08/29/2025
নানা এ “বিমলের জগদ্দল” নয়, বা রাজের “Taarzan-The wonder car” ও নয় (90s এর সিনেমা খোর kid হওয়ার দরুন এই খারাপ উদাহরণটা না দিয়ে পারলামনা)। হ্যাঁ, তবে Taarzan না হলেও “WONDER CAR” তো বটেই। বতর্মানে ‘Waymo’ কোম্পানির সুবাদে সান ফ্রান্সিস্ক শহরের সর্বত্র এই চালকহীন (driverless) গাড়ীর দাপাদাপি।হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন, একটা আস্ত গাড়ী নাকি driver ছাড়াই শহর জুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এ এক এমন গাড়ী যা “বংশীবদন” চালায় না, “ভাগ্নে মদন”কে নিয়ে সে গাড়ী একাই চলে। অনেকদিন ধরে দূর থেকে দেখার পর এতে চড়ার সৌভাগ্য হল সম্প্রতি। সে এক ভৌতিক অভিজ্ঞতা। ফোন এর application থেকে গাড়ী ডাকার পরেই মুহূর্তের মধ্যে সে এসে হাজির হল।সম্পূর্ণ চালকহীন। প্রাণ হাতে করে দড়জা খুলে বসে পড়লাম।গন্তব্য আগে থেকেই নির্ধারিত থাকাতে, Waymo আর কথা বাড়ালোনা। এগিয়ে চললো। মজার কথা হল, আমি আপনি আস্ত দুটো চোখ আর ইইয়া বড়ো একটা মাথা নিয়ে redlight jump-এর মত ভুল করলেও, Waymo কিন্তু করেনা। সে ‘STOP’ এ দাঁড়ায়। lane change-এর indicator দেয়। আবার speed limit ও মেনে চলে। এক কথায় সুনিপুন ‘বাহন পরিচালক’ সে। পিছনের seat-এ বসে শুধুই দেখতে থাকলাম তার ফাঁকা হস্তে steering wheel ঘোরানোর কেরামতি। আমি তো এতোটাই “থরহরিকম্প” চালে ছিলাম যে পাশে না বসে পিছনে কেন বসলাম তা দেবা না জানন্তি।এমনই মিনিট ১৫ তার অজাগতিক driving দক্ষতা দেখার পর এল নামার পালা, বলাই বাহুল্য নির্ধারিত স্হান আসতেই, Waymo দাঁড়িয়ে পরল এবং আমাকে গাড়ী থেকে নামার নির্দেশ দিল। আমি নেমে যেতেই সে ছুটল তার নতুন সওয়ারীর উদ্দেশ্যে। আর আমি অপলক দৃষ্টে তাকে লাল নীল গাড়ীর ভীড়ে মিলিয়ে যেতে দেখতে থাকলাম।
পুনশ্চ: শুনলাম শীঘ্রই এদেশে “Flying Car” -এর test drive শুরু হচ্ছে।এই ক্ষুদ্র জীবনেএবার ‘flying saucer’-এ চেপে ‘জাদু’ র নেমে আসাটাই যা দেখার বাকি….