ النَّاسِ (৩) مَلِكِالنَّاسِ (২) قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ (১)
'বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহন করছি মানুষের পালনকর্তার, মানুষের অধিপতির, মানুষের মাবুদের' (১১৪:১-৩)। আমরা তাঁর বান্দা। তাঁর ইচ্ছানুযায়ী আমরা এখানে এসেছি। আমরা এসেছি এটা প্রমান করার জন্য যে, তিনি সবকিছুর মালিক এবং এই বিশ্বজগতটা তাঁরই সৃষ্টি। সূরা আত-তীনে বলা হয়েছে-لَقَدۡ خَلَقۡنَا الۡاِنۡسَانَ فِیۡۤ اَحۡسَنِ تَقۡوِیۡم'আমি সৃষ্টি করেছি মানুষকে সুন্দরতর অবয়বে' (৯৫:৪)। যিনি আমাদের পালনকর্তা, অধিপতি, মাবুদ এবং সুন্দরতর অবয়বে আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন তিনিই তো আমাদের একমাত্র স্রষ্টা। যারা একাধিক স্রষ্টার কথা বলে তারা পরিষ্কার ভুলের মধ্যে আছে।

সূরা আল মুলকে বলা হয়েছে-
تَبْرَكَ الَّذِي بِيَدِهِ الْمُلْكُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرُ الَّذِي خَلَقَ الْمَوْتَ وَالْحَيُوةَ لِيَبْلُوَكُمْ أَيُّكُمْ اَحْسَنُ عَمَلاً وَهُوَ الْعَزِيزُ الْغَفُورُ الَّذِي خَلَقَ سَبْعَ سَمَوتِ طِبَاقًا مَا تَرَى فِي خَلْقِ الرَّحْمَنِ مِنْ تَفْوُتِ فَارْجِعِ الْبَصَرَ هَلْ تَرَى مِنْ فُطُورٍ 'পূন্যময় তিনি, যার হাতে রাজত্ব। তিনি সবকিছুর উপর সর্বশক্তিমান। যিনি সৃষ্টি করেছেন জীবন ও মরন, যাতে তোমাদেরকে পরীক্ষা করেন, কে তোমাদের মধ্যে কর্মে শ্রেষ্ঠ। তিনি পরাক্রমশালী ও ক্ষমাময়। তিনি সপ্ত আকাশ সৃষ্টি করেছেন স্তরে স্তরে। তুমি তাঁর সৃষ্টিতে কোন খুঁত বা ত্রুটি দেখতে পাবে না'... (৬৭: ১,২,৩)। আমাদের জন্য একটা জীবন বিধানও তিনি দিয়েছেন। সূরা বাকারায় বলা হয়েছে- ذٰلِکَ الۡکِتٰبُ لَا رَیۡبَ ۚۖۛ فِیۡهِ ۚۛ هُدًی لِّلۡمُتَّقِیۡنَ 'ইহা এমন কিতাব, যাতে কোন সন্দেহ নেই; মোত্তাকীদের জন্য পথপ্রদর্শক' (২:২)। এগুলোতো সৃষ্টিকর্তার নিজের কথা; অবিশ্বাস করার কোন সুযোগ নেই। তাই সেগুলো মেনে চলতে হবে
তিনি আমাদের আদি পিতা আদম (আঃ) কে প্রথম সৃষ্টি করে স্বস্ত্রীক বেহেশতে রাখেন। তাঁর একটা হুকুম না মানাতে আল্লাহ্ তা'আলা তাঁদেরকে কঠিন পরীক্ষার জন্য পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। সাথে পাঠানো হয়েছে শত্রু হিসেবে শয়তানকে। এমতাবস্থায় পৃথিবীতে শয়তানকে অমান্য করে সৎকাজ করে যেতে পারলে পরকালে জান্নাত পাওয়া যাবে। অন্যথায় চিরস্থায়ী ভাবে জাহান্নামে থাকতে হবে। এগুলো সূরা আল বাকারার ২: ৩০-৩৯ নম্বর আয়াতে বলা আছে। আদম (আঃ) এর বংশধর বলে আমরাও এই পরীক্ষার সম্মুখীন। অতএব পবিত্র কোরআনে দেওয়া হুকুমকে আমরা অমান্য করতে পারি না।

সৃষ্টিকর্তা কেন আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এবং ইহকাল ও পরকালের ব্যবস্থা কেন রেখেছেন তা অবশ্যই ভাববার বিষয়। মহাজগৎ সৃষ্টিতে যেমন অপার রহস্য বিদ্যমান; অন্যান্য সৃষ্টির বেলায়ও একই রহস্য উপস্থিত। মূলতঃ এতদুভয়ের মধ্যে তাঁর অস্তিত্বকেই খুজে পাওয়া যায়। কিন্তু আমাদের মত ক্ষুদ্র প্রানীর পক্ষে তা বোধগম্য করা কখনো সম্ভব নয়। তবে মহান স্রষ্টা এগুলো অপ্রয়োজনে বা অনর্থক যে সৃষ্টি করেন নি তা বুঝা কিছুতেই কঠিন নয়। কারন সূরা আন নিসায় বলা হয়েছে وَ لِلّٰهِ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَا فِی الۡاَرۡضِ ؕ وَ لَقَدۡ وَصَّیۡنَا الَّذِیۡنَ اُوۡتُوا الۡکِتٰبَ مِنۡ قَبۡلِکُمۡ وَ اِیَّاکُمۡ اَنِ اتَّقُوا اللّٰهَ ؕ وَ اِنۡ تَکۡفُرُوۡا فَاِنَّ لِلّٰهِ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَا فِی الۡاَرۡضِ ؕ وَ کَانَ اللّٰهُ غَنِیًّا حَمِیۡدًا'আর যা কিছু রয়েছে আসমান সমূহ ও জমীনে সবই আল্লাহর' (৪:১৩১)। সূরা আলে ইমরানে বলা হয়েছে-
الَّذِیۡنَ یَذۡکُرُوۡنَ اللّٰهَ قِیٰمًا وَّ قُعُوۡدًا وَّ عَلٰی جُنُوۡبِهِمۡ وَ یَتَفَکَّرُوۡنَ فِیۡ خَلۡقِ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ ۚ رَبَّنَا مَا خَلَقۡتَ هٰذَا بَاطِلًا ۚ سُبۡحٰنَکَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ'যারা দাড়িয়ে, বসে ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে এবং চিন্তা-গবেষণা করে আসমান ও জমিন সৃষ্টির বিষয়ে, (তারা বলে) হে প্রতিপালক, আপনি এসব অযথা সৃষ্টি করেন নি' .. (৩:১৯১)। সূরা আল-আম্বিয়ায় আল্লাহ্ তা'আলা সরাসরিই বলে দিয়েছেন যে,
مَاۤ اٰمَنَتۡ قَبۡلَهُمۡ مِّنۡ قَرۡیَۃٍ اَهۡلَکۡنٰهَا ۚ اَفَهُمۡ یُؤۡمِنُوۡنَ
'আকাশ পৃথিবী এতদুভয়ের মধ্যে যা আছে, তা আমি ক্রীড়াচ্ছলে সৃষ্টি করি নি (২১:১৬)'। কুর'আন সুন্নাহ্ নিয়ে গবেষণা করলে এর মূল রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব। অতএব সৃষ্টির প্রকৃত রহস্য এখানেই নিহিত।

সৃষ্টিকর্তা এই মহাবিশ্বের সমস্ত কিছু সৃষ্টি করেছেন। পৃথিবীর মানবসমাজকে তিনি সমস্ত যুগের মধ্যে সেরা সৃষ্টি হিসেবে পাঠিয়েছেন। সূরা আলে ইমরানে বলা হয়েছে-'তোমরাই হলে সর্বোত্তম উম্মত, মানবজাতির কল্যানের জন্যই তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে। তোমরা সৎকাজের নির্দেশ দান করবে ও অন্যায় কাজে বাধা দেবে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে'.. (৩:১১০)। সঙ্গে সঙ্গে স্রষ্টা নবী-রাসূলগানকে পাঠিয়েছেন মানব জাতিকে সঠিক পথে পরিচালিত করার জন্য। তাদেরকে সঙ্গে কিতাব বা সহিহফা পথনির্দেশক হিসেবে দেওয়া হয়েছে।

এই সকল নবী-রাসূলকে যারা অনুসরণ করেছে তাদেরকে পরীক্ষা করে সৃষ্টিকর্তা প্রতিদান দেবেন। এই ব্যবস্থার নাম হচ্ছে ইসলাম। এটাকে আল্লাহ্ তা'আলার স্কুলে
কালেমা পড়ে ভর্তী হওয়া বলা যায়। যারা এই স্কুলে ভর্তী হবে না, তারা বিনা বিচারেই জাহান্নামী হয়ে যাবে। মহান আল্লাহ্ হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে সর্বশেষ নবী ও রাসূল হিসাবে প্রেরণ করেছেন। পবিত্র কোরআন তাঁর প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে। যত দিন বেঁচে থাকব এই পবিত্র কোরআনের নির্দেশনা অনুযায়ী বর্তমানে আমাদেরকে চলতে হবে।

এটাই হচ্ছে আমাদের জীবন ব্যবস্থা। আমাদের জীবনের ব্যর্থতা বা স্বার্থকতা নির্ভর করে আমাদের ক্রিয়াকলাপের উপর। সৃষ্টিকর্তা অভিশপ্ত শয়তানকেও এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন আমাদেরকে পরীক্ষা করার জন্য। এই জীবনে আমরা যদি শয়তানের প্ররোচনাকে ব্যর্থ করতে না পারি তবে আমাদের ঠিকানা হবে জাহান্নাম। তাই পবিত্র কোরআনের নির্দেশনাকে অক্ষুন্ন রাখতে হবে, কারণ এর কোন বিকল্প নেই। আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে জীবনটাকে সার্থক করে তোলা। এটাই হচ্ছে পৃথিবীতে আমাদের অবস্থানের একমাত্র উদ্দেশ্য। তা না হলে আগ্রাসী বিপদ আমাদেরকে গ্রাস করে ফেলবে। এই কঠিন পরীক্ষায় অবশ্যই আমাদেরকে উত্তীর্ন হতে হবে। তা নাহলে কঠিন শাস্তি পেতে হবে।

জীবনের অর্থ এক এক ধর্মে এক এক রকম। অবাক লাগে যখন দেখি প্রত্যেক ধর্মানুসারিরা বলেন তারা সঠিক, তারা ছাড়া কেউ স্বর্গে যেতে পারবে না। অথচ পবিত্র কোরআন বলে ইসলামই একমাত্র সঠিক ধর্ম এবং পবিত্র কুর'আন সর্বশেষ ধর্মগ্রন্থ। এই কোরআন হচ্ছে আল্লাহর দেওয়া সরাসরি বানী। অথচ বাকীগুলোর মধ্যে কোনটাই আল্লাহর বানী নয়, বরং নবী-রাসূল অথবা মানুষের কথা। তাছাড়া সেগুলো সবই কোরআন নাজিল হওয়ার পর বাতিল হয়ে গেছে। ফলে বর্তমানে সেগুলো আর অনুসরণযোগ্য নয়। এই কথা তাদেরকে বোঝাবে কে? অথচ, আল্লাহ্ তা'আলা পবিত্র কুর'আনের সূরা আলে-ইমরানে বলেই রেখেছেন যে, 'নিঃসন্দেহে আল্লাহর নিকট গ্রহনযোগ্য ধর্ম একমাত্র ইসলাম' (৩:১৯)। অথচ তারা তা মানতে রাজী না। এটা হচ্ছে তাদের জীবন। এই জীবনের কি মূল্য আছে?

বিশ্বের স্বনামধন্য জ্ঞানীগুনীরা এক বাক্যে ইসলাম ধর্মকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধর্ম বলে স্বীকার করে গেছেন এবং এখনো করছেন। কিন্তু স্বল্প সংখ্যক ব্যতীত কেউ তা গ্রহন করে নিতে রাজী হচ্ছেন না। তাদের এই অহংবোধ তাদের কোন কাজে লাগবে না। তারা চান তাদের কথা সবাই বলুক, তাদের সুনাম সবাই করুক। এই সুনাম সাময়িক। পরকালে এটা তাদের কোন কাজে আসবে না। সত্য কোনদিন মিথ্যার সামনে দাঁড়াতে পারেনি আর পারবেও না। তাই এক স্রষ্টায় সবাকেই বিশ্বাস করতে হবে। কারণ সূরা আল আম্বিয়ায় বলা হয়েছে- 'যদি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য থাকত, তবে উভয়ে ধ্বংশ হয়ে যেত' ..(২১:২২)। অতএব একাধিক স্রষ্টা থাকার প্রশ্নই আসে না। যারা এমন কথা বলে তারা ভুলের মধ্যে আছে।

স্রষ্টার কাজ হচ্ছে সৃষ্টি করা। আর সৃষ্টির কাজ হচ্ছে স্রষ্টার আরাধনা বা বন্দনা করা। সৃষ্টির মাধ্যমে স্রষ্টা নিজেকে প্রকাশ করে থাকেন। তাই আরাধনার মাধ্যমে সৃষ্টিজগৎ স্রষ্টার পরিচয় খুজে পাবে। এটাই হচ্ছে সৃষ্টিজগতের মূল উদ্দেশ্য। স্রষ্টার অপার মহিমা বুঝার সাধ্য আছে কয় জনার। যেই স্রষ্টা মহাবিশ্বটাকে নিজ কুদরতের মাধ্যমে সাজিয়েছেন তা বুঝার সাধ্য কখনো কোন সৃষ্টির পক্ষে সম্ভব হতে পারে না। তাহলে আমাদের করনীয় কি তা আমাদেরকেই ঠিক করে নিতে হবে। শয়তানের প্ররোচনায় অধিকাংশ মানুষকে অনুসরণ করতে গেলে আমরা পথভ্রষ্ট হয়ে যাব।

যেহেতু আমরা বিবেক বুদ্ধি সম্পন্ন শ্রেষ্ঠ জাতি হিসেবে পৃথিবীতে এসেছি, সেহেতু প্রকৃত উদ্দেশ্য সাধন ব্যতীত এই ধরাধাম ত্যাগ করতে পারি না। প্রকৃত অর্থে জীবনের স্বার্থকতা এখানেই নিহিত। এখন বিচার বিশ্লেষন করে দেখতে হবে কোনটা সঠিক রাস্তা আর কোনটা ভুল। বিচার বুদ্ধিকে যদি সঠিক কাজে লাগাতে না পারি তবে আমাদের পুরো জীবনটাই বৃথা হয়ে যাবে। এমন দূর্ভাগ্য যেন কারো না হয়। কারন সূরা আল মুদাসসীরে বলা হয়েছে- 'প্রত্যেক ব্যক্তি তার নিজের কৃতকর্মের জন্য দায়ি' (৭৪:৩৮)। আমাদেরকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে, বিনা প্রয়োজনে আমাদের আগমন ঘটে নি। আমাদের কৃতকর্মের জন্য বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। কারন সূরা আল কিয়ামায় বলা হয়েছে- 'মানুষ কি মনে করে যে, তাকে এমনি ছেড়ে দেওয়া হবে? (পরীক্ষা করা হবে না) (৭৫:৩৬)। অতএব বুঝতে হবে যে উদ্দেশ্যহীন ভাবে আমরা পৃথিবীতে আসিনি। তাই জীবনের অর্থকে খুজে বের করতে হবে। জীবনটাকে কোন ভাবেই হেলায় ফেলায় কাটানো যাবে না। কারণ, জীবনতো একটাই।

॥সেনাপ্রধান শুধু সেনাবাহিনীই নয় পুরো দেশটাকেই ধ্বংশ করতে চান॥১। বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকারুজ্জমানের বিগত বৎসরে অন...
10/11/2025

॥সেনাপ্রধান শুধু সেনাবাহিনীই নয় পুরো দেশটাকেই ধ্বংশ করতে চান॥

১। বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকারুজ্জমানের বিগত বৎসরে অনুষ্ঠিত জুলাই বিপ্লবের আগের এবং পরের কর্মকান্ড পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে তিনি শুধু সেনাবাহিনীই নয় বরং পুরো দেশটাকেই ধ্বংশ করার চেষ্টায় নিয়োজীত আছেন।

২। তিনি নিজে একজন অপরাধী। অধিকন্তু প্রায় অর্ধশত ঘোরতর অপরাধীদেরকে নিয়ে সিন্ডিকেট বানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে জিম্মি করে রেখেছেন। আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, যাকে তিনি ভারতের কথায় প্রধান উপদেষ্টা বানাতে চেয়েছিলেন, তাকে দিয়ে তিনি কার্যতঃ সরকার পরিচালনা করে যাচ্ছেন। ফলে ড. ইউনুছ কোন কাজ করতে পারছেন না।

৩। ফ‍্যাসিষ্ট হাসিনার ঘনিষ্ট আত্মীয়তার কারনে হার্টে পেইসমেকার লাগানো একটা দুর্বল পেটমোটা লোক হয়েও তিনি সেনাপ্রধানের পদ লাভ করে দোরদন্ড প্রতাপে ছড়ি ঘুরাচ্ছেন।

৪। এই কারনে ওয়াকারুজ্জমান ছাত্রজনতার আন্দোলনের মুখে ৫-৮-২৪ তারিখে সৈরাচারী শেখ হাসিনাকে নিজ দায়িত্বে আর্মী হেলিকপ্টারে করে নিরাপদে ভারতে পাঠিয়ে দিয়েছেন।

৫। তারপর ভারতের সেনাপ্রধান এবং “র” এর পরামর্শক্রমে একে একে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছেন। তার সকল কর্মকান্ডে এর প্রমান মেলে।

৬। প্রথমে ৬২৬ জন অপরাধীকে অবৈধ ভাবে বিভিন্ন ক‍্যান্টন্মেন্টে আশ্রয় দেন। তারপর তাদেরকে নিরাপদে দেশ ছাড়ার ব‍্যাবস্থা করেন। আওয়ামী লেসপেন্সারদের অনেকেই এখনো তার নিরাপদ আশ্রয়ে আছে।

৭। অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে এবং সিন্ডিকেটের মাধ‍্যমে দেশের গুরুত্বপূর্ন সংস্থাগুলোকে তিনি নিয়ন্ত্রন করে যাচ্ছেন। তার কারনে দেশে আইন শৃংখলা পরিস্থিতির দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে।

৮। দীর্ঘ এক বছর যাবৎ মেজিষ্ট্রিয়াল ক্ষমতা সহ সেনাসদস‍্যরা আইনশৃংখলা পরিস্থিতি দেখাশুনা করছে। অথচ সেনাপ্রধানের নির্দেশ না থাকায় আওয়ামী লীগের কোন একজন সন্ত্রাসীর কাছ থেকে একটা অবৈধ অস্ত্রও আজ পর্যন্ত উদ্ধার কর হয়নি। উপরন্তু অপরাধীরা প্রটেকশন পাচ্ছে।

৯। আন্তর্যাতিক চাপের কারনে তিনি ড. ইউনুছকে উৎখাত করতে সাহস পাচ্ছেন না। কিন্তু উপরে ভাল কথা আর গোপনে অসহযোগীতা করা হচ্ছে তার চানৈক‍্য নীতি।

১০। সেনাপ্রধান হয়েও রাজনীতি সহ জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে তিনি কথা বলেন। ভারত যখন যা বলতে বলে এবং করতে বলে তিনি তাই বলছেন এবং করছেন। সর্বস্তরের জনগন তাই তার উপর ভীষন ক্ষুব্দ।

১১। তিনি সেনাবাহিনীকে দেশের পক্ষে কাজ করতে দিচ্ছেন না ! উল্টো জনগনকে ভয় দেখান এই বলে যে, তিনি না থাকলে যেকোন সময় দেশের স্বাধীনতা বিপন্ন হবে ! এই কথা থেকেই বুঝা যায় যে, তিনি ভরতের কত বড় তাবেদার।

১২। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হওয়া সত্বেও তিনি তাদেরকে নির্বাচনে অংশ গ্রহনের পক্ষে ওকালতি করে যাচ্ছেন। নির্ভরযোগ‍্য খবরে জানা যাচ্ছে যে, শেখ হাসিনা সহ বর্তমানে ৭৩৪ জন অপরাধী ভারতের আশ্রয়ে আছে। এরা খুব শীঘ্রই বাংলাদেশে ফেরার আশা করছে।

১৩। ওয়াকারুজ্জমান অপরাধীদের বিচার করতে নারাজ এবং বিধ্বস্তপ্রায় দেশের সংস্কার করার বিপক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়ে আছেন। তিনি মনে করছেন, আওয়ামী লীগ অতিশীঘ্রই ক্ষমতা ফিরে পাবে।

১৪। সৈরাচারী হাসিনার জুলুম অত‍্যাচারের কথা লিখতে গেলে যেমন একটা মহাকাব‍্য হয়ে যাবে, ওয়াকারুজ্জমানের মতন কুসন্তানের কুকীর্তির ফিরিস্তি লিখতে গেলেও একটা থিসিস লেখা হয়ে যাবে।

১৫। তার অধীনের লোকেরাই আয়না ঘর, গুম ও খুন করেছে। তিনি এর নাড়ীনক্ষত্র সবই জানেন শুধু নয়, নিজেও সরাসরি এর সাথে জড়িত। তারপরও তিনি নিজেকে ভাল মানুষ সাজার চেষ্টা করছেন।

১৬। মোট কথা হচ্ছে, সবকিছু বাদ দিয়ে অতি সত্বর নির্বাচন দিয়ে ড. ইউনুছকে ক্ষমতা ছেড়ে চলে যেতে হবে। অন‍্যথায় তিনি ও প্রেসিডেন্ট চুপ্পু মিলে প্রয়োজনীয় ব‍্যাবস্থা গ্রহন করবেন।

১৭। তারপর তিনি ভারতের সহযোগীতা নিয়ে সেনাবাহিনী চালাবেন এবং ভারতের পরামর্শে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ দেশ চালাবে। এই ভাবে দেশের জনগনকে আবার ভারতের গোলাম বানানো হবে।

১৮। বিগত ১৬টা বছর ভারত দেশটাকে লুটেপুটে গেয়েছে। একই সাথে আওয়ামী মাফিয়ারা ব‍্যাংকগুলো থেকে লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। দেশটাকে ধ্বংশ করে এবং স্বাধীনতাকে ভুলুন্ঠিত করার মধ‍্যে তিনি জীবনের কী স্বার্থকতাকে খুজে পেতে চান আমার বুঝে আসে না।

১৯। নিরীহ জনগনকে দমন করার কোন অন‍্যায় আদেশ দেশপ্রেমিক কোন উর্ধতন অফিসার যদি মেনে নেয় তার জন‍্য সে দ্বায়ী হবে, অধীনস্তরা নয়। সেই বিবেচনায় সেনাপ্রধান সহ খুব স্বল্প সংক্ষক উর্ধতন কর্মকর্তাকে বিচারের আওতায় আনা হলেই পুরো বাহিনী সম্পূর্ন ভাবে দ্বায়মুক্ত হয়ে যাবে। অন‍্যথায় এই অপরাধীরা একই কাজ বার বার করবে। তাই তাদেরকে ক্ষমা করা যায় না।

২০। এই দেশের জনগনের টাকায় গড়ে উঠা ওয়াকারুজ্জমান এবং তার মতন কুলাঙ্গারদেরকে পেলে মোদী ভারত রত্ন উপাধি দিতে দেরী করতো না। এমন বশংবদ মানুষকে ভারত পছন্দ না করে কি পারে!

২১। আমি সেনাবাহিনীর দেশপ্রেমিক ৯৯% অফিসার ও জুয়ান এবং দেশের ভুক্তভোগী জনগনের উপর ছেড়ে দিলাম তারা কিভাবে এই আওয়ামী ঘরানার ভারত প্রেমিক জানোয়ারদের দ্রুত বিচারের ব‍্যবস্থা কার্যকর করেন তা দেখার জন‍্য।

২২। এত কিছুর পরও যেহেতু জেনারেল ওয়াকারুজ্জমান ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় অতীতে চব্বিশের জুলাই বিপ্লবীদের পক্ষ নিয়েছিলেন, সেহেতু তিনি যদি দেশের স্বার্থে ঘোরতর অপরাধীদের বিচারের জন‍্য রাজস্বাক্ষীর ভুমিকা নেন তাহলে পুরো জাতি তাকে ক্ষমা করে দিয়ে জাতিয় বীর হিসেবে গ্রহন করে নেবে বলে আমি বিশ্বাস করি। দেখি দেশের বৃহত্বর স্বার্থে তাঁর বিবেক সাড়া দেয় কিনা?

ইসলামে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কও এবাদতের মধ্যে পড়ে। উভয়ে উভয়ের প্রতি সদব্যবহার করবে এটাই স্বাভাবিক। তবে পবিত্র কুর'আনে পুর...
10/10/2025

ইসলামে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কও এবাদতের মধ্যে পড়ে। উভয়ে উভয়ের প্রতি সদব্যবহার করবে এটাই স্বাভাবিক। তবে পবিত্র কুর'আনে পুরুষদেরকে নারীদের উপর প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। সূরা আন নিসায় আল্লাহ্ তায়ালা বলেছেন,
اَلرِّجَالُ قَوّٰمُوۡنَ عَلَی النِّسَآءِ
(৪:৩৪)। অর্থ: 'পুরুষরা নারীদের উপর কর্তৃত্যশীল'। এই কথা বলার অর্থ হল, নারীদের সব দায়িত্ব পুরুষদের উপর ন্যাস্ত করা। দায়িত্ব ছাড়া কর্তৃত্ব হয় না। রাসূল (সাঃ) হাদীসে বলেছেন, 'যদি আমি কাউকে নির্দেশ দিতাম আল্লাহ্ ব্যতীত অন্যকে সিজদা করার, তাহলে স্ত্রীকে নির্দেশ দিতাম তার স্বামীকে সিজদা করার জন্য'। হাদীসঃ ইবনে মাজাহ-১৮৫৩ এবং সহীহাহ-১২০৩। এর অর্থ হচ্ছে স্ত্রীদেরকে বলা তোমরা স্বামীদেরকে সন্মান কর। এটাও এবাদতের মধ্যে গন্য হবে। আবার পুরুষদের উপর নারীদেরও হক আছে।আর স্ত্রীদের হক আদায় করতে না পারলে স্বামীরাও শক্ত গুনাহগার হয়ে যাবে। এর মাধ্যমে পরিবারের ভারসাম্য রক্ষা করা হয়েছে। এটাই হচ্ছে ইসলামের সৌন্দর্য। সারাদিন নামাজ পড়া আর মসজিদে পড়ে থাকার নাম এবাদত নয়। বরং একজন ঈমানদার নেককার বান্দার সকল কাজের নাম হচ্ছে এবাদত। একজন নেককার বান্দা কখনো আল্লাহ্ তা'আলার অবাধ্য হতে পারে না। সে যা করে তা আল্লাহ্ তা'আলার সন্তুষ্টির জন্যই করে। মা-বাবা, পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব এমনকি অনাত্মীয়দের সঙ্গে জীবনের চলার পথে যা কিছু আল্লাহ্ তা'আলার সন্তুষ্টির জন্য করা হয় তার নামই এবাদত। শরীয়ত সন্মত ভাবে স্ত্রী-সহবাস বা এস্তেঞ্জা করাও এবাদতের মধ্যে পড়ে। এর বিপরীত সব কাজই হচ্ছে শয়তানের এবাদত। আমরা পরকালের জন্য যা কিছু পাঠাব সেটাই হবে সম্বল।তবে আমি ক্ষীন একটা আশার আলো দেখতে পাচ্ছি। তা হচ্ছে আল্লাহ্ তা'আলা সয়ং রহমানুর রাহিম। তিনি মাফ করাকে ভালবাসেন। তিনি সূরা আল আন'আমে বলেছেন-
مَنۡ جَآءَ بِالۡحَسَنَۃِ فَلَهٗ عَشۡرُ اَمۡثَالِهَا ۚ وَ مَنۡ جَآءَ بِالسَّیِّئَۃِ فَلَا یُجۡزٰۤی اِلَّا مِثۡلَهَا وَ هُمۡ لَا یُظۡلَمُوۡ ۰
যে একটি সৎকাজ করবে সে তার দশ গুন পাবে; আর যে একটি মন্দকাজ করবে সে তার সমান শাস্তি পাবে (৬:১৬০)'। এতে নেকের পাল্লা নয় গুন ভারি হবারই কথা। তাছাড়া সূরা আল বাকারাতে বলা আছে,
مَثَلُ الَّذِیۡنَ یُنۡفِقُوۡنَ اَمۡوَالَهُمۡ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰهِ کَمَثَلِ حَبَّۃٍ اَنۡۢبَتَتۡ سَبۡعَ سَنَابِلَ فِیۡ کُلِّ سُنۡۢبُلَۃٍ مِّائَۃُ حَبَّۃٍ ؕ وَ اللّٰهُ یُضٰعِفُ لِمَنۡ یَّشَآءُ ؕ وَ اللّٰهُ وَاسِعٌ عَلِیۡمٌ ﴿۲۶۱
'যে কোন দান সাত শত গুন পর্যন্তও বৃদ্ধি পেতে পারে' (২:২৬১)। এটা একটা সাধারন হিসাব। তার পরও কথা আছে। আল্লাহ্ তা'আলা সূরা আস সাবায় আরও বলেছেন-'যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে, তারা তাদের কর্মের বহুগুন প্রতিদান পাবে (৩৪:৩৭)'। উপরোক্ত বক্তব্য হাদীসে কুদসীতেও এসেছে। সূত্রঃ বুখারী-৬৪৯১; মুসলিম-১/৫৯, হাঃ-১৩১; আহমাদ-৩৪০২। এতে আমরা আরো ভাল কিছু আশা করতে পারি কিনা? অতএব চোখ কান বন্ধ করে শয়তানের পা ধরে পড়ে থাকলেই চলবে। কক্ষনো না। আল্লাহ্ তা'আলার এবাদত করে যেতে হবে। তবেই শুধু কিছু আশা করতে পারি। কিন্তু ঈমান হারা হয়ে পড়লে এই হিসাবের কোন দাম নেই। আবার অসাধারন কাজের কথা আলাদা। শয়তানের ধোকায় পড়ে যদি (আল্লাহ্ না করুন) আমি ধর্মান্তরিত হয়ে যাই, তবে নেকি-বদির কি কোন দাম থাকতে পারে? সংক্ষিপ্তাকারে আমার বক্তব্য এখানেই শেষ করতে চাই। আশাকরি পাঠক আমার উদ্যেশ্যটা বুঝতে পেরেছেন।

Address

Blaine
Plymouth, MN

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Engr Mohammad Enamul Huq posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category