07/14/2025
বাংলাদেশ পুনরুদ্ধারের ডাক: দুর্নীতি ও রাজনৈতিক বিশ্বাসঘাতকতার অবসান চাই
প্রবন্ধ: বাংলাদেশের প্রতিটি এলাকায় চাঁদাবাজরা খোলাখুলিভাবে কাজ করছে, কারণ তাদের পেছনে রয়েছে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের—বিশেষ করে সংসদ সদস্য, সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং মন্ত্রীরা। এই নেতারা শুধু চোখ বুজে থাকেন না, বরং এই অপরাধীদের আশ্রয় দেন এবং চাঁদাবাজির মাধ্যমে আদায়কৃত অর্থের একটি অংশ নিজেরাও গ্রহণ করেন। এই কালো টাকা স্থানীয় পর্যায়ে সীমাবদ্ধ থাকে না—এটি পৌঁছে যায় শাসকদলের শীর্ষ নেতাদের হাতেও, যা পুরো একটি দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবস্থাকে জ্বালানি জোগায়।
এখনই সময় বাংলাদেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবে জেগে ওঠার, দুর্নীতির বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নেওয়ার এবং সেই সব দুর্নীতিগ্রস্ত সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীদের পরাজিত করার, যারা বহুদিন ধরে জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে আসছে।
এই একই নেতারাই কেবল দুর্নীতিগ্রস্ত নন, তারা বাংলাদেশের স্বার্থকে ত্যাগ করে শত্রুভাবাপন্ন প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে গোপন সম্পর্ক তৈরি করছে। তাদের লক্ষ্য একটাই—আরও বেশি অর্থ উপার্জন এবং যেকোনো মূল্যে ক্ষমতা ধরে রাখা। যতদিন দল ক্ষমতায় থাকে, তারা দেশে থাকে—ক্ষমতা হারালে তারা হাওয়া হয়ে যায়।
বাস্তবতা হলো, এদের এই দেশে থেকে ভবিষ্যৎ গড়ার কোনো ইচ্ছা নেই। তাদের পরিবার—স্ত্রী, সন্তান, ভাই-বোন সবাই আগে থেকেই বিদেশে বসবাস করছে। এদের প্রতি বাংলাদেশের প্রতি কোনো ভালোবাসা নেই, নেই জনগণের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা, নেই ভবিষ্যৎ গড়ার কোনো পরিকল্পনা।
তারা প্রতিটি জাতীয় প্রকল্পকে ব্যক্তিগত সম্পদ অর্জনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে, দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে এবং দেশের স্বার্থ বিক্রি করে দেয়। তাদের কাছে বাংলাদেশ একটি ব্যবসা, মাতৃভূমি নয়।
এই অপদার্থদের রাজনীতি থেকে চিরতরে বিদায় দিতে হবে। যদি এরা ক্ষমতায় থেকে যায়, তবে বাংলাদেশ কখনোই প্রকৃত উন্নয়ন, ন্যায়বিচার বা অগ্রগতির মুখ দেখতে পারবে না।
এখনই সময় নতুন একটি অধ্যায় শুরুর—যেখানে থাকবে জবাবদিহিতা, সততা এবং প্রকৃত উন্নয়নের অঙ্গীকার। জনগণকে নিজেদের ভবিষ্যৎ রক্ষা করতে হবে এবং এই দুর্নীতির জাল থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করতে হবে।
লেখক: কাজী মোঃ ইকবাল হুসাইন