11/14/2023
চমৎকার বিশ্লেষণ করেছেন সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমেরিকা প্রবাসী সাংবাদিক Iqbal Mahmud ভাই।
কানাডায় সাম্প্রতিককালে যারা ভিজিটর ভিসায় যাচ্ছেন তাদের সিংহভাগই জেনুইন ভিজিটর নন। ফ্রিকুয়েন্ট ট্র্যাভেলার ক্যাটাগরিতে তাদের যোগ্যতা অনেকাংশেই প্রশ্নসাপেক্ষ। যারা যাচ্ছেন তাদের ৮০ ভাগই দেশে ফিরছেন না। এটি কানাডা কর্তৃপক্ষ জানে না, তা ভাববার কোন কারণ নেই। তারা জেনেশুনেই প্রার্থীদের জমা দেয়া কাগজপত্রের আলোকে ভিসা দিচ্ছেন। এতে কানাডা কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে কোন অসন্তুষ্টি আজ পর্যন্ত শোনা যায়নি। এমনকি ভিজিটশেষে অধিকাংশ লোক সেদেশে থেকে যাচ্ছেন, তাতেও কানাডার কোন সমস্যা হচ্ছে না। সমস্যা হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে দূর্নীতিগ্রস্ত সেক্টর বিমানের ঘুষখোর সিন্ডিকেটের। তারা দুবাই রুটের মত কানাডা রুটেও "এয়ারপোর্ট কন্ট্রাক্ট" পদ্ধতি চালু করতে চাচ্ছে। সিলেট থেকে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে কানাডাগামী ৪২ যাত্রীকে ঢাকায় আটকে দিয়ে তারা পরবর্তীতে যারা কানাডা যেতে চান তাদেরকে "এয়ারপোর্ট কন্ট্রাক্ট"র ম্যাসেজ দিয়ে দিলেন। 'ভাত দেবার মুরোদ নেই, কিল মারার গোঁসাই'।
বেকারত্বের অভিশাপে জর্জরিত একটি দেশের তরুণ সমাজ উন্নত জীবনের আশায় দেশে দেশে গন্তব্য খুঁজে নিচ্ছে। এরাই পরবর্তীতে রেমিট্যান্স এর প্রবাহ দিয়ে দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখছে। কোথায় তাদের সৃজনশীল তারুণ্য হিসেবে বাহবা দেয়া হবে- উল্টো তাদের যাত্রাপথে বাধার পাহাড় সৃষ্টি করছে রাষ্ট্রের মাথামোটা, পেটমোটা ঘুষখোর সিন্ডিকেট। ধিক এদের জন্য!!
(কপি ইকবাল মাহমুদ,)