01/08/2025
🚨অবশেষে অক্টোবরে চালু হচ্ছে ইইউর অটোম্যাটেড বর্ডার সিস্টেম🚨
প্রতিবেদন ইনফোমাইগ্রেন্টস
সদস্য দেশগুলোর মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে আলোচনা চলার পর অবশেষে আগামী অক্টোবর থেকে নতুন বর্ডার চেক সিস্টেম চালু করতে যাচ্ছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউর) রাষ্ট্রগুলো৷ বুধবার ইইউর পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হয়৷
ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন এই সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিটির নাম হলো অটোম্যাটেড বর্ডার সিস্টেম বা এন্ট্রি এক্সিট সিস্টেম (ইইএস)৷ ডিজিটাল পদ্ধতিতে পরিচালিত এই সিস্টেমটি ইউনিয়নের দেশগুলোতে জোটের বাইরের দেশ থেকে আসা এবং ছেড়ে যাওয়া ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহ করবে৷ তাছাড়া কোনো ব্যক্তি ভিসায় উল্লেখিত মেয়াদের চেয়ে অতিরিক্ত সময় অবস্থান করছেন কিনা, সেটাও নজরদারি করবে এই সিস্টেম৷ তথ্য সমন্বয়ের মাধমে কোনো ভ্রমণকারীর প্রবেশও আটকে দিতে পারবে ইইএস৷
এই প্রক্রিয়ায় ভ্রমণকারীদের বিস্তারিততথ্য এবং বায়োমেট্রিক ডেটা যেমন: ছবি, ফিংগার প্রিন্ট সংগ্রহ করা হবে৷
তবে এই প্রক্রিয়া চালু করা হলে তা ইমিগ্রেশনের সময় দীর্ঘায়িত হতে পারে বলে সমালোচনা করছেন অনেকে৷
প্রথমিকভাবে গত বছরের নভেম্বর থেকে তা চালু হওয়ার কথা থাকলেও জোটের কোনো কোনো দেশ পুরোপুরি প্রস্তুত না থাকায় তা চালু করা যায়নি৷
গত মার্চে সদস্য রাষ্ট্রগুলো ধাপে ধাপে তা কার্যকর করার বিষয়ে একমত হয়৷ আগামী ১২ অক্টোবর এই প্রক্রিয়া কার্যকর হবে৷
ইইউর মাইগ্রেশন কমিশনার মাগনুস ব্রুনার বলেন, ‘‘এটি অতিরিক্ত সময় অবস্থানকারী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা, অনিয়মিত প্রবেশ ঠেকানো এবং জাল নথি চিহ্নিত করার মাধ্যমে নিরাপত্তাব্যবস্থাকে জোরদার করবে৷’’
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে ইইউর দেশগুলো প্রথম এই বিষয়ে একমত হয়৷ অক্টোবর থেকে চালু হতে যাওয়া এই সিস্টেমটি আয়ারল্যান্ড ওবং সাইপ্রাস ছাড়া বাকি ২৭টি দেশে কার্যকর হবে৷
এদিকে ইইউ সদস্যরাষ্ট্র না হলেও শেঙ্গেন জোনের দেশ নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড, লিশটেনস্টাইন এবং আইসল্যান্ড এই প্রক্রিয়া কার্যকর করবে৷
কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, চালু হওয়ার প্রথম ছয় মাস সময়ে ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ভ্রমণকারীদের এই বিষয়ে তথ্য দেয়া হবে৷
মাগনুস ব্রুনার বলেন, ‘‘চালু হওয়ার প্রথম ছয় মাসে সদস্য রাষ্ট্রগুলো, ভ্রমণকারী এবং ব্যবসায়ীরা নতুন সিস্টেমের সাথে অভ্যস্ত হয়ে উঠার সুযোগ পাবে৷’’
চালু হওয়ার প্রথম তিন মাসে রাষ্ট্রগুলো নিজেদের অর্ধেক সীমান্তপথে তা কার্যকর করবে এবং ছয় মাসের মধ্যে সব সীমান্তপথে কার্যকর করা হবে৷
এই প্রক্রিয়া চালু হলে ইমিগ্রেশন দীর্ঘায়িত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে ব্রিটেন৷ দেশটির ফরেন অফিসের এক বার্তায় বলা হয়, ইইএস প্রক্রিয়ায় যাত্রীদের ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে কিছু বাড়তি সময় লাগতে পারে৷ যাত্রীদেরকে বর্তমানের চেয়ে বেশি সময় অপেক্ষা করার প্রস্তুতি রাখতে দপ্তরটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে৷
゚ ゚viral