A K Azad এ কে আজাদ

A K Azad এ কে আজাদ Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from A K Azad এ কে আজাদ, 161st Street, Queens Village, NY.

সবসময় চুপ থাকাটা শান্তির নাম নয়। অনেক সময় চুপ থাকা অন্যায়ের পক্ষে সম্মতি! প্রতিবাদ করো, যতটুকু পারো কারণ, আল্লাহ অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো মানুষকে ভালোবাসেন।

ওসমান হাদিকে সবাই চেনে সাহসী ও দেশপ্রেমিক মানুষ হিসেবে। আজকে ওসমান হাদির সহকর্মীদের মুখে শুনলাম মানুষ হিসেবে তার বিশালত্...
12/14/2025

ওসমান হাদিকে সবাই চেনে সাহসী ও দেশপ্রেমিক মানুষ হিসেবে। আজকে ওসমান হাদির সহকর্মীদের মুখে শুনলাম মানুষ হিসেবে তার বিশালত্বের কাহিনী।

সে গত দেড়টা বছর প্রয়োজনে খালি কার্পেটে সহকর্মীদের সাথে ঘুমিয়েছে, বালিশ একটা থাকলে সেটা তার ঘুমন্ত সহকর্মীর মাথার নীচে দিয়ে দিয়েছে; এমনও হয়েছে, কর্মীর কাপড় নিজে ধুয়ে দিয়েছে।
অশ্রসিক্ত কণ্ঠে তার সহকর্মীরা যখন এসব বলেছে যমুনাতে, আমাদের হৃদয় আরো বির্দীর্ণ হয়েছে। আর ছিল হাদির বোনের বুকফাটা আর্তনাদ। সেটা বর্ণনা করার ভাষা আমার নাই।

এতো মানুষের দোয়া, ইনশাল্লাহ্ ফিরবে আমাদের সিংহহৃদয় হাদি।

Dr. Asif Nazrul

বিএনপির এই নেতা আবার নেত্রকোনা -০১ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করবে। তার প্রচেষ্টায় শরিফ ওসমান হাদীর উপর গুলি কর...
12/13/2025

বিএনপির এই নেতা আবার নেত্রকোনা -০১ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করবে। তার প্রচেষ্টায় শরিফ ওসমান হাদীর উপর গুলি করা আসামী এখন ১ বছরের জামিনে আছে।
সোর্স: DU insiders.

এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না—এই জল্লাদের উল্লাসমঞ্চ, এই বিস্তীর্ণ শ্মশান, রক্তস্নাত কসাইখানা কোনোটাই আমার স্বপ্নের বাংল...
12/12/2025

এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না—এই জল্লাদের উল্লাসমঞ্চ, এই বিস্তীর্ণ শ্মশান, রক্তস্নাত কসাইখানা কোনোটাই আমার স্বপ্নের বাংলাদেশ নয়। আমরা যে দেশকে হৃদয়ের রক্ত দিয়ে গড়েছি, যে দেশকে ভালোবেসে বুক ভরা আশা নিয়ে বড় হয়েছি, সেই দেশ আজ অমানবিকতার দহনজ্বালায় পুড়ছে। মানুষের জীবন যেন আজ গণনাহীন, ন্যায়বিচার যেন বিলাসিতা, আর রাষ্ট্র যেন নীরব, অক্ষম এক দর্শকের ভূমিকায়।

হাদী হত্যাচেষ্টার যে নির্মম ঘটনা ঘটেছে—এটা শুধু একজনের ওপর হামলা নয়, বরং মানবতার গায়ে ছুরিকাঘাত। যেসব উন্মাদ জল্লাদ তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে, তাদের জন্য ক্ষমা নেই। তাদের প্রতি রাষ্ট্রীয় দয়া দেখানোর কোনো সুযোগ নেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রথম দায়িত্ব ছিল—দোষীদের দ্রুততম সময়ে পাকড়াও করা, সুষ্ঠু তদন্ত ও কঠোর বিচার নিশ্চিত করা। কিন্তু যদি তোমরা তা করতে ব্যর্থ হও, যদি তোমাদের অযোগ্যতার কারণে অপরাধীরা逍遥 করে বেড়ায়, তাহলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও পুলিশ প্রধান—তোমরা এই দায়িত্বে থাকার নৈতিক যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছো। দায়িত্ব থেকে বিদায় হও, কারণ জনগণের নিরাপত্তা তোমাদের হাতে আর নিরাপদ না।

আমরা আমাদের দেশকে রক্তক্ষরণ হতে দেখতে চাই না। আমরা ভয়হীন, মানবিক, ন্যায়পরায়ণ বাংলাদেশ চাই—যেখানে জীবনের মূল্য আছে, যেখানে অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত, যেখানে রাষ্ট্র তার নাগরিকের পাশে দাঁড়ায়। এই দেশকে আমরা ফিরে পেতে চাই, সেই দেশকে যেখানে অন্ধকারের বদলে আলো কথা বলে, যেখানে মানুষ বাঁচে মর্যাদায়, যেখানে বিচার হয় দেরিতে নয়, নির্ভুলভাবে।

আমি আমার দেশকে ফিরে পেতে চাই—হ্যাঁ, ন্যায়বিচারের, সত্যের, মানবতার সেই দেশকে!

তালাক হয়ে যাওয়ার পর স্বামী কোর্ট থেকে বেরিয়ে অটোতে বসলো, আর তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী সেই একই অটোতে এসে বসে পড়ল।উদাস স্বাম...
12/12/2025

তালাক হয়ে যাওয়ার পর স্বামী কোর্ট থেকে বেরিয়ে অটোতে বসলো,
আর তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী সেই একই অটোতে এসে বসে পড়ল।
উদাস স্বামী দশ বছর একসঙ্গে থাকা স্ত্রী রৌনকের দিকে এক কাতর দৃষ্টিতে তাকাল।
রৌনক নিভে আসা হাসি দিয়ে বলল —
"বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত শেষ পথটা তোমার সাথেই যেতে চাই।"
স্বামী বলল — "ঠিক আছে!"

রাস্তায় যেতে যেতে স্বামী বলল —
"অ্যালিমনি (ভরণপোষণ) এর টাকা দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে দিয়ে দেবো।
বাড়িটাও বেচে দেবো।
তোমার জন্যই তো বানিয়েছিলাম।
তুমি যদি জীবনেই না থাকো,
তবে সেই বাড়ি দিয়ে কি করব আমি?"

রৌনক তাড়াহুড়ো করে বলল —
"বাড়ি কখনোই বেচো না।
আমাকে টাকা দেয়া লাগবে না।
প্রাইভেট চাকরি করছি, আমার আর মুন্নের খরচ হয়ে যায়।"

হঠাৎ অটোওয়ালা ব্রেক কষলো,
রৌনকের মুখ সামনে থাকা রেলিংয়ে ধা/ক্কা লাগার উপক্রম,
তখনই স্বামী হঠাৎ তার হাত ধরে তাকে বাঁচিয়ে দিল।

স্বামীর চোখের দিকে তাকিয়ে রৌনক অশ্রুভরা কণ্ঠে বলল —
"আমরা আলাদা হয়ে গেছি,
তবে তোমার যত্ন নেওয়ার অভ্যাসটা তো যায়নি!"

সে কিছু বলল না।
কিন্তু রৌনক কেঁদে ফেলল।
কাঁদতে কাঁদতে বলল —
"একটা কথা জিজ্ঞেস করি?"

স্বামী চোখ তুলে বলল —
"কি?"

রৌনক ধীরে ধীরে বলল —
"দুই বছর হয়ে গেল আমরা আলাদা থাকছি...
আমার কথা তোমার কখনো মনে পড়ত?"

স্বামী বলল —
"এখন বলেই বা কি লাভ?
এখন তো সব শেষ হয়ে গেছে না?
তালাক হয়ে গেছে।"

রৌনক বলল —
"এই দুই বছরে একবারও সেই ঘুমটা আর পাইনি...
যে ঘুম তোমার হাতকে বালিশ বানিয়ে হতো..."
কথা শেষ করে সে ফুপিয়ে কেঁদে উঠল।

এসময় বাসস্ট্যান্ড চলে এসেছে।
দু’জন অটো থেকে নেমে দাঁড়াতেই স্বামী তার হাত ধরে ফেলল।
অনেকদিন পর স্বামীর স্প/র্শ কব্জিতে অনুভব করে রৌনক আবেগে ভেসে গেল।

স্বামী বলল —
"চলো, নিজের বাড়িতে চলে যাই।"

এটা শুনেই রৌনক বলল —
"তালাকের কাগজগুলো তাহলে?"

স্বামী শান্ত গলায় বলল —
"ছিঁড়ে ফেলব।"

এটা শুনেই রৌনক হাউমাউ করে কেঁদে স্বামীর গলায় মাথা রাখল...

পেছনে আরেকটা অটোতে আসা স্বামী-স্ত্রীর আত্মীয়রা সবকিছু দেখে চুপচাপ কোনো কথা না বলে বাসে উঠে চলে গেল...

~নিজের সম্পর্ককে কখনোই আত্নীয়দেয় হাতে ছেড়ে দিও না,
নিজে সিদ্ধান্ত নিজেই নাও, নিজেদের মধ্যে কথা বলো,
ভুল হলে তা স্বীকার করো।
তাহলে সম্পর্ক গুলো আজীবন বেচে থাকবে।

কালেক্টেড

পরিবর্তন শুধু “লীগ" থেকে “দল"বাকি সবকিছুই আগের মতই আছে।
12/11/2025

পরিবর্তন শুধু “লীগ" থেকে “দল"
বাকি সবকিছুই আগের মতই আছে।

“ও ভাই! কী হয়েছে? কেয়ামত হয়ে গেল নাকি? আপনারা দৌড়াচ্ছেন কেন?"😆এটি ইয়েমেনের একটি মসজিদে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা। শায়খ আবু ইমা...
12/04/2025

“ও ভাই! কী হয়েছে? কেয়ামত হয়ে গেল নাকি? আপনারা দৌড়াচ্ছেন কেন?"😆

এটি ইয়েমেনের একটি মসজিদে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা। শায়খ আবু ইমাদ ঘটনাটি বর্ণনা করছিলেন এভাবে:

আমার এক বন্ধু বলল, 'গতকাল আমার পাশের গলির একজন মারা গেছেন। নাম আবু নাসের, বেশ বয়স্ক মানুষ ছিলেন। আল্লাহ ওনাকে জান্নাত নসিব করুন।
তো, জানাজা আর দাফন শেষে খাটিয়াটা (মৃতদেহ বহনের খাট) যখন ফেরত আনা হলো, তখন বেশ রাত।
এশার নামাজ শেষ, মসজিদও বন্ধ।
তাই লোকেরা খাটিয়াটা মসজিদের দরজার বাইরের উঠোনে রেখে দিল, যাতে সকালে মুয়াজ্জিন বা খাদেম এসে সেটা জায়গামতো রেখে দেয়।

রাত তখন প্রায় সাড়ে ৩টা। এক লোক মসজিদে আসল।
দেখল উঠোন খোলা কিন্তু মসজিদের মেইন দরজা তালাবদ্ধ। সে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করল, কিন্তু কেউ খুলল না।
ওদিকে হাড় কাঁপানো শীত..
হঠাৎ তার নজর পড়ল ওই খাটিয়াটার দিকে। ওটার ওপর আবার একটা চাদর বিছানো ছিল। ব্যাস! সে আর দেরি না করে খাটিয়ার ঢাকনা সরাল, ভেতরে মোটা কাপড় পাতা ছিল, আরামসে ওটার ভেতরে ঢুকে শুয়ে পড়ল।
আর সাথে সাথেই গভীর ঘুম!

আধঘণ্টা পর মসজিদের খাদেম এলেন দরজা খুলতে। তিনি খাটিয়াটা দেখে ভাবলেন, হয়তো ফজরের পর জানাজা হবে, তাই লাশসহ কেউ রেখে গেছে।
মুসল্লিরা আসতে শুরু করল, কেউ অজু করতে গেল, কেউ সালাম বিনিময় করল।
খাদেম আর কয়েকজন মিলে খাটিয়াটা ধরাধরি করে একেবারে মেহরাবের পাশে নিয়ে রেখে দিল।
সবাই ভাবছে ভেতরে লাশ আছে, তাই কেউ আর ওটা নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করেনি।
তাছাড়া ভোরের বেলা সবার চোখে তখনও ঘুমের রেশ।

ফজরের আজান হয়ে গেল। মসজিদে প্রায় ৫০ জনের মতো লোক।
আমরা কাতার সোজা করে নামাজে দাঁড়ালাম। আমি ছিলাম একদম প্রথম কাতারে। দ্বিতীয় রাকাতেও সব ঠিক ছিল, হঠাৎ দেখলাম খাটিয়াটা নড়ছে!
ভাবলাম, এ কী! চোখের ভুল নাকি? চোখ কচলে আবার তাকালাম।
না! স্বপ্ন না! ইমাম সাহেবের ঠিক পেছনে রাখা খাটিয়াটা সবার চোখের সামনে সত্যিই নড়ছে!
আমার তো ভয়ে কলিজা শুকিয়ে গেল, পুরো কাতারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল।

ঠিক তখনই খাটিয়ার ভেতর থেকে লোকটা ঘুম ভেঙে ঢাকনাটা সরাল।
মাথা বের করে সোজা জিজ্ঞেস করল, 'ভাই, আপনারা কি নামাজ পড়ে ফেলেছেন?'

ওরে ভাই! এরপরের দৃশ্য আর কী বলব! আল্লাহর কসম, সেই দৃশ্য দেখার মতো ছিল।
আমি জুতো ফুতোর কথা ভুলে জান নিয়ে দে দৌড়! এক দৌড়ে মনে হয় এক কিলোমিটার পার হয়ে গেছি, তাও খালি পায়ে! ওদিকে ইমাম সাহেব তো বেহুঁশ হয়ে ফ্লোরে পড়ে গেলেন। ভয়ে কেউ কেউ দেয়ালে গিয়ে মাথা ঠুকল। কেউ কেউ আমার মতো খালি পায়েই ভোঁ দৌড়। একজন তো ভয়ে অজুখানার হাউজেই পড়ে গেল।
সোজা কথায়, কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে পুরো মসজিদ ফাঁকা!

কিন্তু হাসির ব্যাপার হলো, ওই খাটিয়ার লোকটাও আমাদের সাথে সাথে দৌড়াতে শুরু করল! সে দৌড়াচ্ছে আর সবার পিছু পিছু চিৎকার করছে:

“ও ভাই! কী হয়েছে? কেয়ামত হয়ে গেল নাকি? আপনারা দৌড়াচ্ছেন কেন?"

আর পেছনের লোকজন যতবার দেখছে যে 'লাশ' তাদের পেছনে দৌড়াচ্ছে, তাদের দৌড়ানোর গতি তত বাড়ছে! বেচারা লোকটা তখনও চিল্লাচ্ছে, 'আমাকে ফজরের জন্য ডাক দিলেন না কেন? আল্লাহ আপনাদের বিচার করবেন!' আসলে সে বুঝতেই পারছিল না যে এই লঙ্কাকাণ্ডের মূল হোতা আসলে সে নিজেই!

_সংগৃহীত

“কোচিং ব্যবসা, রাজনৈতিক দূষণ ও প্রশ্নফাঁস: বাংলাদেশের শিক্ষা সংকট”বাংলাদেশ উন্নতি চাইলে শিক্ষার মান উন্নয়ন, শিক্ষকদের জব...
11/27/2025

“কোচিং ব্যবসা, রাজনৈতিক দূষণ ও প্রশ্নফাঁস: বাংলাদেশের শিক্ষা সংকট”

বাংলাদেশ উন্নতি চাইলে শিক্ষার মান উন্নয়ন, শিক্ষকদের জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ, প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধকরণ, রাজনৈতিক দূষণ রোধ, এবং প্রাইভেট ও কোচিং বাণিজ্যের নির্মূল—এই সমস্ত বিষয়কে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। একটি দেশের উন্নতি নির্ভর করে তার শিক্ষাব্যবস্থার মানের ওপর। শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য মূল দায়িত্ব শিক্ষকদের। কিন্তু বাস্তবতা হলো, বাংলাদেশে শিক্ষক সমাজের অনেক অংশ আজ দায়িত্বহীন, রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত, প্রাইভেট ব্যবসা এবং কোচিংয়ের প্রতি আসক্ত। শিক্ষা এমন একটি ক্ষেত্র, যেখানে শিক্ষকরা জাতির ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার ক্ষমতা রাখে। কিন্তু যখন শিক্ষকরা দায়িত্বহীন হন, তখন তারা জাতির প্রতি এককালে বিশ্বাসঘাতকতা করেন।

শিক্ষক সমাজের দায়িত্বহীনতার কারণে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা মৌলিক শিক্ষাগত দক্ষতা অর্জন করতে পারছে না। তারা শুধু পরীক্ষার জন্য পড়ছে, শেখার জন্য নয়। পাঠ্যবই, নোট, তথ্যপ্রযুক্তি—সবকিছু আছে, কিন্তু শিক্ষার মৌলিক উদ্দেশ্য হারিয়েছে তার মানে। শিক্ষার্থীর চিন্তাশক্তি, বিশ্লেষণধারা, সৃজনশীলতা—এসব ক্রমশ ধ্বংস হচ্ছে। কারণ শিক্ষকরা ক্লাসে মনোযোগী নয়, তারা ব্যস্ত প্রাইভেট পড়ানো, কোচিং ব্যবসা, রাজনৈতিক পদপ্রাপ্তি, এবং নিজেদের স্বার্থসিদ্ধিতে। এই দায়িত্বহীনতা শিক্ষার্থীর ক্ষতি করছে, সমাজের নৈতিক মান হ্রাস করছে, এবং পুরো জাতির ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

সবচেয়ে ভয়ংকর অপরাধ হলো প্রশ্নপত্র ফাঁস। এটি শুধু একটি শিক্ষা সমস্যা নয়; এটি সামাজিক ও নৈতিক বিপর্যয়। শিক্ষার্থীরা যখন পরীক্ষার আগের রাতে মোবাইল স্ক্রিনে লিক হওয়া প্রশ্নপত্রের উপর নির্ভর করে, তখন সেখানে শিক্ষা থাকে না, থাকে শুধুই প্রতারণা। যারা এই অপরাধে জড়িত—শিক্ষক, প্রশাসক, প্রভাবশালী ব্যক্তি—তারা জাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করছেন। প্রশ্নফাঁস শুধু শিক্ষার্থীর নয়, রাষ্ট্রের বিশ্বাসযোগ্যতাকেও ধ্বংস করে।

দূরদর্শী রাষ্ট্রগুলোতে প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধের জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বাংলাদেশে এখনো কার্যকর ব্যবস্থা নেই। সাময়িক বরখাস্ত, সামান্য জরিমানা—এসব কিছুই যথেষ্ট নয়। এর ফলে শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রতারণা স্বাভাবিক হয়ে উঠছে। এই সংস্কৃতি একদিন সমাজের সব স্তরেই প্রবেশ করবে। তাই জবাবদিহিতা ছাড়া শিক্ষার উন্নতি অসম্ভব।

শিক্ষকদের রাজনীতি ও দলাদলি থেকে মুক্ত রাখা অপরিহার্য। শিক্ষক যদি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হন, তারা স্বাধীনভাবে চিন্তা করতে পারবে না। শিক্ষার্থীর নৈতিক ও সামাজিক মূল্যবোধ শেখানো অপ্রতিষ্ঠিত হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দলীয় ভাগাভাগার কেন্দ্র হয়ে ওঠে, শিক্ষকরা বিরোধের বলি হয়, শিক্ষার্থীরা বিভ্রান্ত হয়, শিক্ষার পরিবেশ অস্থিতিশীল হয়। শিক্ষকরা রাজনৈতিক নেতৃত্বের খেলোয়াড় হয়ে গেলে শিক্ষার চেতনা হারিয়ে যায়। তাই রাষ্ট্রের উচিত কঠোরভাবে ঘোষণা করা—অবসরের আগে কোনো শিক্ষক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়াতে পারবেন না। শিক্ষকতা হবে দায়িত্ব, দলীয় প্ল্যাটফর্ম নয়।

প্রাইভেট পড়ানো এবং কোচিং ব্যবসা শিক্ষক সমাজের আরেকটি গভীর সমস্যা। শিক্ষকরা যদি প্রাইভেট পড়ান, তারা আর শিক্ষক থাকে না; তারা ব্যবসায়ী হয়ে যায়। ক্লাসরুমের শিক্ষা তাদের কাছে দ্বিতীয় অগ্রাধিকার হয়ে যায়। শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয় প্রাইভেট বা কোচিংয়ে অংশ নিতে। এতে শিক্ষার মধ্যে বৈষম্য তৈরি হয়। যে ছাত্র প্রাইভেট পড়তে সক্ষম, সে এগিয়ে যায়; আর যে পারে না, সে পিছিয়ে পড়ে। এটি শিক্ষার নৈতিক কাঠামোকে ধ্বংস করে।

কোচিং বাণিজ্য শিক্ষার জন্য ক্ষতিকর এবং শিক্ষকের নৈতিকতা নষ্ট করে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অর্থনৈতিক শৃঙ্খলার বাইরে চলে যায় এবং শিক্ষার্থীর মানসিক চাপ বাড়ে। তাই প্রাইভেট পড়ানো ও কোচিং ব্যবসা নিষিদ্ধ করা অপরিহার্য। রাষ্ট্র যদি শিক্ষার মান উন্নয়ন চায়, তবে বিকল্প আয় ব্যবস্থা রাখতে হবে—গবেষণা, পাঠ্যপুস্তক লেখা, প্রশিক্ষণ সেশন।

শিক্ষকদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে একটি স্বচ্ছ ও কার্যকর মূল্যায়ন ব্যবস্থা। শিক্ষকের ক্লাসের মান, উপস্থিতি, শিক্ষার্থীর ফলাফল, নৈতিক আচরণ, পেশাগত উন্নয়ন—সবকিছু নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে। শিক্ষকতা একটি সৎ, দায়বদ্ধ এবং নিয়মিত মূল্যায়নযোগ্য পেশা হওয়া উচিত। যারা দায়িত্বহীন বা অনৈতিক, তাদের শিক্ষকের পেশা থেকে সরিয়ে দিতে হবে।

শিক্ষা ব্যবস্থার বড় সমস্যা হলো অযোগ্য শিক্ষক নিয়োগ। বহু শিক্ষক দলীয় প্রভাব, ঘুষ বা সুপারিশের মাধ্যমে নিয়োগ পেয়েছেন। তারা শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ ক্ষতিগ্রস্ত করছে। শিক্ষক হতে হলে শুধু ডিগ্রি যথেষ্ট নয়; প্রয়োজন নিষ্ঠা, দায়বদ্ধতা, মানবিকতা এবং চিন্তার গভীরতা। শিক্ষক নিয়োগে স্বচ্ছতা আনতে Teacher Recruitment Commission গঠন করা উচিত।

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী হবে, যখন শিক্ষকরা স্বচ্ছ, দায়িত্বশীল, অরাজনৈতিক এবং শিক্ষার্থীর মেধা ও নৈতিকতার দিকে মনোযোগী হবেন। শিক্ষক সমাজকে পুনর্গঠন, দায়িত্ববোধ পুনঃস্থাপন, এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত ছাড়া শিক্ষার মান বৃদ্ধি অসম্ভব।

প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধ, রাজনীতি থেকে মুক্তি, প্রাইভেট ও কোচিং বাণিজ্য বন্ধ, জবাবদিহিতা নিশ্চিত—এসব পদক্ষেপ শিক্ষার মান উন্নয়নের মূল ভিত্তি। প্রযুক্তি, ডিজিটাল শিক্ষা, আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা—সব সাহায্য করবে; কিন্তু প্রকৃত পরিবর্তন হবে, যখন শিক্ষক সমাজ স্বচ্ছ, দায়বদ্ধ এবং সত্ হবে।

যেদিন শিক্ষকরা সত্, দায়িত্বশীল, অরাজনৈতিক, শিক্ষার্থীর মেধা ও নৈতিকতার দিকে মনোযোগী—সেদিন বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থে উন্নতির পথে হাঁটবে। শিক্ষার্থীর মনোবিকাশ হবে, মানবিক মূল্যবোধ গড়ে উঠবে, সামাজিক নৈতিকতা প্রতিষ্ঠিত হবে, আর সেই দিনই একটি নতুন, শিক্ষিত, শক্তিশালী এবং মর্যাদাপূর্ণ বাংলাদেশের সূচনা ঘটবে।

মেয়ে আর পুত্রবধূর ইজ্জত বাঁচাতে বাবা যখন নিজেই ‘যমদূ*ত’! নড়াইলের এই ঘটনা কাঁপিয়ে দিয়েছে পুরো দেশ! 😱⚖️ধৈর্যের বাঁধ ভাঙলে...
11/22/2025

মেয়ে আর পুত্রবধূর ইজ্জত বাঁচাতে বাবা যখন নিজেই ‘যমদূ*ত’! নড়াইলের এই ঘটনা কাঁপিয়ে দিয়েছে পুরো দেশ! 😱⚖️

ধৈর্যের বাঁধ ভাঙলে মানুষ আর মানুষ থাকে না, বাঘ হয়ে যায়। নড়াইলের এই বাবা সেটাই প্রমাণ করলেন। আইনের দীর্ঘসূত্রিতা বা বিচারের অপেক্ষায় তিনি বসে থাকেননি, নিজ হাতেই নরপশুকে দিলেন চরম ও দৃষ্টান্তমূলক শা*স্তি!

ঘটনাটি শুনলে আপনার রক্ত হিম হয়ে যাবে। 😰 এক লম্পট কু-নজর দিয়েছিল এই বৃদ্ধের মেয়ে এবং পুত্রবধূর দিকে। শুধু কু-নজরই নয়, সে চেষ্টা করেছিল তাদের ধর্ষণ করার! 😡

কিন্তু সে ভুলে গিয়েছিল, ঘরে একজন বাবা আছেন। আর সন্তানের ইজ্জত রক্ষায় একজন বাবা যে কোনো পর্যায়ে যেতে পারেন। যখন ওই নরপ*শু তার জঘন্য কাজ করতে উদ্যত হয়, তখন এই শ্বশুরমশাই রুখে দাঁড়ান।

রাগ আর ঘৃণায় তিনি এমন এক সিদ্ধান্ত নেন যা ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে। তিনি ওই লম্পটের সেই বিশেষ অঙ্গটি (গোপনাঙ্গ) শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেন, যা দিয়ে সে পাপ করতে চেয়েছিল! 🔪🩸 শুধু তাই নয়, তার গলা কেটে শরীরটাকে টুকরো টুক*রো করে তিনি তার ক্ষোভ মিটিয়েছেন।

পুলিশ যখন তাকে গ্রে/ফ/তা/র করে, তার চোখেমুখে কোনো অনুশোচনা ছিল না। ডিবি পুলিশের হাতে হতক*ড়া পরা অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকা এই মানুষটিকে দেখে মনে হচ্ছে তিনি যেন বলছেন— ❝আমার মা-মেয়ের দিকে হাত বাড়ালে, সেই হাত আমি রাখব না!❞

হয়তো আইনের চোখে তিনি অপরাধী, তাকে জেল খাটতে হবে। কিন্তু বিবেকের আদালতে? আজ দেশের হাজারো মানুষ তাকে স্যালুট জানাচ্ছে। কারণ তিনি প্রমাণ করেছেন, ধর্ষ*কের একমাত্র স্থান জাহান্নাম, আর সেই টিকেট কনফার্ম করার দায়িত্ব মাঝেমধ্যে বাবারাই নেন। 🔥

আপনার কী মনে হয়? এই বাবা কি সঠিক কাজ করেছেন? নাকি আইনের হাতে তুলে দেওয়া উচিত ছিল? কমেন্টে আপনার মতামত জানান। 👇

সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান একাই খুন করেছেন নিরাপরাধ ১০৩০ জন নাগরিককে। এই সেনাবাহিনী ২৪ এর অভ্যুত্থানে ছাত্র-জ...
11/22/2025

সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান একাই খুন করেছেন নিরাপরাধ ১০৩০ জন নাগরিককে। এই সেনাবাহিনী ২৪ এর অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার ‍বুকে গুলি চালিয়েছিল। সেই সেনাবাহিনীকে গালি দেওয়ায় জাত গেছে এই বাহিনীর! তাই- রাতের আধারে এই নিরীহ নাগরিককে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠেছে।

গত ১৭ নভেম্বর ধানমন্ডি -৩২ এ শেখ হাসিনার বাড়ি ভাঙতে যাওয়ায় ছাত্র-জনতাকে লাঠিচার্জ করে প্রতিহত করে পুলিশ-সেনাবাহিনী। এসময় বিক্ষুব্ধ হয়ে ভিডিও বক্তব্যে সাইফুল ইসলাম নামের এই শিক্ষার্থী সেনাবাহিনীকে কটুক্তিমূলক কথা বলে।

এই ঘটনায় রাতেই সে ফেসবুক পোস্টে বিষয়টির জন্য অনুতপ্ত ও ক্ষমা প্রার্থনা করে। তবুও তার বাসায় গিয়ে একদল সেনাসদস্য তাকে ও তার পরিবারকে হেনস্তা করেছে। এমন অভিযোগ তার।

অথচ- এই সেনাবাহিনী চাইলে এই বিক্ষুব্ধ ছাত্রকে সহমর্মিতা দিয়ে তার মনের ভেতরে সেনাবাহিনীর জন্য ভালোবাসা সৃষ্টি করতে পারতো। অথচ দিলো আরও ঘৃণা!!!

ছাত্রলীগের রিফাত এখন যুবদল নেতা ⛔
11/21/2025

ছাত্রলীগের রিফাত এখন যুবদল নেতা ⛔

আমরা সত্যিই ভুলে গেলাম? এই মুখটি কি আপনাদের মনে আছে? ইনি নেত্রকোনার অকুতোভয় নারী সাংবাদিক সাহারা খাতুন। ২০২৩ সালে, ভারত...
11/21/2025

আমরা সত্যিই ভুলে গেলাম?

এই মুখটি কি আপনাদের মনে আছে? ইনি নেত্রকোনার অকুতোভয় নারী সাংবাদিক সাহারা খাতুন। ২০২৩ সালে, ভারতীয় চিনির চোরাচালানের মতো একটি ভ/য়ঙ্ক/র অ/প/রা/ধে/র তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়েই তাকে নির্মমভাবে প্রাণ দিতে হয়েছিল।

কী ঘটেছিল সেই রাতে?

ভারতীয় চিনি বহনকারী দুটি ট্রাক সীমান্ত পেরিয়ে শহরে ঢুকছে, এই খবর পেয়ে সাংবাদিক সাহারা ও তার সহকর্মী ফেরদৌসী (যিনি আহত হন) মোটরসাইকেলে পিছু নেন।

চোরাকারবারিদে*র 'লাইনম্যান' জাবির প্রথম ট্রাকটিকে নিরাপদে পার করে দিলেও, দ্বিতীয় ট্রাকটি রাজুর বাজার এলাকায় আসতেই সাংবাদিক সাহারা সেটির গতিরোধ করেন। তিনি সাহসিকতার সাথে সেই ট্রাকের ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে শুরু করেন।

এরপরই ঘটে সেই নির্মম হ*ত্যাকা*ণ্ড!

প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ অনুযায়ী, লাইনম্যান জাবির ইচ্ছাকৃতভাবে তার মোটরসাইকেল দিয়ে সাংবাদিকদের মোটরসাইকেলে স্বজোরে ধা*ক্কা দিলে তারা সবাই ছিটকে রাস্তায় পড়ে যান।

সাহারা যখন রাস্তায় লুটিয়ে পড়া নিস্তেজ অবস্থায়, তখন জাবির সেই ঘাতক ট্রাকের চালককে চিৎকার করে নির্দেশ দেয়: "ফিরিজ কর" (পেছনে নে)!

চালককে ট্রাকটি পেছনে নিতে বলাই হয়েছিল সাহারাকে চাকার নিচে পিষ্ট করে মেরে ফেলার জন্য! জাবিরের নির্দেশে চালক ঠিক তাই করে। ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান সাংবাদিক সাহারা।

ঘাতক ট্রাকটি পণ্যস*হ নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়।

বিচার কোথায়? এই ঘটনাটি ২০২৩ সালের। স্থানীয় সাংবাদিক সমাজ এবং সাহারার পরিবার এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শা*স্তি দাবি করে আসছে। কিন্তু ন্যায়বিচার এখনও সম্পন্ন হয়নি।

সত্য উদঘাটন করতে গিয়ে যে সাংবাদিককে এমন নির্মমভাবে জীবন দিতে হলো, তাকে আমরা সবাই কি এত সহজেই ভুলে গেলাম, তাই না?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) কার্যনির্বাহী সদস্য উম্মে উসওয়াতুন রাফিয়ার ময়মনসিংহ মহানগরীর বাড়িতে যা...
11/21/2025

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) কার্যনির্বাহী সদস্য উম্মে উসওয়াতুন রাফিয়ার ময়মনসিংহ মহানগরীর বাড়িতে যারা ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটিয়েছে ও তার বাড়ির গেটে দাহ্য পদার্থ ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে এবং এতে যারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে এরা উভয়েই নিকৃষ্টতম কাপুরুষ।

Address

161st Street
Queens Village, NY
11432

Telephone

+15169147295

Website

http://www.jagobarta.com/, http://www.columnistazad.com/

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when A K Azad এ কে আজাদ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to A K Azad এ কে আজাদ:

Share