25/07/2025
✅ “এই লেখা পড়ে যদি কারো গায়ে লাগে, যুক্তি নিয়ে আসুন — কথার উত্তর কথায় দেব!”🚫 না পারলে চুপ থাকুন! 🚫
**“বিএনপির ভাগ্যে কী আছে তা দেশের সাধারণ মানুষ জানে না, জানে না দেশের মেহনতি মানুষ, কৃষক-শ্রমিক, চাকরিজীবী কেউই। তবে আমরা এতটুকু জানি — স্বাধীনতার নামে যারা দেশ চালায়, তাদের হাতেই এই দেশ বন্দি। শেখ হাসিনার কথায় যদি সত্যি হয় যে তাঁর বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই দেশ স্বাধীন করেছেন, তাহলে আজ দেশটা কি তাঁর পরিবার আর আত্মীয়-স্বজনের ব্যক্তিগত সম্পত্তি?
যদি এই দেশ বাপ-দাদার সম্পত্তি হয়, তাহলে কোটি কোটি মানুষের রক্ত, ত্যাগ আর স্বপ্নের কি কোনো দাম নেই? যদি সবই বাপের সম্পত্তি হয়, তাহলে এত লুটপাটের টাকা আর দুর্নীতি ঢাকতে গিয়ে পালানোর নাটক কেন? নিজের দলের নেতা-নেত্রীদের, হাজারো কর্মীকে পথে ফেলে রেখে বিদেশে বিলাসী জীবন কাটানোর জন্য দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া — এটিই কি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ?
আজ আওয়ামী লীগ নামে একটা পরিবারতান্ত্রিক দানব গোষ্ঠী পুরো দেশটাকে শোষণ করছে। নেতা-নেত্রীদের বিদেশে বাড়ি, ব্যাংকে কোটি কোটি টাকা। পত্রিকায় পড়লেই দেখা যায় — ১০০ টাকার রাস্তার কাজ দেখিয়ে ১০ হাজার টাকার বিল পাশ হয়। নতুন নতুন প্রকল্পের নামে হাজার কোটি টাকার ঋণ নিয়ে আবার সেই টাকা বিদেশে পাচার হয়।
বিএনপি আসলে এই দুর্নীতিরই আরেক পিঠ। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে যা করে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গিয়েই তাই করে। এরা একে অপরের শত্রু নয় — ভেতরে ভেতরে একে অপরের বন্ধু, লুটের ভাগীদার। ৩০০ জন এমপির মধ্যে ৩০০ জনই চোর — কেউ সরাসরি চুরি করে, কেউ নীরব থেকে অংশীদার হয়। দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নতি হয় না, নেতা-নেত্রীর ব্যাংক ব্যালান্সই বাড়ে।
বাংলাদেশে হাজার কোটি টাকার পদ্মা সেতু বানানো হয়, অথচ স্কুলে পড়ানোর জন্য শিক্ষক নেই, হাসপাতালে ওষুধ নেই, কৃষকের ফসলের ন্যায্য দাম নেই, বেকার যুবকের চাকরি নেই। একদিকে পদ্মা সেতু আর মেট্রোরেলের ফিতা কাটা, আরেকদিকে গরিবের ছেলেমেয়ের পেট খালি।
এই দেশে নেতা-নেত্রীদের কোটি কোটি টাকা বিদেশি ব্যাংকে জমা থাকে, অথচ প্রবাসীরা হাড়ভাঙা খাটুনি খেটে রেমিটেন্স পাঠিয়ে দেশের রিজার্ভ বাঁচায়। তাদের খবর কে রাখে? লুটপাটের টাকার খবর মিডিয়ায় আসে, বিচার হয় না। দুর্নীতি দমন কমিশন নামে যেটা আছে, সেটাই আসলে দুর্নীতি বাঁচানোর কমিশন।
এই দেশ বদলাবে কবে? বদলাবে সেদিন — যেদিন সাধারণ মানুষ দলীয় জার্সি ছেড়ে, বংশগত দাসত্ব ছেড়ে, সত্যি কথা বলতে শিখবে, অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে শিখবে। সেদিন ৩০০ চোর এমপির জায়গায় ৩০০ জন সৎ মানুষ দাঁড়াবে। সেদিন আর কোনো পরিবার দেশটাকে লুটে খেতে পারবে না।
এখন দরকার মানুষের চোখ খোলা, মুখ খোলা — যতই ভয় দেখাক, গুম-খুন-হামলার হুমকি দিক — সত্যি কথাটা বলতেই হবে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াতেই হবে। দেশের মালিক এই দেশের মানুষ — কোনো পরিবার নয়, কোনো দল নয়, কোনো গোষ্ঠী নয়। এই সত্য বুঝলেই ভাগ্যের পরিবর্তন হবে।”**