28/06/2025
ইসলামিক দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী অন্যকে কষ্ট দেওয়া হারাম
নবী করিম মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন:
একজন প্রকৃত মুসলিম সেই, যার মুখ ও হাত থেকে অন্য মুসলিম নিরাপদ থাকে।
(সহীহ বুখারী, হাদীস ১০)
১. সমালোচনার সীমা:
গঠনমূলক সমালোচনা করা অন্যায় নয় যদি তা আদব রক্ষা করে হয় এবং উদ্দেশ্য হয় সংশোধন। কিন্তু কাউকে অপমান বা কষ্ট দেওয়ার মতো সমালোচনা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।
২. গীবত ও অপবাদ:
তোমরা একে অপরের পশ্চাতে কথা বলো না (গীবত করো না)। তোমাদের কেউ কি চায় তার মৃত ভাইয়ের মাংস খেতে?”
(সূরা হুজুরাত ৪৯:১২)
৩. শাস্তি:
কেউ যদি অন্যের সম্মানহানি করে, আল্লাহ চাইলে ক্ষমা করতে পারেন, কিন্তু যাকে কষ্ট দেওয়া হয়েছে, তার ক্ষমা ছাড়া পরিত্রাণ পাওয়া কঠিন। কিয়ামতের দিন সেই ব্যক্তি যার হক নষ্ট হয়েছে, তার কাছ থেকে নেক আমল নেওয়া হবে।
-
উপসংহার:
🔹 কারো সমালোচনা করার আগে ভাবা দরকার: এতে কি সে কষ্ট পাবে?
🔹 হেদায়াত দেওয়া বা ভুল ধরিয়ে দেওয়া উচিত সৌজন্যের মাধ্যমে।
🔹 ইসলাম আমাদের শিখিয়েছে নম্রতা, দয়া এবং সহনশীলতা।
আসুন, আমরা অন্যের প্রতি সদয় হই এবং আল্লাহর নির্দেশিত পথে চলি।