10/17/2025
জীবনের দাম কী? মহাবিশ্বের মহাজ্ঞানিরা এটা নিয়ে বহু চিন্তা ভাবনা করেও কোন কূল কিনারা করতে পারেন নি। পৃথিবীতে কেন এলাম আর কেনই বা চলে যেতে হবে, এনিয়ে মতান্তরের কোন অভাব নেই। যুগে যুগে দার্শনিকগন অনেক চিন্তা গবেষণা করেও এর কোন সূরাহা করতে পারেন নি এবং কেউ পারবেন বলেও মনে হচ্ছে না। অবশ্য এই ব্যপারে ইসলাম দেড় হাজার বৎসর পূর্বেই এর সমাধান দিয়ে দিয়েছে। অথচ আমরা তা মানতে রাজী নই।
ইসলামের চিন্তা ভাবনা এবং আকিদা মতে মানুষেরা নিজেরা আসেনি, তাদেরকে পাঠানো হয়েছে। কে পাঠিয়েছেন, কেন পাঠিয়েছেন, তা কেবলমাত্র স্রষ্টাই বলে দিতে পারেন! আমরা এই স্রষ্টার নাম দিয়েছি আল্লাহ্ তা'আলা। সূরা আল ইখলাসে বলা হয়েছে-
قُلۡ هُوَ ٱللَّهُ أَحَدٌ. ٱللَّهُ ٱلصَّمَدُ. لَمۡ يَلِدۡ وَلَمۡ يُولَدۡ. وَلَمۡ يَكُن لَّهُۥ كُفُوًا أَحَدٌ 'বলুন তিনি আল্লাহ এক। আল্লাহ অমুখাপেক্ষী। তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাঁকে জন্ম দেয় নি। এবং তাঁর সমতুল্য কেউ নেই' (১১২:১-৪)। কে স্রষ্টা আর কে স্রষ্টা নন, তা পরীক্ষা করার জন্য 'কষ্টি পাথর' এর কাজ করে এই সূরা। গড, লর্ড, ইশ্বর, ভগবান বা প্রভু যত নামেই ডাকি না কেন উপরোক্ত কষ্টি পাথরে যাচাই করলে যদি না টিকে তবে বুঝতে হবে যে সে প্রকৃতপক্ষে স্রষ্টাই নয়। অধিকাংশ মানুষ এই বিভ্রান্তিতে পড়ে আছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
সূরা আন নাছে বলা হয়েছে-
إِلَٰهِ النَّاسِ (৩) مَلِكِالنَّاسِ (২) قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ (১)
'বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহন করছি মানুষের পালনকর্তার, মানুষের অধিপতির, মানুষের মাবুদের' (১১৪:১-৩)। আমরা তাঁর বান্দা। তাঁর ইচ্ছানুযায়ী আমরা এখানে এসেছি। আমরা এসেছি এটা প্রমান করার জন্য যে, তিনি সবকিছুর মালিক এবং এই বিশ্বজগতটা তাঁরই সৃষ্টি। সূরা আত-তীনে বলা হয়েছে-لَقَدۡ خَلَقۡنَا الۡاِنۡسَانَ فِیۡۤ اَحۡسَنِ تَقۡوِیۡم'আমি সৃষ্টি করেছি মানুষকে সুন্দরতর অবয়বে' (৯৫:৪)। যিনি আমাদের পালনকর্তা, অধিপতি, মাবুদ এবং সুন্দরতর অবয়বে আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন তিনিই তো আমাদের একমাত্র স্রষ্টা। যারা একাধিক স্রষ্টার কথা বলে তারা পরিষ্কার ভুলের মধ্যে আছে।
সূরা আল মুলকে বলা হয়েছে-
تَبْرَكَ الَّذِي بِيَدِهِ الْمُلْكُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرُ الَّذِي خَلَقَ الْمَوْتَ وَالْحَيُوةَ لِيَبْلُوَكُمْ أَيُّكُمْ اَحْسَنُ عَمَلاً وَهُوَ الْعَزِيزُ الْغَفُورُ الَّذِي خَلَقَ سَبْعَ سَمَوتِ طِبَاقًا مَا تَرَى فِي خَلْقِ الرَّحْمَنِ مِنْ تَفْوُتِ فَارْجِعِ الْبَصَرَ هَلْ تَرَى مِنْ فُطُورٍ 'পূন্যময় তিনি, যার হাতে রাজত্ব। তিনি সবকিছুর উপর সর্বশক্তিমান। যিনি সৃষ্টি করেছেন জীবন ও মরন, যাতে তোমাদেরকে পরীক্ষা করেন, কে তোমাদের মধ্যে কর্মে শ্রেষ্ঠ। তিনি পরাক্রমশালী ও ক্ষমাময়। তিনি সপ্ত আকাশ সৃষ্টি করেছেন স্তরে স্তরে। তুমি তাঁর সৃষ্টিতে কোন খুঁত বা ত্রুটি দেখতে পাবে না'... (৬৭: ১,২,৩)। আমাদের জন্য একটা জীবন বিধানও তিনি দিয়েছেন। সূরা বাকারায় বলা হয়েছে- ذٰلِکَ الۡکِتٰبُ لَا رَیۡبَ ۚۖۛ فِیۡهِ ۚۛ هُدًی لِّلۡمُتَّقِیۡنَ 'ইহা এমন কিতাব, যাতে কোন সন্দেহ নেই; মোত্তাকীদের জন্য পথপ্রদর্শক' (২:২)। এগুলোতো সৃষ্টিকর্তার নিজের কথা; অবিশ্বাস করার কোন সুযোগ নেই। তাই সেগুলো মেনে চলতে হবে
তিনি আমাদের আদি পিতা আদম (আঃ) কে প্রথম সৃষ্টি করে স্বস্ত্রীক বেহেশতে রাখেন। তাঁর একটা হুকুম না মানাতে আল্লাহ্ তা'আলা তাঁদেরকে কঠিন পরীক্ষার জন্য পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। সাথে পাঠানো হয়েছে শত্রু হিসেবে শয়তানকে। এমতাবস্থায় পৃথিবীতে শয়তানকে অমান্য করে সৎকাজ করে যেতে পারলে পরকালে জান্নাত পাওয়া যাবে। অন্যথায় চিরস্থায়ী ভাবে জাহান্নামে থাকতে হবে। এগুলো সূরা আল বাকারার ২: ৩০-৩৯ নম্বর আয়াতে বলা আছে। আদম (আঃ) এর বংশধর বলে আমরাও এই পরীক্ষার সম্মুখীন। অতএব পবিত্র কোরআনে দেওয়া হুকুমকে আমরা অমান্য করতে পারি না।
সৃষ্টিকর্তা কেন আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এবং ইহকাল ও পরকালের ব্যবস্থা কেন রেখেছেন তা অবশ্যই ভাববার বিষয়। মহাজগৎ সৃষ্টিতে যেমন অপার রহস্য বিদ্যমান; অন্যান্য সৃষ্টির বেলায়ও একই রহস্য উপস্থিত। মূলতঃ এতদুভয়ের মধ্যে তাঁর অস্তিত্বকেই খুজে পাওয়া যায়। কিন্তু আমাদের মত ক্ষুদ্র প্রানীর পক্ষে তা বোধগম্য করা কখনো সম্ভব নয়। তবে মহান স্রষ্টা এগুলো অপ্রয়োজনে বা অনর্থক যে সৃষ্টি করেন নি তা বুঝা কিছুতেই কঠিন নয়। কারন সূরা আন নিসায় বলা হয়েছে وَ لِلّٰهِ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَا فِی الۡاَرۡضِ ؕ وَ لَقَدۡ وَصَّیۡنَا الَّذِیۡنَ اُوۡتُوا الۡکِتٰبَ مِنۡ قَبۡلِکُمۡ وَ اِیَّاکُمۡ اَنِ اتَّقُوا اللّٰهَ ؕ وَ اِنۡ تَکۡفُرُوۡا فَاِنَّ لِلّٰهِ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَا فِی الۡاَرۡضِ ؕ وَ کَانَ اللّٰهُ غَنِیًّا حَمِیۡدًا'আর যা কিছু রয়েছে আসমান সমূহ ও জমীনে সবই আল্লাহর' (৪:১৩১)। সূরা আলে ইমরানে বলা হয়েছে-
الَّذِیۡنَ یَذۡکُرُوۡنَ اللّٰهَ قِیٰمًا وَّ قُعُوۡدًا وَّ عَلٰی جُنُوۡبِهِمۡ وَ یَتَفَکَّرُوۡنَ فِیۡ خَلۡقِ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ ۚ رَبَّنَا مَا خَلَقۡتَ هٰذَا بَاطِلًا ۚ سُبۡحٰنَکَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ'যারা দাড়িয়ে, বসে ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে এবং চিন্তা-গবেষণা করে আসমান ও জমিন সৃষ্টির বিষয়ে, (তারা বলে) হে প্রতিপালক, আপনি এসব অযথা সৃষ্টি করেন নি' .. (৩:১৯১)। সূরা আল-আম্বিয়ায় আল্লাহ্ তা'আলা সরাসরিই বলে দিয়েছেন যে,
مَاۤ اٰمَنَتۡ قَبۡلَهُمۡ مِّنۡ قَرۡیَۃٍ اَهۡلَکۡنٰهَا ۚ اَفَهُمۡ یُؤۡمِنُوۡنَ
'আকাশ পৃথিবী এতদুভয়ের মধ্যে যা আছে, তা আমি ক্রীড়াচ্ছলে সৃষ্টি করি নি (২১:১৬)'। কুর'আন সুন্নাহ্ নিয়ে গবেষণা করলে এর মূল রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব। অতএব সৃষ্টির প্রকৃত রহস্য এখানেই নিহিত।
সৃষ্টিকর্তা এই মহাবিশ্বের সমস্ত কিছু সৃষ্টি করেছেন। পৃথিবীর মানবসমাজকে তিনি সমস্ত যুগের মধ্যে সেরা সৃষ্টি হিসেবে পাঠিয়েছেন। সূরা আলে ইমরানে বলা হয়েছে-'তোমরাই হলে সর্বোত্তম উম্মত, মানবজাতির কল্যানের জন্যই তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে। তোমরা সৎকাজের নির্দেশ দান করবে ও অন্যায় কাজে বাধা দেবে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে'.. (৩:১১০)। সঙ্গে সঙ্গে স্রষ্টা নবী-রাসূলগানকে পাঠিয়েছেন মানব জাতিকে সঠিক পথে পরিচালিত করার জন্য। তাদেরকে সঙ্গে কিতাব বা সহিহফা পথনির্দেশক হিসেবে দেওয়া হয়েছে।
এই সকল নবী-রাসূলকে যারা অনুসরণ করেছে তাদেরকে পরীক্ষা করে সৃষ্টিকর্তা প্রতিদান দেবেন। এই ব্যবস্থার নাম হচ্ছে ইসলাম। এটাকে আল্লাহ্ তা'আলার স্কুলে
কালেমা পড়ে ভর্তী হওয়া বলা যায়। যারা এই স্কুলে ভর্তী হবে না, তারা বিনা বিচারেই জাহান্নামী হয়ে যাবে। মহান আল্লাহ্ হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে সর্বশেষ নবী ও রাসূল হিসাবে প্রেরণ করেছেন। পবিত্র কোরআন তাঁর প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে। যত দিন বেঁচে থাকব এই পবিত্র কোরআনের নির্দেশনা অনুযায়ী বর্তমানে আমাদেরকে চলতে হবে।
এটাই হচ্ছে আমাদের জীবন ব্যবস্থা। আমাদের জীবনের ব্যর্থতা বা স্বার্থকতা নির্ভর করে আমাদের ক্রিয়াকলাপের উপর। সৃষ্টিকর্তা অভিশপ্ত শয়তানকেও এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন আমাদেরকে পরীক্ষা করার জন্য। এই জীবনে আমরা যদি শয়তানের প্ররোচনাকে ব্যর্থ করতে না পারি তবে আমাদের ঠিকানা হবে জাহান্নাম। তাই পবিত্র কোরআনের নির্দেশনাকে অক্ষুন্ন রাখতে হবে, কারণ এর কোন বিকল্প নেই। আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে জীবনটাকে সার্থক করে তোলা। এটাই হচ্ছে পৃথিবীতে আমাদের অবস্থানের একমাত্র উদ্দেশ্য। তা না হলে আগ্রাসী বিপদ আমাদেরকে গ্রাস করে ফেলবে। এই কঠিন পরীক্ষায় অবশ্যই আমাদেরকে উত্তীর্ন হতে হবে। তা নাহলে কঠিন শাস্তি পেতে হবে।
জীবনের অর্থ এক এক ধর্মে এক এক রকম। অবাক লাগে যখন দেখি প্রত্যেক ধর্মানুসারিরা বলেন তারা সঠিক, তারা ছাড়া কেউ স্বর্গে যেতে পারবে না। অথচ পবিত্র কোরআন বলে ইসলামই একমাত্র সঠিক ধর্ম এবং পবিত্র কুর'আন সর্বশেষ ধর্মগ্রন্থ। এই কোরআন হচ্ছে আল্লাহর দেওয়া সরাসরি বানী। অথচ বাকীগুলোর মধ্যে কোনটাই আল্লাহর বানী নয়, বরং নবী-রাসূল অথবা মানুষের কথা। তাছাড়া সেগুলো সবই কোরআন নাজিল হওয়ার পর বাতিল হয়ে গেছে। ফলে বর্তমানে সেগুলো আর অনুসরণযোগ্য নয়। এই কথা তাদেরকে বোঝাবে কে? অথচ, আল্লাহ্ তা'আলা পবিত্র কুর'আনের সূরা আলে-ইমরানে বলেই রেখেছেন যে, 'নিঃসন্দেহে আল্লাহর নিকট গ্রহনযোগ্য ধর্ম একমাত্র ইসলাম' (৩:১৯)। অথচ তারা তা মানতে রাজী না। এটা হচ্ছে তাদের জীবন। এই জীবনের কি মূল্য আছে?
বিশ্বের স্বনামধন্য জ্ঞানীগুনীরা এক বাক্যে ইসলাম ধর্মকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধর্ম বলে স্বীকার করে গেছেন এবং এখনো করছেন। কিন্তু স্বল্প সংখ্যক ব্যতীত কেউ তা গ্রহন করে নিতে রাজী হচ্ছেন না। তাদের এই অহংবোধ তাদের কোন কাজে লাগবে না। তারা চান তাদের কথা সবাই বলুক, তাদের সুনাম সবাই করুক। এই সুনাম সাময়িক। পরকালে এটা তাদের কোন কাজে আসবে না। সত্য কোনদিন মিথ্যার সামনে দাঁড়াতে পারেনি আর পারবেও না। তাই এক স্রষ্টায় সবাকেই বিশ্বাস করতে হবে। কারণ সূরা আল আম্বিয়ায় বলা হয়েছে- 'যদি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য থাকত, তবে উভয়ে ধ্বংশ হয়ে যেত' ..(২১:২২)। অতএব একাধিক স্রষ্টা থাকার প্রশ্নই আসে না। যারা এমন কথা বলে তারা ভুলের মধ্যে আছে।
স্রষ্টার কাজ হচ্ছে সৃষ্টি করা। আর সৃষ্টির কাজ হচ্ছে স্রষ্টার আরাধনা বা বন্দনা করা। সৃষ্টির মাধ্যমে স্রষ্টা নিজেকে প্রকাশ করে থাকেন। তাই আরাধনার মাধ্যমে সৃষ্টিজগৎ স্রষ্টার পরিচয় খুজে পাবে। এটাই হচ্ছে সৃষ্টিজগতের মূল উদ্দেশ্য। স্রষ্টার অপার মহিমা বুঝার সাধ্য আছে কয় জনার। যেই স্রষ্টা মহাবিশ্বটাকে নিজ কুদরতের মাধ্যমে সাজিয়েছেন তা বুঝার সাধ্য কখনো কোন সৃষ্টির পক্ষে সম্ভব হতে পারে না। তাহলে আমাদের করনীয় কি তা আমাদেরকেই ঠিক করে নিতে হবে। শয়তানের প্ররোচনায় অধিকাংশ মানুষকে অনুসরণ করতে গেলে আমরা পথভ্রষ্ট হয়ে যাব।
যেহেতু আমরা বিবেক বুদ্ধি সম্পন্ন শ্রেষ্ঠ জাতি হিসেবে পৃথিবীতে এসেছি, সেহেতু প্রকৃত উদ্দেশ্য সাধন ব্যতীত এই ধরাধাম ত্যাগ করতে পারি না। প্রকৃত অর্থে জীবনের স্বার্থকতা এখানেই নিহিত। এখন বিচার বিশ্লেষন করে দেখতে হবে কোনটা সঠিক রাস্তা আর কোনটা ভুল। বিচার বুদ্ধিকে যদি সঠিক কাজে লাগাতে না পারি তবে আমাদের পুরো জীবনটাই বৃথা হয়ে যাবে। এমন দূর্ভাগ্য যেন কারো না হয়। কারন সূরা আল মুদাসসীরে বলা হয়েছে- 'প্রত্যেক ব্যক্তি তার নিজের কৃতকর্মের জন্য দায়ি' (৭৪:৩৮)। আমাদেরকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে, বিনা প্রয়োজনে আমাদের আগমন ঘটে নি। আমাদের কৃতকর্মের জন্য বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। কারন সূরা আল কিয়ামায় বলা হয়েছে- 'মানুষ কি মনে করে যে, তাকে এমনি ছেড়ে দেওয়া হবে? (পরীক্ষা করা হবে না) (৭৫:৩৬)। অতএব বুঝতে হবে যে উদ্দেশ্যহীন ভাবে আমরা পৃথিবীতে আসিনি। তাই জীবনের অর্থকে খুজে বের করতে হবে। জীবনটাকে কোন ভাবেই হেলায় ফেলায় কাটানো যাবে না। কারণ, জীবনতো একটাই।