QTV LIVE INDIA

25/08/2025

𝐖𝐡𝐨 𝐰𝐚𝐬 𝐆𝐨𝐩𝐚𝐥 𝐏𝐚𝐭𝐡𝐚? 𝐇𝐨𝐰 𝐢𝐬 𝐡𝐞 𝐚𝐬𝐬𝐨𝐜𝐢𝐚𝐭𝐞𝐝 𝐰𝐢𝐭𝐡 𝐃𝐢𝐫𝐞𝐜𝐭 𝐀𝐜𝐭𝐢𝐨𝐧 𝐃𝐚𝐲?

𝗚𝗼𝗽𝗮𝗹 𝗖𝗵𝗮𝗻𝗱𝗿𝗮 𝗠𝘂𝗸𝗵𝗲𝗿𝗷𝗲𝗲 (1913–2005), popularly known as Gopal Patha (or Gopal 'Paantha'), was a Bengali Brahmin Hindu businessman, wrestler, and gang leader from Kolkata (then Calcutta). The nickname "Patha" is derived from his family's mutton shop, as "patha" means goat in Bengali. He operated in central Kolkata's College Street area and was known for his involvement in local strongman activities and community organization.

Contributions to Direct Action Day and Partition
During Direct Action Day on August 16, 1946—initiated by the All-India Muslim League under Muhammad Ali Jinnah to demand a separate Pakistan—widespread communal riots erupted in Calcutta, resulting in the Great Calcutta Killings, where thousands died in Hindu-Muslim violence. Initially, Muslim mobs dominated the attacks, but Gopal Patha mobilized Hindu youth gangs, distributed weapons, and coordinated defenses to protect Hindu neighborhoods. From August 18–20, he led retaliatory actions, targeting Muslims involved in the initial violence, which helped shift the momentum and prevented Calcutta from falling under Muslim League control, influencing its inclusion in India during the 1947 Partition. His role is controversial: hailed as a savior of Hindus by some, but criticized for orchestrating violence.

𝗝𝘂𝗴𝗮𝗹 𝗖𝗵𝗮𝗻𝗱𝗿𝗮 𝗚𝗵𝗼𝘀𝗵 (𝗱𝗶𝗲𝗱 2002, 𝗮𝗴𝗲𝗱 91) was a muscle man and gang leader in Calcutta who ran an akhara (gymnasium) and was an associate of Gopal Patha.

Contributions to Direct Action Day and Partition
As an eyewitness to the 1946 Calcutta riots, Ghosh was deeply affected by seeing trucks loaded with Hindu dead bodies, which fueled his anger against the Muslim League. He contributed to the Hindu resistance by organizing and leading anti-Muslim violence in the lead-up to Partition, working alongside Gopal Patha and others like wrestler Basanta to defend Hindu communities during the communal clashes. His actions were part of the broader retaliatory efforts that helped secure Hindu areas amid the violence.
Curtesy: Taken from

গোপাল পাঠা ও জুগল চন্দ্র ঘোষের সংক্ষিপ্ত জীবনী

গোপাল পাঠা

গোপাল চন্দ্র মুখোপাধ্যায় (১৯১৩–২০০৫), যিনি গোপাল পাঠা নামে পরিচিত, ছিলেন কলকাতার একজন বাঙালি ব্যবসায়ী, কুস্তিগির ও দলনেতা। "পাঠা" নামটি তার পরিবারের মাংসের দোকান থেকে এসেছে। তিনি কলকাতার কলেজ স্ট্রিট এলাকায় কাজ করতেন।

Direct Action Day ও Partition-এ অবদান

১৯৪৬ সালের ১৬ আগস্ট Direct Action Day-তে মুসলিম লীগের ডাকে কলকাতায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয়, যা Great Calcutta Killings নামে পরিচিত। গোপাল পাঠা হিন্দু যুবকদের সংগঠিত করে অস্ত্র বিতরণ করেন এবং হিন্দু পাড়াগুলো রক্ষায় নেতৃত্ব দেন। ১৮–২০ আগস্ট তিনি প্রতিশোধমূলক হামলার নেতৃত্ব দেন, যা কলকাতাকে মুসলিম লীগের নিয়ন্ত্রণ থেকে রক্ষা করে Partition-এ ভারতে যুক্ত করতে সাহায্য করে। তার ভূমিকা বিতর্কিত: কেউ তাকে হিন্দুদের রক্ষাকর্তা মনে করেন, কেউ সহিংসতার জন্য সমালোচনা করেন।

জুগল চন্দ্র ঘোষ

জুগল চন্দ্র ঘোষ (মৃত্যু ২০০২, বয়স ৯১) ছিলেন কলকাতার একজন কুস্তিগির ও দলনেতা, যিনি গোপাল পাঠার সঙ্গে কাজ করতেন।

১৯৪৬ সালের দাঙ্গার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে, হিন্দুদের মৃতদেহ দেখে তিনি মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হন। তিনি গোপাল পাঠার সঙ্গে মিলে হিন্দু এলাকা রক্ষায় প্রতিরোধ সংগঠিত করেন এবং Partition-এর আগে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় অংশ নেন।

𝗘𝘅𝗰𝗲𝗿𝗽𝘁𝘀 𝗳𝗿𝗼𝗺 𝗕𝗕𝗖 𝗜𝗻𝘁𝗲𝗿𝘃𝗶𝗲𝘄 𝗮𝘀 𝘁𝗮𝗸𝗲𝗻 𝗳𝗿𝗼𝗺 𝘁𝗵𝗲 𝗰𝗵𝗮𝗻𝗻𝗲𝗹 𝗯𝗲𝗹𝗼𝘄: 𝗩𝗶𝗱𝗲𝗼 𝗖𝗼𝘂𝗿𝘁𝗲𝘀𝘆: https://www.youtube.com/

17/08/2025

বাংলার ইতিহাসকে লুপ্ত করা হয়েছে। অবাঙালি পরিচালক তা সামনে এনেছেন। বিবেককে সাধুবাদ শিশির বাজারিয়ার
Shishir Bajoria spoke out on The Bengal Files, saying that the history of the Great Calcutta Killings had long been suppressed. He noted that although Vivek Agnihotri is not a Bengali, he has brought this hidden chapter to light—and that Bengalis should feel proud of it.

16/08/2025

কলকাতায় গতকাল থেকে The Bengal Files ট্রেলার লঞ্চ ঘিরে চরম উত্তেজনা ও বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়েছে। হঠাৎ করেই গত সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানস্থল বদলানো হয়। আজ প্রেস মিটে পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রি ও তাঁর টিম ট্রেলার প্রদর্শন শুরু করতেই ঘটে অপ্রত্যাশিত ঘটনা— মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ নিজস্ব ট্রেলার চালাতে শুরু করে। অল্প সময়ের মধ্যেই হোটেল কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করে যে এই প্রদর্শনী আর চলতে পারবে না।

পরিচালকের অভিযোগ, হোটেল কর্তৃপক্ষ জোর করে তাঁর জ্যাক খুলে দেয়। কিছুক্ষণ পর পুলিশও একই কাজ করে। যদিও হোটেল কর্তৃপক্ষ দাবি করে, কলকাতা পুরসভার (KMC) থেকে কোনো পারমিশনই ছিল না।

এই ঘটনা শুধু একটি ছবিকে কেন্দ্র করে নয়, বরং বাংলায় সিনেমা, রাজনীতি ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জটিল সম্পর্ককেও সামনে নিয়ে এসেছে। এমন মুহূর্ত প্রশ্ন তোলে— সাংস্কৃতিক প্রকাশে রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব কতটা হস্তক্ষেপ করতে পারে?

29/06/2025

কেন ধর্মের নামে এত হানাহানি। সত্যিকারের ধর্ম কি? শুনুন কি বলছেন স্বামী গঙ্গাত্মানন্দ মহারাজ
Why This Maharaj Says Most People Misunderstand Spirituality

​ ​ ​ ​ ​ ​ ​ ​ ​ ​ ​

27/06/2025

QtvLiveIndia পরিবারের তরফ থেকে সকল দর্শকদের জানাই অনেক শুভেচ্ছা।

17/05/2025

মাল্টি ফ্রন্ট যুদ্ধের জবাব দিতেই কি কৌশলগত প্রস্তুতি ভারতের Is India’s strategic preparedness aimed at responding to a multi-front war

12/05/2025

সিঁদুর মুছে দিয়েছিলো যারা তাদের সদর দফতর ভেঙে দিয়েছে ভারত

New Delhi (India): Prime Minister Narendra Modi’s address to the nation on operation Sindoor. Sou...

12/05/2025

লিখছেন ✒️ প্রত্যয় সুর
ভারত আর পাকিস্তানের "কমন সেন্স" নিয়ে কি অকারণেই চিন্তিত ট্রাম্প নাকি ভারতের পরাক্রমে পাকিস্তান ভয় পেয়ে আমেরিকার দারস্থ হয়ে ভারতের কাছে আর্জি জানাতে বাধ্য হয়েছিল?

২০২৫ সালের ৭ মে, একটি মার্কিন ডিপার্টমেন্ট অফ এনার্জি (DoE) বিমান (N111SZ) ইসলামাবাদে অবতরণ করে, যা সামাজিক মাধ্যমে দাবি করা হয় ভারতের ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পাকিস্তানের কিরানা হিলস পারমাণবিক ঘাঁটিতে বিকিরণ পরিমাপের জন্য। তবে হামলা বা মার্কিন উপস্থিতির পক্ষে নির্ভরযোগ্য প্রমাণ নেই নাকি ইচ্ছে করেই প্রকাশ্যে আনা হয়নি? কেউ কেউ দাবি করেছেন, হামলায় ভূমিকম্পের মতো কম্পন হয়েছে (পাকিস্তান খবরও বেরোয় পরে চেপে দেওয়া হয়), যদিও ভারত বা পাকিস্তান সরকার এই দাবি নিশ্চিত করেনি। তবে দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের পুরোদস্তুর যুদ্ধ হলে ভারত অবশ্যই চাইত পাকিস্তানের পরমাণু সমস্ত বেশ গুঁড়িয়ে দিতে কারণ জঙ্গিদের হাতে তা পড়লে ভয়ানক হতে পারত। তাই আমেরিকাকেও নিজের স্বার্থেই ভারত সংঘর্ষ বিরোধী চুক্তিতে শ্রীখন্ডি সাজায়।

ভারতের পর পর ১১ টা এয়ার বেশ ধ্বংস করায় (তার মধ্যে F-16 রান ওয়ে না পেলে এমনিতেই বেকার হয়ে গেছিল) পাকিস্থান একরকম মরিয়া হয়েই অপারেশন বুনিয়ান-উল-মারসুস (১০ মে, ২০২৫) ঘোষণা করে ভারতের অপারেশন সিন্দুর-এর প্রতিক্রিয়ায।

ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যস্থতায় হঠাৎই সন্ধ্যা ৫টায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়, যদিও তখনও ভারতের পিওকে-এর দাবি পূরণের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে, ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যস্থতায় ওইদিন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়, যা পাকিস্তানের অপারেশনকে ব্যর্থ করে দেয়। যুদ্ধবিরতির পর পাকিস্তানের অতিরিক্ত হামলার পরিকল্পনা বন্ধ হয়, এবং উভয় পক্ষই লঙ্ঘনের অভিযোগ করে, কিন্তু সংঘর্ষ সাময়িক হ্রাস পায়।

ওইদিন সন্ধ্যায় ভারতের ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশনস (ডিজিএমও) পাকিস্তানের ডিজিএমও-র সঙ্গে একটি জরুরি বৈঠকে মিলিত হন, যেখানে ভারত পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর (পিওকে) থেকে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বন্ধের দাবি জানায়। ভারতের শর্ত ছিল পাকিস্তানকে সন্ত্রাসী ঘাঁটি ধ্বংস করতে হবে এবং সীমান্তে অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে।
এরই মধ্যে ভারত সুযোগ বুঝে শর্ত রাখে পাকিস্থানের কাছে যাতে ভবিষ্যতে কোন আক্রমণ (ছায়া ঝুদ্ধ, বা জঙ্গি হানা) করলেও সেটা যুদ্ধেরই নামান্তর হবে। এমনকি পাকিস্তানে আমেরিকাকেও যুক্ত করে FATF এর মাধ্যমে IMF এর অনুদানের ওপর নজর রাখার অঙ্গীকার করায়।

ভারতের ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র

ভারতের অপারেশন সিন্দুরে (১০ মে, ২০২৫) ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহৃত হয় পাকিস্তানের নুর খান এয়ারবেসসহ সামরিক ঘাঁটিতে। ১১ মে লখনউতে ব্রহ্মোস-এন জি (লেটেস্ট ভার্সন) উৎপাদন কেন্দ্রের উদ্বোধন হয়, তবে এটি গোপন পরীক্ষার জন্য নয়। ব্রহ্মোস ২০০৭ সাল থেকে পরীক্ষিত।

যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন এবং ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি

১০ মে’র যুদ্ধবিরতি চুক্তি পাকিস্তান কয়েক ঘণ্টার মধ্যে লঙ্ঘন করে, নিয়ন্ত্রণ রেখায় গোলাগুলি চালিয়ে। এটি দক্ষিণ এশিয়ায় অস্থিরতা বাড়িয়েছে। ভারত পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে, এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কাশ্মীরে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছেন, যা ভারত প্রত্যাখ্যান করেছে। চীনের সিপিইসি প্রকল্প বেলুচিস্তানে জটিলতা যোগ করছে।

ভারতের অপারেশন সিন্দুরে (৭ মে, ২০২৫) পাকিস্তান ও পিওকে-তে সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে হামলার পর ভারত প্রমাণ প্রকাশ করেছে যে পাকিস্তান নিহত সন্ত্রাসীদের রাষ্ট্রীয় সম্মানে গান স্যালুট দিয়ে সমাধি দিয়েছে। মুরিদকে পাক সেনারা লস্কর-ই-তৈয়বা ও জৈশ-ই-মোহাম্মদের সন্ত্রাসীদের জানা যায় অংশ নিয়ে পাকিস্তানের পতাকায় মোড়া কফিন বহন করে, যা ভারতীয় বাহিনী ও মিডিয়া প্রকাশ করেছে।

বেলুচিস্তানের স্বাধীনতার প্রস্তুতি

বেলুচিস্তানে স্বাধীনতার আন্দোলন তীব্র হয়েছে। ৯ মে, বেলুচ নেতা মীর ইয়ার বেলুচ স্বাধীনতা ঘোষণা করেন, ভারত ও জাতিসংঘের সমর্থন চেয়ে। বেলুচ লিবারেশন আর্মি (BLA) কোয়েটায় হামলা চালিয়েছে, গ্যাস পাইপলাইন ও সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে। পাকিস্তানের দুর্বলতা এবং অর্থনৈতিক সংকট বিদ্রোহীদের উৎসাহিত করছে। ভারত সম্ভবত এই আন্দোলনকে সমর্থন করতে পারে, তবে চীন ও পাকিস্তানের বিরোধিতা এবং অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ।

আজ বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনে আবার, ১২ মে, ২০২৫, দুপুর ১২টায় ভারত ও পাকিস্তানের ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশনস (ডিজিএমও) মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এই বৈঠকে মূলত ১০ মে সন্ধ্যা ৫টা থেকে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্তাবলীকে দীর্ঘস্থায়ী ও মজবুত করার উপায় নিয়ে আলোচনা হবে। ভারতের ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই পাকিস্তানের পক্ষ থেকে পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর (পিওকে) ও সীমান্তে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বন্ধের দাবি জানাবেন। এছাড়া, সীমান্তে শান্তি বজায় রাখা, পাকিস্তানের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন রোধ এবং দুই দেশের মধ্যে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার বিষয়গুলো আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হবে।

প্রত্যয়

11/05/2025

🖋️প্রত্যয় সুর
জিওপলিটিক্সের বাস্তবতা: আবেগ নয়, কৌশলই ভারতের শক্তি। যারা যুদ্ধ চায় পাকিস্তানকে খতম করতে আর যারা শান্তি চায় পাকিস্থানকে বাঁচাতে তারা দুজনেই একই রকম আবেগের স্বীকার যা দেশের জন্য হিতকর নয়।

১) ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ: কার লাভ, কার ক্ষতি?

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ হলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ভারত, কারণ পাকিস্তানের নতুন করে ক্ষতি হওয়ার আর কিছুই অবশিষ্ঠ নেই।ভারত এখন বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি এবং একটি সম্ভাব্য গ্লোবাল ম্যানুফ্যাকচারিং হাব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে। চীন থেকে সরিয়ে নেওয়া উৎপাদন কার্যক্রমের জন্য ভারতকে বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করছে অনেক কোম্পানি। যুদ্ধের ফলে এই অগ্রগতি থমকে যেতে পারে, যা চীনের জন্য লাভজনক হবে।

২) পাকিস্তান ও আমেরিকার সামরিক সম্পর্ক: একটি কৌশলগত অবস্থান প্রয়োজন

পাকিস্তান ও আমেরিকার মধ্যে সামরিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের, সেটা অস্বীকার করা বোকামো। ইরানের বিরুদ্ধে ভবিষ্যৎ সামরিক অভিযানের জন্য আমেরিকার পাকিস্তানের এয়ার বেস ও সামরিক ঘাঁটি প্রয়োজন। চীনের দেওয়া ডিফেন্স সিস্টেম বা রাডার, বা জঙ্গি ঘাঁটি ভাঙার সময় বা সামরিক অবকাঠামোতে ভারতের হামলার সময় আমেরিকা নীরব ছিল, কিন্তু পাকিস্তানের ১১ টা এয়ার বেসে হামলার পর তারা সক্রিয় হয়েছে। কারণ, এই এয়ার বেসগুলো ইরানের বিরুদ্ধে আমেরিকার কৌশলগত পরিকল্পনার অংশ।

৩) সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারত-আমেরিকা যৌথ কৌশল

ভারত ও আমেরিকা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যৌথভাবে কাজ করছে। উভয় দেশই পাকিস্তানকে তার ভূখণ্ড থেকে সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রম বন্ধ করতে বলেছে। এই সহযোগিতা ভারতের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।

৪) যুদ্ধবিরতি: ভারতের কৌশলগত পদক্ষেপ

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি একটি কৌশলগত পদক্ষেপ ছিল। ভারত তার শর্তে যুদ্ধবিরতি স্থাপন করে, যা পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করে (যদিও তার আগে যা ক্ষতি করার করে দিয়েছে)। এই পদক্ষেপ ভারতের কৌশলগত দক্ষতার একটি উদাহরণ। চীনের বেল্ট এন্ড রোডকে রুখতে এখন ট্রাম্পের আমেরিকাকে পাকিস্তানে জায়গা করতে দিলে চীনকে রোখা যাবে। কারণ ট্রাম্পের ট্যারিফ যুদ্ধের ফলে ভারতের ফায়দা রুখতে জঙ্গি দিয়ে যে ভারতকে যুদ্ধে ঠেলে দিতে চাইছে, পাশের বাংলাদেশকে তোল্লাই দিয়ে অশান্ত রাখতে চাইছে পেছন থেকে কলকাঠি নেড়ে সেটা প্রমান হয়ে গেল যেই যুদ্ধ বিরতি হল, অমনি প্রকাশ্যে পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের কথা চীনের মনে পড়ল। ভারতের ওপর শ্যাডো ওয়ার চালিয়ে যাওয়া পাকিস্তানও দু বার ভাববে কারণ ট্রাম্প তাদের IMF থেকে টাকা পাইয়ে দিয়ে সাময়িক সাহায্য করলেও আসলে ইউক্রেনে যেমন পুতিনের সঙ্গে সমঝোতা করে ওদের দেশের মধ্যের সম্পদ থেকে ঋণ চোকাতে বাধ্য করেছে তেমনই পাকিস্থানকেও করবে আর পাশে থাকবে ভারত।

৫) মোদি বনাম ইন্দিরা: তুলনা কতটা যুক্তিযুক্ত?

১৯৭১ সালে, ইন্দিরা গান্ধীর সময় ভারত একটি ভিন্ন অর্থনৈতিক ও কৌশলগত অবস্থানে ছিল। আজকের ভারতে, একটি যুদ্ধ অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে ব্যাহত করতে পারে। তাই, মোদির কৌশলগত পদক্ষেপগুলি বর্তমান বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এটাও মানতে হবে যারা ইন্দিরা আবেগ তাড়িত তাদের ইমার্জেন্সির কথা ভেবে বোঝা উচিত, শুধু ক্ষমতার দম্ভ নয় ক্ষুরধার ভূরাজনৈতিক কৌশল জরুরি। তাই চিন্তা নেই একে একে শুধু বালুচিস্তানকে স্বাধীন করা নয়, POK উদ্ধারের সময় পালায়নি কারণ পাকিস্থান সংঘর্ষ বিরোধী চুক্তি ভাঙলেই তখন একযোগে ভারত ও আমেরিকা চাপ সৃষ্টি করে যা করার করবে।

ভারতের বর্তমান কৌশলগত অবস্থান ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি বজায় রাখতে হলে, ট্রাম্পকে দাদা সাজার সুযোগ দিলেও একপ্রকার পাকিস্তানের ব্যাপারে জড়িয়ে দিয়ে ভারত আবেগ নয়, বাস্তবতা ও কৌশলগত কূটনৈতিক চালে মাত করেছে। যুদ্ধের উত্তেজনায় নয়, শান্তি ও স্থিতিশীলতার মাধ্যমে ভারত তার লক্ষ্য অর্জন করতে পারে। শুধু রামের পরাক্রম নয় কৃষ্ণের কূটনীতিই এখন বেশি জরুরি তাই চানক্যের মজগ না থাকলে ভারতের জনগণের আবেগের বলিদান দিতে হবে এই সরকারকে যাদের কিন্তু ঘরের শত্রুর সাথেও সমানে লড়ে যেতে হবে, যারা গাছে তুলে মই কাড়তে সিদ্ধহস্ত!

08/05/2025

পাক সেনাপ্রধানণ আসিফ মুনিরের অপসরন। রাষ্ট্রদ্রোহের দায় আটক মুনির