
06/07/2025
এজিদ বাহিনীর ২২০০০ সৈন্যের ৭০০০ ছিল হাফেজ আর ৩০০০ ছিল মুফতি ।
ইমাম হোসাইন (রাঃ) একা দাড়িয়ে ছিলেন!
কারবালার মাঠে একে-একে যখন সবাই শাহাদাত
বরণ করছেন এবং ইমাম হোসাইন (রাঃ)
-যখন কেবল একা দাড়িয়ে ছিলেন
তখন তার শেষ কয়টি বানির কিছু অংশের অনুবাদ :
“কেন আমাকে হত্যা করতে চাও..??
আমি কি কোন পাপ অথবা অপরাধ করেছি..??
এজিদের সৈন্য বাহিনী বোবার মত দাড়িয়ে রইল।
পুনরায় ইমাম হোসাইন (রাঃ) বললেন,
“আমাকে হত্যা করলে আল্লাহর-কাছে কি জবাব দেবে..??
কি জবাব দেবে বিচার দিবসে প্রিয় (সাঃ) নবীর কাছে..??
এজিদের সৈন্য বাহিনী পাথরের মত দাঁড়িয়ে আছে!
আবার ইমাম হোসাইন (রাঃ) বললেন,
‘হাল্ মিন্ নাস্রিন ইয়ানসুরুনা,.??
আমাদের সাহায্য করার মত কি তোমাদের মাঝে একজনও নাই..??
তারপরের আহ্বানটি সাংঘাতিক মারাত্বক!!
ঐতিহাসিকদের মতে এটাই ইমাম হোসাইন (রাঃ) শেষ আহ্ববান!
"‘আমার কথা কি শুনতে পাও না..??
তোমাদের মাঝে কি মাত্র একজন মুসলমানও নাই..??
মুসলমানের এই অপদার্থের দল ইমাম পাকের
বাণী মোবারকের কোন জবাব দিতে পারলো না!
সমস্ত কারবালা নিরব-নিস্তব্ধ হয়ে গেলো!
ইমাম হোসাইন (রাঃ)-এর শেষ ভাষনটি মাত্র
একটি ছোট্র বাক্য"
তবে এর ব্যাখ্যা যদি কাঁচ ভাঙ্গার মত টুকরো-টুকরো করে দেখাতে চাই তাহলে সেই বাক্যটি হবে খুবই বেদনা দায়ক!?
‘ইমাম হোসাইন আসল এবং নকলের ভাগটা পরিস্কার করে দেখিয়ে গেলেন’
সে রকমই অর্থ বহন করছে ইমাম হোসাইন (রাঃ) শেষ ভাষনটিতে!
কারন, এজিদের সৈন্য বাহিনীতে একজন
হিন্দু,বৌদ্ধ,খ্রিস্টান অথবা অন্য কোন ধর্মের কেউ ছিল না!
সবাই ছিল মুসলমান!
অথচ কি সাংঘাতিক এবং ভয়ংকর ভাষন-
তোমাদের মাঝে কি একজন মুসলমান ও নাই..??
না, একটিও সত্যিকার আসল মুসলমান ছিল না বলেই ইমাম হোসাইন (রাঃ) এই আহ্বান জানিয়ে পৃথিবীকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন!
তিনি বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন যে, যারা দাঁড়িয়ে আছে
তারা সবাই নকল মুসলমান
😭😭😭😭