
04/08/2025
ভবঘুরে জসিমের লা শ দেশে পাঠানোর নিয়ে ধুম্রজাল
====>>>>>======
সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের ফোর্ডসবার্গে জসিম উদ্দিন নামের এক বাংলাদেশী ভবঘুরে মা দ কা সক্ত গত ৩০জুলাই রাতে ফুটপাতে মারা যায়।
পরদিন সকালে পুলিশ ও হেলথ ডিপার্টমেন্ট লাশটি বেওয়ারিশ হিসেবে মরচুয়ারিতে নিয়ে যায়। এসময় এক ব্যক্তি ছবি তুলে পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশীদের দেখায়। এসময় ফোর্ডসবার্গের ব্যবসায়ী আবুল কালাম শাপলা টিভির কাছে ছবি পাঠান। শাপলা টিভি ছবিটি বাংলাদেশীর নিশ্চিত হওয়ার পর কমিউনিটির ভুমিকা নিয়ে পরদিন #প্রথম নিউজ করে।
এরপর অনেকেই শাপলা টিভির কাছে ফোন করে দাফনের দায়িত্ব নিতে চান বলে জানান। আমরা জসিমের মারা যাবার স্থান পরিদর্শন করি এবং লাশ দাফনের ব্যবস্থার জন্য একটি ফিউনারেল কোম্পানীকে দায়িত্ব দেই। ইত্যবসরে তার পরিবারের লোকজন এবং চাটখিলের লোকজন বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করেন।
জসিম উদ্দিনের পরিবার নাকি নোয়াখালীর চাটখিলের প্রভাবশালী পরিবার। তার বাবাকে স্থানীয়রা সবাই লুতু কোম্পানী বলে চিনে; অঢেল সম্পত্তির মালিক লুতু কোম্পানীর মালিকের ছেলে মেয়েরা অর্থাৎ মৃত জসিমের ভাই বোন কেউ কেউ তার লাশ দেশে নিতে আগ্রহী আবার কেউ কেউ অনীহা দেখায়। তারা বলে তাদের ভাইয়ের লাশ দেশে গেলে নাকি তাদের ইজ্জত সম্মান হানি হবে।
তার পরিবারের লোকজন একেক জনের কাছে একেক ধরণের সিদ্ধান্ত জানায় ফলে আমরা বিভ্রান্ত হই।
আজ সোমবার আমাদের পূর্ব নিযুক্ত ফিউনারেল কোম্পানী লাশ গ্রহণের প্রসেসিং করে এবং পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সহ প্রস্তুতি নিয়ে মরচুয়ারিতে যাই। লাশ গ্রহণের প্রাক্কালে মুক্তবাংলার শফিক এসে লাশ নেয়ার কথা বলেন; আপনারা কেন সারাদিন আসেন নি এসব বলে আমি তর্কাতর্কি করি এবং বলি লাশ যেহেতু এখানেই দাফন হবে তাহলে আমরা নিয়ে মুসলিম সোসাইটির মাধ্যমে দাফন করবো। তখন তিনি বলেন তার পরিবার এখন দেশে নিতে চায়; তখন আমি বলি পরিবারতো তিন দিন ধরে একেক সময় একেক কথা বলে।
অনেক কথা বলার পর শফিক সাহেবকে বলি- দেশে পাঠানোর শর্তে আপনি লাশ নিতে পারবেন কিন্তু যে ফিউনারেল কোম্পানী দুই দিন কাজ করেছে তাদেরকে খুশি করেন। তখন তিনি বলেন তিনি কিছু টাকা দিবেন তাদেরকে; কিন্তু আমি বলেছি- আমি তাদেরকে নিজের পকেট থেকে দিবো আপনার দেয়া লাগবে না। কিন্তু আপনি তাদেরকে ম্যানেজ করে লাশ নিয়ে যান; তখন তিনি ফিউনারেল কোম্পানীর লোককে গিয়ে "সরি" বলে তাদের কাজের জন্য ধন্যবাদ জানান (যা একটি ভিডিও রেকর্ডে আছে)।
ইত্যবসরে, সাউথ আফ্রিকার প্রবীন ব্যবসায়ী জসিমের পাশের বাড়ির আলম সাহেব মুক্তবাংলার শফিক ভাইয়ের ফোনে আমার সাথে কথা বলেন; তাকে বলি যদি এখানে দাফন করা হয় তাহলে আমরা ফোর্ডসবার্গ কমিউনিটি অথবা মুসলিম সোসাইটির মাধ্যমে দাফন হবে আর যদি দেশে পাঠান তাহলে মুক্তবাংলা প্রসেস করুক আমার আপত্তি নাই। তখন তিনি আমাকে ধন্যবাদ দিয়ে বিষয়টি ছাড় দেয়া অনুরোধ করেন।
পরবর্তীতে লাশ গ্রহণের ফরমে দেশে পাঠানো হবে বলে লিখা হয় মর্মে বিষয়টি নিশ্চিত করে মুক্তবাংলার কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।