21/08/2024
নয়াদিগন্ত. কম পত্রিকা
অস্থায়ী বেতনভিত্তিক চাকরি থেকে জাতীয়করণসহ গ্রাম পুলিশের ৬ দাবি মেনে নিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) ১২টার পর রাজধানীর সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনরত গ্রাম পুলিশের সদস্যরা। এ সময় সচিবালয়ের প্রধান গেট সংলগ্ন সড়কে অবস্থান নিয়ে চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন তারা।
বিজ্ঞাপন
এরপর সচিবালয় থেকে আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দাবি মেনে নেয়ার কথা জানানো হয়।
এ সময় তারা ৭টি দাবি তুলে ধরেন। এর মধ্যে প্রথম দাবি প্রধান উপদেষ্টার সাথে ৫ সদস্য বিশিষ্ট সমন্বয় কমিটির সাক্ষাতের অনুমতির কথা জানানো হয়। তবে সকল দাবি মেনে নেয়ার কারণে প্রধান উপদেষ্টার সাথে দেখা করার প্রয়োজন নেই বলে জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
দাবিগুলো হলো, জাতীয় বেতন স্কেল ২০০৯ এর আলোকে বেতন ও ভাতা নির্ধারণ, অন্যান্য বাহিনীর ন্যায় পেনশন, রেশন, ঝুঁকি ভাতা নির্ধারণ, পার্বত্য জেলার ২০০৮ সাল হইতে ইউপি অংশের বকেয়া বেতন থানা হাজিরা ভাতা পরিশোধের প্রজ্ঞাপন জারি। বাংলাদেশের যে সকল উপজেলার ইউপি অংশের বেতন ও যাতায়াত ভাতা বকেয়া আছে সেই সকল উপজেলার বকেয়া বেতন ভাতা পরিশোধের প্রজ্ঞাপন জারি, অন্যান্য সরকারি চাকরিজীবীদের ন্যায় ১ তারিখ থেকে ৭ তারিখের মধ্যে বেতন ভাতা পরিশোধ, পোশাকের রং পরিবর্তন এবং স্থানীয় সরকার ব্যতিত অন্য দপ্তরে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সম্মানি ভাতা নির্ধারণ।
এর আগে সোমবার (১৯ আগস্ট) গ্রাম পুলিশের সমন্বয়ক ইমরান হোসাইন বার্তা ২৪.কমকে বলেন, প্রেসক্লাবের সামনে থেকে আমরা সচিবালয় ঘেরাও করেছিলাম। আমাদের জাতীয়করণের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। আগামীকালও আমরা নতুন কর্মসূচি দিয়েছি। কাল ১২টার দিকে আমরা আবারও সচিবালয় ঘেরাও করবো।
তার আগে রোববার প্রধান উপদেষ্টা আপনাদের ডেকেছিল সেখানে কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের সবাই শুধু ঘুরাচ্ছে। এখান থেকে ওখানে পাঠাচ্ছে আবার ওখান থেকে অন্যখানে পাঠাচ্ছে। কিন্তু কেউ কোনো আশ্বাস বা কোনো রেজাল্ট দিচ্ছে না।
এরআগে রোববার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর কাকরাইলে অবস্থিত প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন তারা। এরপর সেখানে অবস্থান শেষ করে রাজধানীর হেয়ার রোডে অবস্থিত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস-এর বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নেন এবং বৈষম্যবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন তারা।
প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলনকারীরা বলেন, আমরা চাকরি জাতীয়করণ করার দাবিতে আমরা এখানে অবস্থান নিয়েছি। বর্তমানে আমরা অস্থায়ী মাসিক চুক্তিভিত্তিক হিসেবে কাজ করি। মাসে মাত্র সাড়ে ৬ হাজার টাকা বেতন পাই। এই বেতনের অর্ধেক ৩,২৫০ টাকা দেয় ইউনিয়ন পরিষদ বাকি ৩,২৫০ টাকা দেয় সরকারি কোষাগার থেকে। এই বেতনে আমাদের বাজার খরচও চলে না। তাই আমরা চাই আমাদের চাকরি জাতীয়করণ করতে হবে।