24/08/2023
★Today.
★কোরআনে বলা হয়েছে
أَلَآ إِنَّ أَوْلِيَآءَ ٱللَّهِ لَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ -ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَكَانُوا۟ يَتَّقُونَ -لَهُمُ الْبُشْرَى فِي الْحَياةِ الدُّنْيَا وَفِي الآخِرَةِ لاَ تَبْدِيلَ لِكَلِمَاتِ اللّهِ ذَلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ
অর্থ: সাবধান! যারা আল্লাহর বন্ধু,তাদের না কোন ভয়-ভীতি আছে,না তারা চিন্তান্বিত হবে (সাবধান! নিশ্চয় আল্লাহর ওলীগণের কোন ভয় নেই এবং তাঁরা চিন্তাগ্রস্থও হবেনা।)আর তাঁরাই ঈমান এনেছে ও আল্লাহকে ভয় করে বা তাক্বওয়াশীল। তাদের জন্য সুসংবাদ পার্থিব জীবনে ও পরকালীন জীবনে। আল্লাহর কথার কখনো হের-ফের হয় না। এটাই হল মহা সফলতা। [সুরা ইউনুছ আয়াত নং ৬২-৬৪]
৬২ নং আয়াতে “লা খাউফুন” মানে সকল ফেরেশানি থেকে মুক্ত।লা মানে নাই বা নেই। খাউফুন হল বহুবচন,ইন্না মানে নিশ্চয়ই….. অর্থ প্রকাশ করে।কাজেই তা অস্বীকার করার উপায় নেই।
সুতরাং আল্লাহর ওলীগণই হল ঐ তাক্বওয়াশীল বা খোদাভীতু আলিম যারা আল্লাহকে ভয় করে।স্পষ্ট প্রমান হয়ে গেল,আল্লাহর ওলীগণই আল্লাহকে ভয় করে,আর যারা আল্লাহকে ভয় করে তাঁরাই আলিম।সুতরাং আল্লাহর ওলীগণই “ওলিল আমরের” অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং আল্লাহর ওলীগন তথা কামেল পীরের অনুসরন করা ফরজ।অনুসরণের আরেক রুপ হল তাঁদের নিকট বায়াত বা মুরিদ হওয়া,তাঁদের দেখানো পথে চলা।
يَا أَيُّهَا ٱلَّذِينَ آمَنُواْ ٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَٱبْتَغُوۤاْ إِلَيهِ ٱلْوَسِيلَةَ وَجَاهِدُواْ فِى سَبِيلِهِ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
”হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহ্ পাককে ভয় কর এবং তাঁর নৈকট্য লাভের উপায় বা ওসিলা তালাশ কর”।
[সুরা মায়েদা,আয়াত নং ৩৫]।
★দেখেন অলি আউলিয়াগণের বিরুধীতা যারা যুগ যুগ ধরে করে আসছিলো তারা সব সময় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।কিন্তু আল্লাহর অলিদের মান ইজ্জতের কোনো কমতি হয়নি।বরং দিনের পর দিন সম্মান বৃদ্ধি পাচ্ছে।কত মানুষ বলে অলি আউলিয়াদের কাছে যাইও না কিন্তু অলিদের সোহবত দিনের পর দিন মানুষ অধিক হারে গ্রহণ করতেছে।আর যারা এই অলিদের সাথে সম্পর্ক করতেছে এক সময় তাদের সম্মানও আল্লাহ পাক বৃদ্ধি করে দিচ্ছে।সুতরাং বিরুধীতা নয় বরং সোহবত গ্রহণ করুন।অলি আউলিয়ার পক্ষে থাকুন।দেখবেন আপনার মান ইজ্জতও আল্লাহ পাক বৃদ্ধি করে দিবেন।অলিদের সাথে বিরুধীতা করে কোনো লাভ নাই।যারা বিরুধীতা করছিলো তাদের এই বিরুধীতার কারণে কি আজ পর্যন্ত অলি আউলিয়াগণের মাজারে মানুষ যাওয়া আসা বন্ধ করে দিছে?বরং যারা যুগ যুগ ধরে শত্রুতা করতো তাদের অনেকের কোনো অস্তিত্বই বর্তমানে নাই।তাই বলছি এক সময় আপনার অস্তিত্বও থাকবে না কিন্তু অলি আউলিয়াগণের বিন্দুমাত্র ক্ষতি হয়নি,হবেও না।সুতরাং বিরুধীতা নয় সোহবত গ্রহণ করে নিজেকেও আল্লাহর রঙে রঙিন করুন।