cutesammy

cutesammy personal blogger
(1)

11/10/2025

প্রায় ৪৬ বছরের এ জীবনে ২১ বছর কাটিয়ে দিলাম বিদেশে। আজকাল দেশে গেলে প্রায় কোন কিছুর সাথেই মানিয়ে নিতে পারি না। আবার বিদেশকেও নিজের দেশ মনে হয় না। ভাগ্নিটাকে ঢাকায় আমাদের নাখালপাড়ার বাসায় জন্মাতে দেখেছি। দেখতে দেখতে বড় হয়ে গেছে। অনার্স-মাস্টার্স পাশ করে এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনের শিক্ষকতা করছে। এবার দেশে গিয়ে বললাম- তুই ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ডে গিয়ে পড়ে আয়। আমি ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। ও রাজি হলো না। আমাদের পরিবারে কেউ বিদেশে থাকতে চায় না। পড়াশুনা করে সবাই দেশে চলে গেছে। কেবল আমিই থেকে গেলাম। সেদিন হঠাৎ ভাগ্নি ফোন করে বলল- 'ছোট মামা আমার বিয়ে ঠিক হয়েছে। তুমি কিন্তু আসবে।' ইউনিভার্সিটি থেকে ছুটি চাইলাম এক সপ্তাহের। দিল না। কামলা হবার এ এক সমস্যা। ইউনিভার্সিটিতে পড়ানোও আসলে এক অর্থে কামলা দেয়া। শুধুই লেখক হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু লেখালেখি যে ভাত দেয় না। এখন মন খারাপ করে বসে আছি আর ভাবছি- কেন থেকে গেলাম বিদেশে! দেশে গেলে কিছু দিন ভালো লাগে। এরপর চারপাশে এত অনিয়ম, দুর্নীতি দেখে হাঁপিয়ে উঠি। আবার বিদেশে থাকলে মনে হয়- এটি তো আমার দেশ না। একটা জীবন হয়ত এভাবেই কেটে যাবে। (আমার ও ভালো লাগে না দেশের বাইরে স্থায়ী ভাবে থাকা) সংগৃহীত

11/09/2025

📌📌টক্সিক আত্মীয়দেরকে কিভাবে সামলাবেন--✅

পরিবার আমাদের মানসিক আশ্রয়, নিরাপত্তা ও ভালোবাসার জায়গা। কিন্তু বাস্তব জীবনে সব আত্মীয় সম্পর্ক সুখের হয় না। কারও ঈর্ষা, কারও কটূ কথা, আবার কারও অবিরাম সমালোচনা—সব মিলিয়ে কিছু আত্মীয় হয়ে ওঠে বিষাক্ত বা “টক্সিক”। তারা এমন মানুষ, যারা আপনাকে মানসিকভাবে ক্লান্ত করে, আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দেয়, এমনকি অযথা অপরাধবোধেও ভোগায়। আমাদের সামাজিক কাঠামোয় তাদের সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে যাওয়া সবসময় সম্ভব নয়, তাই তাদের সামলাতে শেখাটাই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।

কিভাবে বুঝবেন একজন আত্মীয় টক্সিক

তারা সবসময় আপনার সাফল্যকে হালকা করে দেখতে চায়।
আপনার ভালো কিছু হলে খুশি না হয়ে ঈর্ষান্বিত হয়।
গসিপ বা অন্যের নামে বদনাম ছড়ানো তাদের স্বভাব।
আপনি যদি তাদের ইচ্ছা মতো না চলেন, অপরাধবোধে ফেলার চেষ্টা করে।
তাদের আশেপাশে থাকলে আপনার মুড খারাপ হয়ে যায় বা মানসিক চাপ বাড়ে।

টক্সিক আত্মীয়কে সামলানোর কার্যকর উপায়

প্রথমত, নিজের সীমা নির্ধারণ করুন। কে কী বলতে পারে, কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যাবে না—এসব স্পষ্ট করে দিন। যেমন, কেউ যদি ব্যক্তিগত বিষয়ে মন্তব্য করে, শান্তভাবে বলুন, “এই বিষয়টা নিয়ে আমি কথা বলতে চাই না।” এতে আপনার অবস্থান পরিষ্কার হবে।

দ্বিতীয়ত, যোগাযোগ সীমিত রাখুন। প্রতিদিন কথা বলা বা দেখা করা জরুরি নয়। টক্সিক আত্মীয়দের সঙ্গে যত কম যোগাযোগ রাখা যায়, তত বেশি মানসিক শান্তি বজায় থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, টক্সিক আত্মীয়দের সঙ্গে সীমিত যোগাযোগ রাখলে মানসিক চাপ প্রায় ৩০% কমে।

তৃতীয়ত, প্রতিক্রিয়া নয়, প্রতিকৌশল ব্যবহার করুন। তারা এমন কিছু বলবে যা আপনাকে উত্তেজিত করতে পারে। কিন্তু রাগ না দেখিয়ে শান্তভাবে উত্তর দিন। যেমন, কেউ যদি বলে “তুমি তো অনেক মোটা হয়ে গেছ”, আপনি হাসিমুখে বলতে পারেন, “আমি ভালো আছি, তোমার চিন্তার জন্য ধন্যবাদ।” এভাবে আপনি পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে রাখবেন।

চতুর্থত, মানসিক সুরক্ষা তৈরি করুন। সব কথার উত্তর দেওয়া প্রয়োজন নয়। অনেক সময় নীরবতাই সবচেয়ে শক্ত প্রতিরোধ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের ২০২১ সালের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, নীরব প্রতিক্রিয়া টক্সিক আচরণকারীর আগ্রাসী মনোভাব প্রায় ৪৫% পর্যন্ত কমিয়ে দেয়।

পঞ্চমত, অযথা সহানুভূতি দেখাবেন না। অনেকেই ভাবে, “হয়তো উনি কষ্টে আছেন, তাই এমন আচরণ করছেন।” কিন্তু সহানুভূতি দেখাতে গিয়ে আপনি বারবার আঘাত পেলে, সেটা নিজের প্রতি অন্যায়। আগে নিজেকে রক্ষা করা শিখুন, তারপর অন্যকে বুঝতে যান।

ষষ্ঠত, বিশ্বাসযোগ্য কারও সঙ্গে কথা বলুন। পরিবারের ভেতরে বা বন্ধুমহলে নিশ্চয়ই কেউ আছেন যিনি নিরপেক্ষভাবে শুনবেন ও পরামর্শ দেবেন। নিজের অনুভূতি চেপে রাখবেন না। ২০২০ সালের Journal of Family Psychology–এর গবেষণায় দেখা যায়, যারা নিয়মিত নিজের সমস্যা শেয়ার করেন, তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি গড়ে ২৫% বেশি হয়।

শেষত, মনে রাখবেন—দূরত্ব মানেই সম্পর্কের সমাপ্তি নয়। আপনি যদি মানসিক শান্তির জন্য দূরে সরে যান, তাতে সম্পর্কের প্রতি অসম্মান হয় না। বরং এটি আত্মরক্ষার একটি পরিণত পন্থা। আপনার মানসিক শান্তি কারও অনুমতির ওপর নির্ভর করে না।

টক্সিক আত্মীয় হয়তো বদলাবে না, কিন্তু আপনি কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেবেন, সেটি পুরোপুরি আপনার নিয়ন্ত্রণে। নিজেকে মূল্য দিন, শান্ত থাকুন এবং প্রয়োজন হলে বিনা দ্বিধায় দূরত্ব তৈরি করুন। কাউকে ঘৃণা না করেও দূরে থাকা যায়—এটাই পরিপক্বতার পরিচয়। আত্মীয়তার নামে নিজের সুখ হারানো নয়, বরং নিজের মানসিক সুস্থতা রক্ষা করাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।

তথ্যসূত্র
University of Minnesota, Department of Family Social Science, 2018 – “Toxic Family Dynamics and Emotional Boundaries.”
Journal of Family Psychology, American Psychological Association, 2020 – “Impact of Emotional Sharing on Mental Health.”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মনোবিজ্ঞান বিভাগ, ২০২১ – পারিবারিক বিষাক্ত সম্পর্ক ও মানসিক স্বাস্থ্য।”

11/08/2025
শুভ সকাল
11/05/2025

শুভ সকাল

10/29/2025

আমিও

শুভ দুপুর আমেরিকা
10/27/2025

শুভ দুপুর আমেরিকা

মেঘে ঢাকা ভার্জিনিয়ার আকাশ আগের সপ্তাহে, কিন্তু আমার আকাশ সর্বদা মেঘে ঢাকা আমেরিকায় আসার পর
10/26/2025

মেঘে ঢাকা ভার্জিনিয়ার আকাশ আগের সপ্তাহে, কিন্তু আমার আকাশ সর্বদা মেঘে ঢাকা আমেরিকায় আসার পর

Address

Springfield, VA

Telephone

+5714736595

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when cutesammy posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to cutesammy:

Share