A K Azad এ কে আজাদ

A K Azad এ কে আজাদ Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from A K Azad এ কে আজাদ, 161st Street, Queens Village, NY.

সবসময় চুপ থাকাটা শান্তির নাম নয়। অনেক সময় চুপ থাকা অন্যায়ের পক্ষে সম্মতি! প্রতিবাদ করো, যতটুকু পারো কারণ, আল্লাহ অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো মানুষকে ভালোবাসেন।

রবার্ট বেকারের আকস্মিক মৃত্যুতে তাঁর স্ত্রী জাফরিন বেকার যখন শোকে কাতর, বারবার জ্ঞান হারাচ্ছেন, ঠিক তখনই তাঁর মাথায় আকাশ...
10/23/2025

রবার্ট বেকারের আকস্মিক মৃত্যুতে তাঁর স্ত্রী জাফরিন বেকার যখন শোকে কাতর, বারবার জ্ঞান হারাচ্ছেন, ঠিক তখনই তাঁর মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল এক নতুন খবরে। বাড়ির প্রায় আট বছরের পুরোনো কাজের মেয়ে মারিয়া লেনর এসে জানালো, সে গর্ভবতী – আর এই সন্তানের বাবা হলেন মৃত রবার্ট বেকার!

​মারিয়া আরও বলল, তার শরীর দিন দিন খারাপ হচ্ছে, তাই সে আগামীকাল থেকে কাজে আসতে পারবে না। সে দাবি জানালো, রবার্টের সম্পত্তি থেকে প্রতি মাসে তাকে ও তার অনাগত সন্তানের ভরণ-পোষণের জন্য একটি নির্দিষ্ট খরচ দিতে হবে। পাশাপাশি, তার মাসিক বেতন—সাড়ে তিন হাজার ডলারও—তাকে নিয়মিত দিতে হবে। মারিয়া নিজেকে "সিক লিভ"-এ যাচ্ছে বলে ঘোষণা করলো।
​এই খবরে ভালো প্রভাব এইটুকু হলো যে, জাফরিন বেগমের ঘন ঘন জ্ঞান হারানো বন্ধ হলো।
​জার্মান বংশোদ্ভূত রবার্ট বেকার সপরিবারে উত্তর আমেরিকার ভারমন্টে থাকতেন। তাঁর স্ত্রী জাফরিন এশীয় বংশোদ্ভূত, আর মারিয়া লেনর পর্তুগাল থেকে আসা এক তরুণী, যিনি বাচ্চাদের ন্যানি বা কেয়ারগিভারের কাজ করতেন।
​জাফরিন প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হলেন। রাগ সামলে নিয়ে, গায়ে হাত না তুলে তিনি ধপ করে চেয়ারে বসে পড়লেন। "তুমি কী বললে? তুমি রবার্টের সন্তান বহন করছ?"
​"জ্বি ম্যাডাম," মারিয়ার উত্তর।
​"কিন্তু তোমাকে তো আমি আমার ঘর আর বাচ্চাদের দেখাশোনার দায়িত্ব দিয়েছিলাম!"
​"আমি সেই দায়িত্ব ঠিকমতোই পালন করেছি ম্যাডাম। তা না হলে আপনি বাড়ি ফিরে একটা সাজানো-গোছানো ঘর পেতেন না।"
​"কীসব আজগুবি কথা বলছো! তুমি আমার বাচ্চাদের দেখাশোনার কথা বলে আমার স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছো, আবার বলছো ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করেছো! বেরিয়ে যাও এখান থেকে! তুমি কিছুই পাবে না," চিৎকার করে উঠলেন জাফরিন।
​মারিয়া শান্তভাবে বলল, "দেখুন, আমাকে বাড়তি টাকা না দিলেও অন্তত আমার মাসের বেতনটুকু দিন। যদি সেটাও না দেন, তবে আমি আপনাকে আদালতে নিয়ে যাব। মনে রাখবেন, আইনি প্রক্রিয়ায় আপনি নিশ্চিত হারবেন, কারণ আমি আপনার স্বামীর বাচ্চা বহন করছি।"
​জাফরিন তাতেও রাজি হলেন না। মামলা আদালতে গড়ালো।
​আদালতে বিচারকের প্রশ্নের জবাবে মারিয়া লেনর জোর দিয়ে বলল, অনাগত সন্তানের ভরণ-পোষণের টাকা না পেলেও তার মাসিক বেতন—সেই সাড়ে তিন হাজার ডলার—তার খুব দরকার।
​জাফরিন বেকার তখন বললেন, "আমি বিশ্বাস করি না এটা রবার্টের সন্তান। আমি ডিএনএ রিপোর্ট দেখতে চাই।"

​মারিয়া লেনর ডিএনএ রিপোর্ট দেখাতে নারাজ ছিলেন, তিনি দাবি করেন—এটা একান্তই তাঁর এবং রবার্টের ব্যক্তিগত বিষয়, এই রিপোর্টে অন্যের কোনো অধিকার নেই।
​জাফরিন বললেন, "আমার দুই সন্তানের জানার অধিকার আছে যে মারিয়ার সন্তান সত্যিই রবার্টের কি না।"
​বিচারক রিপোর্ট দেখার অনুমতি দিলেন। জাফরিন দেখলেন—সত্যিই মারিয়া রবার্টের সন্তান বহন করছে।
​নিজের পক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে মারিয়া বললেন, "ইওর অনার, আমি পুরো সময়টাতে তাঁর বাচ্চাদের জন্য রান্না করেছি, তাঁর ঘরদোর গুছিয়ে রেখেছি। তাই তিনি বাড়ি ফিরে একটা গোছানো ঘর পেয়েছেন।"
#অনেক_তর্ক-বিতর্কের পর বিচারক রায় দিলেন: জাফরিন বেকার তাঁর ন্যানি মারিয়ার প্রাপ্য টাকা দিতে বাধ্য নন, কারণ মারিয়া লেনর তাঁর পেশাদারিত্ব নষ্ট করেছেন। তিনি তাঁর চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করেছেন এবং দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করেননি।
​বিচারকের মতে, মারিয়া এক বছরের বেশি সময় ধরে রবার্ট বেকারের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িত ছিলেন, যা 'বিশ্বাস ভঙ্গ' । মারিয়া যখন রবার্টের সঙ্গে এই 'অ-পেশাদার' সম্পর্কে জড়িয়েছেন, তখন থেকেই তিনি তাঁর চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করেছেন এবং জাফরিন বেকারের বাচ্চাদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলেছেন।
#বিচারক পেশাদারিত্বের সংজ্ঞা তুলে ধরে বললেন—চুক্তি অনুযায়ী যেকোনো দায়িত্ব পালন করা, নৈতিকভাবে তা মেনে চলা, সত্য বলা, মিথ্যা না বলা, দয়াশীল হওয়া, চুক্তির নির্দেশনা মেনে চলা, চুরি না করা এবং 'অ-শোভন' সম্পর্কে না জড়ানো—এগুলোই পেশাদারিত্ব।

তাহলে ​নবজাতক শিশুটির কী হবে?
​অনাগত সন্তানের জন্য বিচারক মারিয়া লেনরকে বললেন, "আমি বুঝতে পারছি বিষয়টি তোমার নিয়ন্ত্রণে ছিল না। আমি এটাও বুঝতে পারছি তুমি মা হিসেবে খারাপ হবে না। তোমার জন্য আমার পরামর্শ—পেছনের দিকে তাকিয়ো না, বর্তমানের দিকে তাকাও। সামনের দিকে এগিয়ে যাও। নিজেই নিজের সমাধান খোঁজো। তোমার জন্য এটা একটা কঠিন অভিজ্ঞতা হলো। ভালো থেকো।"
#চরিত্রগুলো_কাল্পনিক। একটি কোর্ট শো'র ছায়া অবলম্বনে।

ফলাফল কি দাঁড়ালো ???
১.অনেকেই বলবে পুরুষের অপকর্মের শেষ ফল খুব খারাপ ভাবে নারীকেই বহন করতে হয়।
২. চুক্তি ভঙ্গ করা কিংবা বিশ্বাসঘাতকতার পরিণতিও তো কখনোই ভালো হয়না।
৩. মারিয়া লেনর কেনো চিন্তা করলো না এমন একটি অনৈতিক সম্পর্কের পরিণতি খুব খারাপ যা তাকেই বহন করতে হবে !!
৪. রবার্ট বেকার যদি বেঁচে থাকা অবস্থায় এই ঘটনা প্রকাশিত হতো তাতে এই অনৈতিক সম্পর্কের ভার তাকে সারাজীবন দাম্পত্য জীবনে মারাত্বকভাবে বহন করতে হতো !! _ যার পরিণতি হয়তো ডিভোর্স /বিচ্ছেদ পর্যন্ত গড়াতো!! ধ্বংস হতো পরিবার !!

#অতএব, অনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার প্রযোজ্য হবে কি না, তা নির্ভর করে সেই সম্পর্কটি কোনো আইন লঙ্ঘন করেছে কি না তার উপর। যদি কোনো আইনি ভিত্তি থাকে, তবে আদালত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে পারে। অনৈতিকতার প্রায়শ্চিত্ত প্রত্যেককেই করতে হয়! আইনগতভাবে অথবা বিবেকের দংশনে পারিবারিক জীবনে / সামাজিক জীবনে !!

মধ্যরাতে মা অ-সু-স্থ হওয়ায় ভোরের আলো ফুটতেই দুই ছেলে এভাবেই মাকে কাঁধে করে নিয়ে ছুটে চলছে হাসপাতালে..কালীগঞ্জ..লালমনিরহা...
10/23/2025

মধ্যরাতে মা অ-সু-স্থ হওয়ায় ভোরের আলো ফুটতেই দুই ছেলে এভাবেই মাকে কাঁধে করে নিয়ে ছুটে চলছে হাসপাতালে..কালীগঞ্জ..লালমনিরহাট তিস্তা চর এলাকার চিত্র এটি..

বর্ষায় নাও..শুকনায় পাও..এভাবেই যেন চলছে তিস্তার মানু্ষের জীবনযাত্রা..শুকনো ও বর্ষা দুই মৌসুমেই তিস্তা যেন এ অঞ্চলের মানুষের অ-ভি-শা-প 🙂

- সংগৃহীত পোস্ট।

আলহামদুলিল্লাহ❗গুম খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদেরকে অবশেষে বিচারের আওতায় আনা গেছে এবং কারা কতৃপক্ষের ...
10/22/2025

আলহামদুলিল্লাহ❗

গুম খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদেরকে অবশেষে বিচারের আওতায় আনা গেছে এবং কারা কতৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে, এটা সুখবর। বিচারের রায় কি হবে জানিনা। তবে এর ফলে আগামীতে গুম খুনের মতো জঘন্য কাজ করতে রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন বাহিনীর ব্যক্তিরা দশবার ভাববে। শহীদদের আত্মাও শান্তি পাবে। সুশাসনের জন্য ন্যায় বিচার যে জরুরি, তাও প্রমাণিত হবে। বিবিধ বাঁধা ও হুমকিকে উপেক্ষা করে বিচারের প্রক্রিয়াকে এতদূর পর্যন্ত আনার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের চীপ প্রসিকিউটর, আলিফের মতো অটল এডভোকেট তাজুল ইসলাম ও তাঁর টিম ধন্যবাদ পাওয়ার হকদার। সাথে স্যালুটও।
২২/১০/২৫

লে.কর্নেল রেদোয়ান।হাসিনাকে খুশি করতে সেদিন লক্ষ জনতার বুকে নিশানা করে গুলি ছুঁড়েছিলো। অথচ চাইলে পারতো জনগণের পাশে দাঁড়াত...
10/22/2025

লে.কর্নেল রেদোয়ান।
হাসিনাকে খুশি করতে সেদিন লক্ষ জনতার বুকে নিশানা করে গুলি ছুঁড়েছিলো। অথচ চাইলে পারতো জনগণের পাশে দাঁড়াতে।

এবার পালা বনশ্রীতে হত্যাযজ্ঞ চালানো আরেক অফিসার মেজর রাফাত, ১৯ এবং ২০ জুলাই নারায়নগঞ্জের জালকুড়িতে গুলি চালানো বিজিবি ৬২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সালাউদ্দীন এবং নরসিংদী,সিলেট গণহত্যার সাথে জড়িত সব অফিসার।

মাত্র ১৭ বছর বয়সেই যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি পাইলট সার্টিফিকেট অর্জন করেছে সিলেটের সন্তান আহনাফ আবিদ মাহির।যুক্তরাষ্ট্রের ...
10/22/2025

মাত্র ১৭ বছর বয়সেই যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি পাইলট সার্টিফিকেট অর্জন করেছে সিলেটের সন্তান আহনাফ আবিদ মাহির।

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) থেকে গত ৩০ আগস্ট এই সনদ অর্জন করে সে। এর মাধ্যমে আহনাফ এখন থেকে অ–বাণিজ্যিক একক ইঞ্জিন বিমান চালানোর অনুমতি পেয়েছে।

অর্জনের পর নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে আহনাফ বলেন, ‘যেই মুহূর্তে আমি বিশ্বের আকাশে উড়োজাহাজ ওড়ানোর বেসরকারি পাইলট সনদ পেলাম, তখন আমি একদিকে নার্ভাস ছিলাম, অন্যদিকে মন খুশিতে ভেসে যাচ্ছিল। সবচেয়ে বেশি মনে হচ্ছিল, আমি শুধু আমার নিজের নয়, বাবা-মায়েরও স্বপ্ন পূরণ করেছি।’

প্রায় এক যুগ আগে আহনাফের বাবা-মা যুক্তরাষ্ট্রে যান। ছোটবেলা থেকেই তার স্বপ্ন ছিল আকাশে উড়ার। মাত্র দশ বছর বয়সে, লস অ্যাঞ্জেলসের একটি স্কুলের অনুষ্ঠানে উড়োজাহাজ নিয়ে বক্তৃতা দেয় সে। সেখান থেকেই শুরু হয় আকাশ ছোঁয়ার যাত্রা।

১৪ বছর বয়সে স্থানীয় এভিয়েশন ক্যাডেট প্রোগ্রামে ভর্তি হয়ে বিমানবিজ্ঞান, নেভিগেশন, ককপিট নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা বিষয়ে প্রাথমিক প্রশিক্ষণ নেয়।

১৫ বছর বয়সে শুরু করে আনুষ্ঠানিক ফ্লাইট ট্রেনিং, আর ১৬তম জন্মদিনে প্রথমবার একা আকাশে উড়ে যায়-যা ছিল তার জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।

আহনাফের স্কুলজীবন শুরু হয় লস অ্যাঞ্জেলসের আর্ভিন স্টিম ম্যাগনেট স্কুলে, যেখানে বিজ্ঞান, রোবোটিকস ও প্রযুক্তিতে দক্ষতা অর্জন করে। পরে ভর্তি হয় ডাউনটাউন বিজনেস ম্যাগনেটে। পড়াশোনার চাপের মধ্যেও নিয়মিত ফ্লাইট ট্রেনিং চালিয়ে যায় সে।

স্কুল ও প্রশিক্ষণের ভারসাম্য রাখতে গিয়ে সপ্তাহে একবার বা মাসে একবারই উড়ার সুযোগ হতো। গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে নিয়মিত ফ্লাইটের মাধ্যমে প্রস্তুতি নেয় প্রথম ক্রস–কান্ট্রি ফ্লাইটের, যা সফলভাবে সম্পন্ন করে প্রায় ১০২ মাইল দূরের সান্তা ইনেজ পর্যন্ত।

উড্ডয়ন প্রশিক্ষণের পাশাপাশি প্রতি সপ্তাহে অন্তত ১০ ঘণ্টা করে গ্রাউন্ড স্কুলে অধ্যয়ন করত আহনাফ। বিমানবিজ্ঞান, আবহাওয়া, নেভিগেশন ও নিরাপত্তা বিষয়ে গভীরভাবে পড়াশোনা করে।

গত মার্চে এফএএ-এর লিখিত পরীক্ষায় প্রথমবার ৮০ শতাংশ নম্বর পেয়ে সন্তুষ্ট হয়নি; দ্বিতীয়বার আরও কঠোর পরিশ্রম করে ৯০ শতাংশ স্কোর করে। অবশেষে আগস্টে চূড়ান্ত চেকরাইডে উত্তীর্ণ হয়ে বেসরকারি পাইলট সনদ অর্জন করে।

আহনাফের এই অর্জন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যেও আনন্দের জোয়ার এনেছে।

অনেকেই বলছেন, মাত্র ১৭ বছর বয়সে আহনাফের সাফল্য তরুণ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার প্রতীক।

এই পৃথিবীতে দুই ধরনের বন্ধু আছে। এক শ্রেণীর বন্ধু আসে ভিজিটিং আওয়ারে, তারা ঘড়ি ধরে আসে, শুভেচ্ছা জানায়, ভালো ভালো কিছু ...
10/22/2025

এই পৃথিবীতে দুই ধরনের বন্ধু আছে। এক শ্রেণীর বন্ধু আসে ভিজিটিং আওয়ারে, তারা ঘড়ি ধরে আসে, শুভেচ্ছা জানায়, ভালো ভালো কিছু কথা বলে, তারপর সূর্যাস্তের আগেই বিদায় নেয়। তারা হয়তো সহানুভূতিশীল, কিন্তু তাদের উপস্থিতি কেবল সময়ের সীমারেখায় আটকে থাকে।

অন্যদিকে, কিছু বন্ধু থাকে যারা ভিজিটিং আওয়ার কি জিনিস বোঝে না! এরা হাসপাতালের গেটে বসে থাকে আপনার দুঃখের ভার নিজের কাঁধে নিয়ে। জীবনের অনন্ত দুঃখের রাতে জেগে থাকে, শুধুমাত্র আপনাকে ভরসা দেওয়ার জন্য।

যারা সত্যিকারের বন্ধু তারা কখনও সময়ের হিসাব করে না। ওরা অতন্দ্র প্রহরীর মতো দাঁড়িয়ে থাকে আপনার অন্ধকার সময়ের সাক্ষী হয়ে, ওদের বন্ধুত্বের গভীরতা মাপতে হয় হৃদয় নামের তুলাদন্ড দিয়ে!

কিছু ছবি চোখের শান্তি দেয় অন্তর্বর্তী সরকারকে ঘিরে অনেক তর্ক-বিতর্ক থাকতে পারে, কিন্তু বিচারপতি খায়রুল ও সংশ্লিষ্ট সেনা...
10/22/2025

কিছু ছবি চোখের শান্তি দেয়
অন্তর্বর্তী সরকারকে ঘিরে অনেক তর্ক-বিতর্ক থাকতে পারে, কিন্তু বিচারপতি খায়রুল ও সংশ্লিষ্ট সেনা কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় এনে যে নজির স্থাপন করা হয়েছে, তা দেশের ভবিষ্যতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা। এটি স্পষ্ট করেছে যে, দায়িত্বশীল কোনো পদে থেকে দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী কেউই বিচারের ঊর্ধ্বে নয়। এই দৃষ্টান্ত ভবিষ্যতের জন্য ইতিবাচক—এখন থেকে কেউ দায়িত্বশীল পদে থেকে দলের স্বার্থে কাজ করার আগে অন্তত দশবার ভেবে দেখবে।

পাপ বাপকেও ছাড়ে না।

সেকুলারিজম বা গনতান্ত্রিক বিচারিক ব্যবস্তার অসাড়তার একটা উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হতে পারে নিচের ছবিটি! ছবির লোকটি কোন হুজুর নয়...
10/22/2025

সেকুলারিজম বা গনতান্ত্রিক বিচারিক ব্যবস্তার অসাড়তার একটা উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হতে পারে নিচের ছবিটি!
ছবির লোকটি কোন হুজুর নয়।আপাদমস্তক একটা জানোয়ার।দ্বিতীয়বার জেলে গিয়ে সে দাড়ি টুপি রেখেছে!!
প্রথম দফায় সে ছোট্ট একটি বাচ্চাকে ধর্ষ/ন ও হ/ত্যা করে। সেটাতে সে সাজা খেটে অল্প দিনেই বের হয়ে আসে!!
বের হয়ে অটোরিকশা চালানো শুরু করে।
প্রচন্ড বৃষ্টির দিনে যাত্রী হিসেবে পায় কলেজ পড়ুয়া একটি মেয়েকে। তাকেও সে ধর্ষ/ন ও হ/ ত্যা করে।
সেটার রায়েই তার মৃত্যু দন্ড হয়েছে।।

তবে এই রায় হয়েছে নিম্ন আদালতে।।
এর পর হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোট।সেখানে এই রায় বহাল নাও থাকতে পারে!!
আর এটাই সেকুলারিজম!!

কিন্তু শরিয়াহ কায়েম থাকলে আইন মোতাবেক প্রথম অপরাধে তার মৃত দন্ড হয়ে যেতো তাহলে সে ২য় অপরাধীটি করতে পারতো না।

তুমি না ম/'রলে আমি মাহিরের হবো না,,'জোবায়েদ তখনো মা'/রা যায়নি। বাঁচার জন্য দুই তালা থেকে উপরে ওঠে। তিন তালায় দাঁড়িয়ে ছিল...
10/21/2025

তুমি না ম/'রলে আমি মাহিরের হবো না,,

'জোবায়েদ তখনো মা'/রা যায়নি। বাঁচার জন্য দুই তালা থেকে উপরে ওঠে। তিন তালায় দাঁড়িয়ে ছিল বর্ষা। তখন বর্ষাকে দেখে জোবায়েদ বলে, আমাকে বাঁচাও। কিন্তু বর্ষা বলে, তুমি না ম'/রলে আমি মাহিরের হবো না। বর্ষা তার মৃ'ত্যু কনফার্ম করে যায়। তখন জোবায়েদ বাঁচার জন্য দরজায় নক করেও পায় নি।

এটি একটি ত্রিভুজ প্রেম। বর্ষা মেয়েটি চালু। দুইদিকেই সম্পর্ক বজায় রাখে। মিন্নির ঘটনার প্রায় কাছাকাছি। বর্ষা মাহিরকে বলে, জোবায়েদকে না সরালে তোমার কাছে ফিরতে পারবো না। বর্ষার পরিকল্পনা অনুসারে জোবায়েরকে হ/'ত্যার সিদ্ধান্ত নেয় মাহির ও তার বন্ধু আয়লানসহ তিনজন। ঘটনার দিন মাহির জোবায়েদকে বর্ষার থেকে সরে আসতে বলে। জোবায়েদ জানায়, আমি সরে আসবো কেন। তখন তাদের মাঝে তর্কাতর্কি হয়। এরপর এ হ/'ত্যাকান্ড।'

-ডিএমপির ব্রিফিং

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আফ্রিকার সাহারা মরুভূমিতে একটি যুদ্ধবিমান ভেঙে পড়ে। যাত্রীরা সবাই মারা গেলেও আশ্চর্যজনকভাবে পাই...
10/21/2025

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আফ্রিকার সাহারা মরুভূমিতে একটি যুদ্ধবিমান ভেঙে পড়ে। যাত্রীরা সবাই মারা গেলেও আশ্চর্যজনকভাবে পাইলট প্রাণে বেঁচে যায়। চারপাশে শুধু ধু ধু বালু আর আগুন ঝরা রোদ। খাবার নেই, পানি নেই, আশ্রয় নেই — সম্বল বলতে কিছু শুকনো বিস্কুট আর এক বোতল পানি!

তিনদিন পর বোতলের পানি শেষ হয়ে গেল। সূর্যের তাপ, পানির অভাব এবং নিঃসঙ্গতা — সব মিলিয়ে পাইলট একদম নিঃশেষ, মৃতপ্রায়। তখন তার মনে পড়ে, সে পাইলট হবার আগে ছিল একজন চিত্রশিল্পী! পকেটে পেন্সিল ছিল, সাথে একটা ভাঙা চশমা। মরুভূমির বালুতে সে আঁকা শুরু করল — তার পরিবার, প্রিয়জন, তার শহরের রাস্তা, ঘরবাড়ি, গাছপালা!

সে জানত, সে মরবে। কিন্তু মৃত্যুর আগে সে তার স্মৃতি ধরে রাখতে চায়। আশ্চর্যজনকভাবে ছবি আঁকার সময় পাইলট অনুভব করে, তার তৃষ্ণা খানিকটা কমে গেছে, মনটাও শান্ত হয়েছে। সে ভাবল, আমি এখনও বেঁচে আছি। যতক্ষণ আমি স্বপ্ন দেখতে পারি, ততক্ষণ আমি হারিনি!

অষ্টম দিনে এক ফরাসি উদ্ধারকারী দল তাকে খুঁজে পায়। তারা অবাক হয়ে দেখে — শরীর দুর্বল, চোখের নিচে কালি, ঠোঁট ফেটে গেছে, কিন্তু বালিতে ছবি আঁকছে এক পাইলট — যেন কোনো এক জাদুকর!

উদ্ধারের পরে সেই পাইলট বলেছিল, "আমি টিকে ছিলাম, কারণ আমি বিশ্বাস করেছিলাম। আমার চোখের ভাঙা চশমা আর হাতের পেন্সিল আমাকে মরুভূমিতেও বাঁচিয়ে রেখেছিল।"

শিক্ষা:

জীবন কখনো কখনো সবকিছু কেড়ে নেয়, কিন্তু একটা জিনিস কেড়ে নিতে পারে না — তা হলো আপনার বিশ্বাস। আপনি যদি বিশ্বাস করেন যে আপনি পারবেন, তাহলে পৃথিবীর কেউ আপনাকে হারাতে পারবে না।

( সংগৃহীত)

সোনা পথে বসাতে পারে...‼️একটা বাণী মার্কেটে ছড়ানো হলো যে, ব্যাংকে টাকা না রেখে সোনা কিনবেন। ব্যাংকে টাকা হারিয়ে যাওয়ার...
10/21/2025

সোনা পথে বসাতে পারে...‼️

একটা বাণী মার্কেটে ছড়ানো হলো যে, ব্যাংকে টাকা না রেখে সোনা কিনবেন। ব্যাংকে টাকা হারিয়ে যাওয়ার চান্স আছে কিন্তু সোনার দাম বাড়বেই! হলও তাই। ব্যাংক থেকে মানুষ টাকা তুলে সোনা কেনা শুরু করলেন। ব্যাংকগুলো তারল্য সংকটে পড়ে গেল। আর সোনার দাম আকাশচুম্বি হয়ে গেল। একটা সময় পর মানুষের কাছে সোনা থাকবে কিন্তু মুদ্রাস্ফীতির কারণে পর্যাপ্ত টাকা থাকবে না। সোনা দিয়ে তো খাবার বা অন্যান্য সেবা কেনা যাবে না৷ জমানো সোনাকে তখন বিক্রি করতে হবে। সবাই যখন বিক্রি করতে যাবে তখন অর্থনৈতিক বাজার ব্যবস্থার ফর্মুলা সক্রিয় হয়ে যাবে। আমরা জানি চাহিদার চেয়ে যোগান বেশি হলে পণ্যের দাম কমে যায়। এর মানে ২ লাখ টাকার সোনা আপনার কেনা দামের চেয়ে কম মূল্যে বিক্রি করতে হতে পারে। সামনে দাম আরও কমে যাবে এই দুশ্চিন্তায় মানুষ আরো বেশি দ্রুত বিক্রি করতে উদগ্রীব হবেন। এতে বাজারে যোগান আরো বাড়বে। ফলে দাম আরও কমে যাবে। আপনাকে লস করতে বাধ্য করা হবে। বিশ্ব অর্থনৈতিক জায়ান্টদের এটাই দীর্ঘ মেয়াদী মাস্টার প্ল্যান। তাদের ল্যাবে আমরা শুধু গিনিপিগ মাত্র।

অনিয়ন্ত্রিত অসম বাজার ব্যবস্থাপনায় ধ্বসের পথে বিশ্ব অর্থনীতি। এখানে টার্গেট মধ্যবিত্তরা। যারা ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করতে অভ্যস্ত। সুকৌশলে এদেরকে নিঃস্ব করে দিয়েই বিত্তশালীরা আরও বিত্তবান হবেন গরিবরা পথে বসে যাবেন। দাসত্ব মেনে নিতে বাধ্য করা হবে।

এটা একটা অনুমান নির্ভর স্ট্যাটাস দিলাম। আমার ধারণা বা পর্যবেক্ষণ ভুলও হতে পারে। তবে সোনা ক্রয় বন্ধ করতে হবে! এটা একটা স্ক্যাম। সোনা কিনলে আপনার আমার টাকা বাক্সবন্দী হয়ে থাকছে যেটা অর্থনৈতিক কোন কাজে ব্যবহার হচ্ছে না। এভাবে একটা দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি কখনই সম্ভব নয়। টাকাকে অবশ্যই বাই রোটেশন মার্কেটে ঘুরতে হবে। নাহলে অর্থনীতি থমকে যাবে।

আমরা সবাই ব্যাংকের প্রতি আস্থাশীল হলে ব্যাংকগুলো আরো অনেক বেশি অর্থনৈতিক কর্মকান্ড সম্পন্ন করতে পারবে। এক্ষেত্রে সরকারের দায়িত্ব অনেক বেশি। ব্যাংকের হয়রানি বা আমানত হারিয়ে যাওয়ার ভয় মানুষকে আজ সোনার পথে নিয়ে এসেছে। ব্যাংকে গচ্ছিত টাকার দায়-দায়িত্ব সরকারের এমন একটা পলিসি প্রণয়ন করতে পারলে মানুষ বিকল্প পদ্ধতিতে টাকা সংরক্ষণ বাদ দেবে। এক্ষেত্রে সরকারকে দায়িত্বশীল ও জনবান্ধব হওয়ার বিকল্প নেই।

যাইহোক সোনা বাদ দেন। এজন্য আমাদের নারী সমাজকে অগ্রগণ্য ভূমিকা রাখতে হবে। কেউ পাত্তা না দিলে যেমন সহজেই ঘৃণা করতে পারেন ঠিক সেভাবে সোনা এখন আপনাদেরকে পাত্তা দিচ্ছে না। দামটা স্থির নয়। ধরতে গেলেই লাফিয়ে বাড়ছে। এটা ঘৃণা করার মত যথেষ্ট অজুহাত। মনে প্রানে ঘৃণা করুন।

বিঃদ্রঃ মুদ্রামান বজায় রাখতে যেকোনো দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মজুদ আর ব্যক্তিকেন্দ্রিক সম্পদ হিসেবে সিন্দুকে মজুদ এক জিনিস নয়। এসব হিসাব আমরা অনেকেই গড়মিল করছি। অনুমান করা হচ্ছে বিশ্ববাজারে সোনার দাম ৪০% পর্যন্ত নেমে যেতে পারে। গুগল করতে পারেন।



ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে আমরা সব সময় তাজমহলকেই চিনি কিন্তু আসল ভালবাসা নিদর্শন একজন কিভাবে রেখে গেছেন তা হয়তো আমাদের অ...
10/21/2025

ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে আমরা সব সময় তাজমহলকেই চিনি কিন্তু আসল ভালবাসা নিদর্শন একজন কিভাবে রেখে গেছেন তা হয়তো আমাদের অনেকের অজানা। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই আসল ভালবাসার নিদর্শনের কথা।

১৮৯৮ সালের valentines day- তে অর্থাৎ ১৪ই ফেব্রুয়ারি দিন বিয়ে হয় দোরাবজিটাটা এবং মেহেরবাঈ এর। বিয়ের দু বছর পর অ্যানিভার্সারির দিন দোরাবজি টাটা তার প্রিয়তম স্ত্রীকে একটি হিরে উপহার দেন। সেই হিরেটি আকারে বিশ্ব বিখ্যাত কোহিনুর হীরের চেয়েও দ্বিগুণ বড় ছিলো। ২৪৫ ক্যারটের এই হীরের বর্তমান দাম প্রায় ১৩৫ কোটি টাকা। স্বামীর থেকে এই উপহার পেয়ে খুব খুশি হয়েছিলেন মেহেরবাঈ টাটা। তবে আশ্চর্যজনক ঘটনা হলো এই হিরেটি না থাকলে আজ হয়তো ভারতবর্ষের বুকে টাটা কোম্পানির কোনো অস্তিত্বই থাকতো না। আমরা হয়তো রতন টাটার মতো শিল্পপতি কেউ দেখতে পেতাম না।

মেহেরবাঈ ছিলেন খুবই সুন্দরী একজন নারী। তার মানসিকতায় রাজকীয় ভাবের পরিচয় ও পাওয়া যায়। ভারতীয় শাড়ি পড়েই তিনি দুনিয়ার সব ইভেন্টে পৌঁছে যেতেন। তিনি খুব ভালো টেনিস খেলতেন। ঘোড়সওয়ার থেকে গাড়ি চালানো সবেতেই তিনি ছিলেন দক্ষ। ভারতীয় মহিলাদের অধিকার নিয়ে তিনি অনেক ভাবতেন। টাটা গ্রুপের বিজনেস সেই সময় রমরমিয়ে চলছে। ইস্পাত শিল্পের এক নম্বর শিরোপা তখন একমাত্র টাটা কোম্পানির দখলে। কিন্তু বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর টাটা গ্রুপের অবস্থা তখন এতটাই খারাপ হল যে দোরাবজির টাটার কাছে তখন শ্রমিকদের পারিশ্রমিক দেওয়ার টাকাও ছিলনা। টাটা গ্রুপ প্রায় বন্ধ হতে শুরু করেছিলো।

এই অসময়ে স্বামীর পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন মেহেরবাঈ টাটা। উপহারে পাওয়া তার সেই দামি হীরের সহ প্রচুর গহনা বন্ধক দেবার অনুরোধ জানান তার স্বামীকে। প্রথমে রাজি না হলেও গরিব শ্রমিকদের কথা ভেবে তিনি তার স্ত্রীর সিদ্ধান্ত মেনে নেন এবং সেই সময় দামি হিরেটি এবং সমস্ত গহনা বন্ধক দিয়ে এক কোটি টাকা লোন পেয়েছিলেন দোরাবজি টাটা। সেই টাকা দিয়ে শ্রমিকদের সমস্ত পারিশ্রমিক মিটিয়ে আবার নতুন করে শুরু করলেন টাটার ইস্পাত কারখানা। কয়েক দিনের মধ্যেই আবার রমরমিয়ে চলতে লাগল টাটা গ্রুপের ব্যবসা। দোরাবজি টাটাও কিছুদিনের মধ্যেই ব্যাংকের লোন মিটিয়ে তার স্ত্রীর কাছে হিরে সহ সমস্ত গহনা তার হাতে তুলে দেন।

কিন্তু ১৯৩১ সালে মেহেরবাঈ টাটার হঠাৎ শরীর অসুস্থ হয়। চিকিৎসায় ধরা পড়লো তিনি ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত। দেশ বিদেশের অনেক ডাক্তারকে দেখিয়েও এই রোগ থেকে তার স্ত্রীকে সুস্থ করতে পারেননি দোরাবজি টাটা। অবশেষে সালে মেহেরবাঈ টাটা এক নার্সিংহোমে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। ঠিক এক বছর বাদে দোরাবজি তার স্ত্রীর মৃত্যুর শোক করতে না পেরে ১৯৩২ সালে ৩রা জুন তিনি মারা যান। কিন্তু মারা যাওয়ার আগে তিনি স্ত্রীর জন্য তৈরি করে রেখে গিয়েছিলেন ভারতবর্ষের বুকে ভালোবাসার এক প্রতীক। তার স্ত্রীকে ক্যান্সারের যন্ত্রণায় তিলে তিলে শেষ হয়ে যেতে দেখেছিলেন দোরাবজি টাটা। তখন ভারতবর্ষের বুকে ক্যান্সারের জন্য কোনো চিকিৎসা কেন্দ্র ছিল না। যার জন্য মারা যেতো বহু গরিব ও মধ্যবিত্ত ক্যান্সারে আক্রান্ত মানুষেরা। তাই সাধারণ ভারতবাসীর কথা ভেবে স্ত্রী মেহেরবাঈএর সেই বহু মূল্য হিরেটা বিক্রি করে তিনি বানিয়ে ছিলেন টাটা মেমোরিয়াল হসপিটাল এবং লেডি টাটা মেমোরিয়াল ট্রাস্ট। প্রতিবছর এই হাসপাতালে প্রায় 65 হাজার মানুষ ক্যান্সারের চিকিৎসা করাতে আসেন। তার মধ্যে প্রায় ৭০% ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা করা হয়। বছরের প্রায় সাড়ে চার লক্ষ ক্যান্সার রোগীর ফলোআপ ট্রিটমেন্ট চলে এখানে। প্রতিমাসে প্রায় কয়েক হাজার শিশু ক্যান্সার রোগী সুস্থ হয় এই হাসপাতাল থেকেই। শুধু ভারতবর্ষে নয়, বাংলাদেশ থেকেও প্রচুর মানুষ এসে এই হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা করাতে আসেন টাটা মেডিকেল সেন্টারের বিভিন্ন শাখায়। বাংলাদেশের মানুষেরাও জানেন ভারতে এই টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে ক্যান্সারের সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা হয়।

তাজমহল তৈরির পর শাহজাহান শ্রমিকদের আঙুল কেটে দিয়েছিলেন যাতে তাজমহলের মতো আর কোনো স্থাপত্য না তৈরি হয়। কিন্তু মৃত্যুর আগে দোরাবজি টাটা বলে গিয়েছিলেন সারা দেশ জুড়ে যেনো অজস্র হাসপাতাল তৈরি হয় যাতে ভারতবর্ষের সাধারণ ও মধ্যবিত্ত মানুষরা সবথেকে ভালো ক্যান্সারের চিকিৎসা করতে পারেন। শুধু মুম্বাই নয় কলকাতা সহ ভুবনেশ্বর, বারানসি, তিরুপতি, রাঁচি, উত্তর প্রদেশ ইত্যাদি জায়গাতেও গড়ে উঠেছে টাটা মেডিকেল সেন্টার। ভারত সরকারের সাথে হাত মিলিয়ে তেলেঙ্গানা আসাম ওড়িশা নাগাল্যান্ড প্রভৃতি জায়গাগুলিতে ক্যান্সারের রিসার্চ ও নেটওয়ার্ক তৈরী চলছে। যে ক্যান্সারের জন্য স্ত্রী মেহেরবাঈকে হারাতে হয়েছিল সেই ক্যান্সারের জন্যই ৯২ বছরেরও বেশি সময় ধরে লড়াই করে চলেছে টাটা মেমোরিয়াল হসপিটাল। কিছুদিনের মধ্যেই হয়তো আমরা টাটা গ্রুপ থেকে বাজারে পেয়েও যাব ক্যান্সার সারানোর ওষুধ। একেই বলে ভালোবাসার আসল নিদর্শন। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে ইতিহাসের পাতায় দোরাবজি এবং মেহেরবাঈ এর এই ভালোবাসার কথা হয়তো একদিন হারিয়ে যাবে।©

Address

161st Street
Queens Village, NY
11432

Telephone

+15169147295

Website

http://www.somokontho.com/, http://www.columnistazad.com/

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when A K Azad এ কে আজাদ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to A K Azad এ কে আজাদ:

Share